আইজিপির প্রশ্ন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেমরা কোন কথা বলেন না কেন?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, জঙ্গিবাদ এ দেশে সৃষ্টি হয়নি। বিদেশি ষড়যন্ত্রে এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান। আর পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের প্রশ্ন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এ দেশের আলেমরা কোন কথা বলেন না কেন? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের ভাষ্য, জঙ্গিবাদ সৃষ্টির পিছনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল রয়েছে।

উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কর্মকা-ে জড়ানো ও হামলায় উদ্বুদ্ধ করতে ‘কোরআনের খ-িত অংশ ‘বিকৃত’ করে যেসব যুক্তি দেখানো হচ্ছে তার পাল্টা যুক্তি হিসেবে কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের পূর্ণাঙ্গ অর্থসহ ব্যাখা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ‘ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ’ নামের যে বইটি এটিইউ থেকে প্রকাশিত হয়েছে এটি কাউন্টার নেরেটিব (জঙ্গিবাদের পাল্টা যুক্তি) হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। গতকাল এ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশপ্রধান ছাড়াও শোলাকিয়া ঈদগায়ের প্রধান ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদসহ ধর্মীয় আলেমরা উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন।

বাংলা ভাষার পাশাপাশি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় সংস্করণ করে বইটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হবে এবং বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হবে।

‘ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নামে বইটিতে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। ২৩৪ পৃষ্ঠার বইটিতে কোরআনের বিভিন্ন সূরার পূর্ণাঙ্গ অর্থ এবং হাদিসের ব্যাখা তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের সংজ্ঞা ও পরিচিতি, শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম ইসলাম, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে ইসলাম, ইসলামে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের কোন স্থান নেই, ইসলামী আইনের উৎস, জিহাদ কি সর্বাবস্থায় ফরজে আইন? কিতালবিষয়ক বিভিন্ন আয়াতের প্রেক্ষাপট ও ব্যাখা, মুশরিকদের হত্যা সম্পর্কিত আয়াতের অপব্যাখাসহ ৩২টি ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদ কর্মকা-ের কোন সম্পর্ক নেই’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্মান্ধ রাষ্ট্র নয়, ধর্মভীরু রাষ্ট্র। বাংলাদেশ যে ধর্মান্ধ রাষ্ট্র নয়, তা সারা পৃথিবীতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আর সে কারণে বাংলাদেশ সিরিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তানে পরিণত হয়নি। যদিও উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, জঙ্গিবাদ এ দেশে সৃষ্টি হয়নি। জঙ্গিবাদ বিদেশ থেকে এসেছে। যেসব জঙ্গি এ দেশে এসেছে তারা বিদেশ থেকে এসেছে। ‘যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখানো ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, তাদের সে চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হিসেবে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সেটি বাংলাদেশে সম্ভব হয়নি। যেখানে সিরিয়াসহ বেশ কয়েকটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘ইসলামকে বর্তমানে একটি উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করতে ঈসরায়েলসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে। সেখানে মুসলমানদেরই কাজে লাগানো হচ্ছে। এসব চক্রান্ত প্রতিরোধে আলেম-ওলামাদের ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যা জনগণকে জানাতে হবে। আইএস নামে যে জঙ্গি সংগঠন ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে সেই আইএস ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সৃষ্টি করা’

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিমূল না হলে আমাদেরও মুক্তি নাই। ইসলামের নাম ব্যবহার করে গণহত্যা চালিয়ে ইসলাম ও মানুষকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মকে পুঁজি করে যারা মানুষ হত্যা করছে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সে প্রতিরোধ হবে ইন্টেলেকচুয়াল ও কালচারাল (চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক) প্রতিরোধ। তবেই এই রোগ (জঙ্গিবাদ) থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী চিন্তাবিদরা কথা বলতে চান না। কেন বলতে চান না আমি তা জানি না। ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা (পুলিশ) কথা বললে হবে না। ইসলামী চিন্তাবিদ আলেমদের কথা বলতে হবে।

‘সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে যত্রতত্র ইসলামিক বক্তব্য প্রচার না করে মডারেটর থাকা উচিত বলে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে প্রচারিত বক্তব্য কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক তা গুলিয়ে ফেলা খুবই সহজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন মডারেটর নেই। স্কলার, মাওলানাদের উচিত এসব বিষয়ে সঠিক বিষয়টি তুলে ধরা। পুলিশপ্রধান বলেন, তুষ্টির সুযোগ নেই। এখনও থ্রেট আছে। সারাবিশ্ব থেকে থ্রেট চলে গেলেও বাংলাদেশে থাকবে। কারণ এখানে থ্রেট থাকলেই চাপ তৈরি করা যায়।

এটিইউ-প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান বলেন, ২০১৭ সালে দেশব্যাপী জঙ্গি মোকাবিলায় পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট গঠিত হয়। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আমরা ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ করি, অভিযান পরিচালনা করি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা তদন্ত করি। ‘সেই সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়ন ও সাইবার ক্রাইমসহ জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি। জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে গিয়ে যা কিছু প্রয়োজন, সেগুলো করে থাকি। এটিউকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২ , ১০ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয় বিদেশি ষড়যন্ত্রে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আইজিপির প্রশ্ন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেমরা কোন কথা বলেন না কেন?

