সুতা ও মেশিনের নামে দুই কন্টেইনার ভর্তি বিদেশি মদ ছেড়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দর, ধরা পড়ে সোনারগাঁয়ে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই কন্টেইনার ভর্তি বিদেশি মদ জব্দ করেছে র‌্যাব-১১। গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দসহ দুইজনকে আটকের কথাও জানান তিনি।

সুতা ও মেশিন আমদানির ‘ভুয়া ডকুমেন্ট’ দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় এসব বিদেশি মদ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ে বলে কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া জানান।

এ ঘটনায় আটক দুই ব্যক্তি হলেনÑ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার নাগেরহাট গ্রামের মৃত শেখ জয়নুল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) ও একই জেলার শ্রীনগর থানার ষোলঘর ভূঁইচিত্র গ্রামের আক্কাস মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩)।

র‌্যাব কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দুই কন্টেইনার লরিতে বিদেশি মদের চোরাচালান ঢাকার অভিমুখে রওয়ানা হয়েছে বলে খবর পান তারা। রাত সাড়ে ১১টায় এ খবর পাওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায় র‌্যাব। মধ্যরাতে পৃথক দুটি স্থানে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।

‘নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমসের গোয়েন্দা শাখায় যোগাযোগ করে তাদের উপস্থিতিতে কন্টেইনার দুটো খোলা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ মদ পেয়েছি। মূল্য ও পরিমাণ সম্পর্কে পরবর্তীতে জানাতে পারবো। গণনা চলছে।’

দুটি চালান পাওয়া গেছে, একটিতে ইয়ার্ন অর্থাৎ সুতা ও অন্যটিতে মেশিনারিজ লেখা রয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে বন্দর পার করা হয়েছে বলে ধারণা র‌্যাব কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদের। বিদেশি মদের বিপরীতে ট্যাক্সের কোন ডকুমেন্ট তারা পাননি বলেও জানান। এ বিষয়ে কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া জানান, ‘আমদানিকারক হিসেবে বিএইচকে টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের নামে ববিন মেশিন নামে চালান করা হয়। অন্যটি হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড টেক্সটাইলের নামে ইয়ার্ন অর্থাৎ সুতা উল্লেখ করে চালান হয়। একটি কুমিল্লা ইপিজেড ও অন্যটি ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান।’

‘জালিয়াতি ডকুমেন্টস তৈরি করে চার নম্বর গেটের স্ক্যানিং রিপোর্ট এক নম্বর গেটে দেখানো হয়েছে। ভুয়া জালিয়াতি করা স্ক্যানিং রিপোর্ট ছিল সেটি। এরকম একটি চোরাচালান বের হয়েছে বলে যখন আইডেন্টটিফাই করতে পেরেছি তখন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়’ বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস বিভাগ তদন্ত করছে। অনিয়মের সঙ্গে কাস্টমসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২ , ০৯ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৫ জিলহজ ১৪৪৩

সুতা ও মেশিনের নামে দুই কন্টেইনার ভর্তি বিদেশি মদ ছেড়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দর, ধরা পড়ে সোনারগাঁয়ে

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই কন্টেইনার ভর্তি বিদেশি মদ জব্দ করেছে র‌্যাব-১১। গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দসহ দুইজনকে আটকের কথাও জানান তিনি।

সুতা ও মেশিন আমদানির ‘ভুয়া ডকুমেন্ট’ দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় এসব বিদেশি মদ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ে বলে কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া জানান।

এ ঘটনায় আটক দুই ব্যক্তি হলেনÑ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার নাগেরহাট গ্রামের মৃত শেখ জয়নুল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) ও একই জেলার শ্রীনগর থানার ষোলঘর ভূঁইচিত্র গ্রামের আক্কাস মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩)।

র‌্যাব কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দুই কন্টেইনার লরিতে বিদেশি মদের চোরাচালান ঢাকার অভিমুখে রওয়ানা হয়েছে বলে খবর পান তারা। রাত সাড়ে ১১টায় এ খবর পাওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায় র‌্যাব। মধ্যরাতে পৃথক দুটি স্থানে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।

‘নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমসের গোয়েন্দা শাখায় যোগাযোগ করে তাদের উপস্থিতিতে কন্টেইনার দুটো খোলা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ মদ পেয়েছি। মূল্য ও পরিমাণ সম্পর্কে পরবর্তীতে জানাতে পারবো। গণনা চলছে।’

দুটি চালান পাওয়া গেছে, একটিতে ইয়ার্ন অর্থাৎ সুতা ও অন্যটিতে মেশিনারিজ লেখা রয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে বন্দর পার করা হয়েছে বলে ধারণা র‌্যাব কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদের। বিদেশি মদের বিপরীতে ট্যাক্সের কোন ডকুমেন্ট তারা পাননি বলেও জানান। এ বিষয়ে কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া জানান, ‘আমদানিকারক হিসেবে বিএইচকে টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেডের নামে ববিন মেশিন নামে চালান করা হয়। অন্যটি হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড টেক্সটাইলের নামে ইয়ার্ন অর্থাৎ সুতা উল্লেখ করে চালান হয়। একটি কুমিল্লা ইপিজেড ও অন্যটি ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান।’

‘জালিয়াতি ডকুমেন্টস তৈরি করে চার নম্বর গেটের স্ক্যানিং রিপোর্ট এক নম্বর গেটে দেখানো হয়েছে। ভুয়া জালিয়াতি করা স্ক্যানিং রিপোর্ট ছিল সেটি। এরকম একটি চোরাচালান বের হয়েছে বলে যখন আইডেন্টটিফাই করতে পেরেছি তখন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়’ বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস বিভাগ তদন্ত করছে। অনিয়মের সঙ্গে কাস্টমসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।