টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ব্যাংকগুলোর ডলার বিনিময় মনিটরিং করাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফকে দেয়া চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
চিঠিতে চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বাড়ছে। এরইমধ্যে এ মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো নির্দেশনা জারি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্য অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ডলারের দাম ৯৪ টাকার মধ্যে থাকলেও অনেক ব্যাংক এখন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে শিল্পের কাঁচামাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, চিকিৎসা সামগ্রী ও অন্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যয় অনেক বাড়বে। যার দায়ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণকেই বহন করতে হবে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশ যা প্রকৃতপক্ষে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ শতাংশ। এই মূল্যস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে।
এ ধারা চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এডি ব্যাংকগুলোর জন্য ডলার বিনিময়ে একই হার নির্ধারণ করে দিলেও অনেক ব্যাংক ওই নির্দেশনা প্রতিপালন করছে না এবং তাদের ইচ্ছেমতো দর আদায় করছে। এই অবস্থা উত্তরণে ব্যাংকগুলোর ডলার বিনিময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিংয়ের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
ভোগ্যপণ্যসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি এবং শিল্পোৎপাদনের ব্যয় হ্রাসে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এডি ব্যাংকগুলোর ডলার বিনিময় মনিটরিং করাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২ , ১০ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ব্যাংকগুলোর ডলার বিনিময় মনিটরিং করাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফকে দেয়া চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
চিঠিতে চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বাড়ছে। এরইমধ্যে এ মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো নির্দেশনা জারি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্য অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ডলারের দাম ৯৪ টাকার মধ্যে থাকলেও অনেক ব্যাংক এখন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে শিল্পের কাঁচামাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, চিকিৎসা সামগ্রী ও অন্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যয় অনেক বাড়বে। যার দায়ভার শেষ পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণকেই বহন করতে হবে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশ যা প্রকৃতপক্ষে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ শতাংশ। এই মূল্যস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ছে।
এ ধারা চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এডি ব্যাংকগুলোর জন্য ডলার বিনিময়ে একই হার নির্ধারণ করে দিলেও অনেক ব্যাংক ওই নির্দেশনা প্রতিপালন করছে না এবং তাদের ইচ্ছেমতো দর আদায় করছে। এই অবস্থা উত্তরণে ব্যাংকগুলোর ডলার বিনিময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিংয়ের আওতায় আনা প্রয়োজন।’
ভোগ্যপণ্যসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি এবং শিল্পোৎপাদনের ব্যয় হ্রাসে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এডি ব্যাংকগুলোর ডলার বিনিময় মনিটরিং করাসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।