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, জঙ্গিবাদ এ দেশে সৃষ্টি হয়নি। বিদেশি ষড়যন্ত্রে এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান। আর পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের প্রশ্ন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এ দেশের আলেমরা কোন কথা বলেন না কেন? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের ভাষ্য, জঙ্গিবাদ সৃষ্টির পিছনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল রয়েছে।

উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কর্মকা-ে জড়ানো ও হামলায় উদ্বুদ্ধ করতে ‘কোরআনের খ-িত অংশ ‘বিকৃত’ করে যেসব যুক্তি দেখানো হচ্ছে তার পাল্টা যুক্তি হিসেবে কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের পূর্ণাঙ্গ অর্থসহ ব্যাখা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ‘ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ’ নামের যে বইটি এটিইউ থেকে প্রকাশিত হয়েছে এটি কাউন্টার নেরেটিব (জঙ্গিবাদের পাল্টা যুক্তি) হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। গতকাল এ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশপ্রধান ছাড়াও শোলাকিয়া ঈদগায়ের প্রধান ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদসহ ধর্মীয় আলেমরা উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন।

বাংলা ভাষার পাশাপাশি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় সংস্করণ করে বইটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হবে এবং বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হবে।

‘ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নামে বইটিতে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। ২৩৪ পৃষ্ঠার বইটিতে কোরআনের বিভিন্ন সূরার পূর্ণাঙ্গ অর্থ এবং হাদিসের ব্যাখা তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের সংজ্ঞা ও পরিচিতি, শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম ইসলাম, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে ইসলাম, ইসলামে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের কোন স্থান নেই, ইসলামী আইনের উৎস, জিহাদ কি সর্বাবস্থায় ফরজে আইন? কিতালবিষয়ক বিভিন্ন আয়াতের প্রেক্ষাপট ও ব্যাখা, মুশরিকদের হত্যা সম্পর্কিত আয়াতের অপব্যাখাসহ ৩২টি ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদ কর্মকা-ের কোন সম্পর্ক নেই’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্মান্ধ রাষ্ট্র নয়, ধর্মভীরু রাষ্ট্র। বাংলাদেশ যে ধর্মান্ধ রাষ্ট্র নয়, তা সারা পৃথিবীতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আর সে কারণে বাংলাদেশ সিরিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তানে পরিণত হয়নি। যদিও উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, জঙ্গিবাদ এ দেশে সৃষ্টি হয়নি। জঙ্গিবাদ বিদেশ থেকে এসেছে। যেসব জঙ্গি এ দেশে এসেছে তারা বিদেশ থেকে এসেছে। ‘যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখানো ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, তাদের সে চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হিসেবে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সেটি বাংলাদেশে সম্ভব হয়নি। যেখানে সিরিয়াসহ বেশ কয়েকটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘ইসলামকে বর্তমানে একটি উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করতে ঈসরায়েলসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে। সেখানে মুসলমানদেরই কাজে লাগানো হচ্ছে। এসব চক্রান্ত প্রতিরোধে আলেম-ওলামাদের ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যা জনগণকে জানাতে হবে। আইএস নামে যে জঙ্গি সংগঠন ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে সেই আইএস ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সৃষ্টি করা’

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিমূল না হলে আমাদেরও মুক্তি নাই। ইসলামের নাম ব্যবহার করে গণহত্যা চালিয়ে ইসলাম ও মানুষকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মকে পুঁজি করে যারা মানুষ হত্যা করছে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সে প্রতিরোধ হবে ইন্টেলেকচুয়াল ও কালচারাল (চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক) প্রতিরোধ। তবেই এই রোগ (জঙ্গিবাদ) থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী চিন্তাবিদরা কথা বলতে চান না। কেন বলতে চান না আমি তা জানি না। ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা (পুলিশ) কথা বললে হবে না। ইসলামী চিন্তাবিদ আলেমদের কথা বলতে হবে।

‘সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে যত্রতত্র ইসলামিক বক্তব্য প্রচার না করে মডারেটর থাকা উচিত বলে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে প্রচারিত বক্তব্য কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক তা গুলিয়ে ফেলা খুবই সহজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন মডারেটর নেই। স্কলার, মাওলানাদের উচিত এসব বিষয়ে সঠিক বিষয়টি তুলে ধরা। পুলিশপ্রধান বলেন, তুষ্টির সুযোগ নেই। এখনও থ্রেট আছে। সারাবিশ্ব থেকে থ্রেট চলে গেলেও বাংলাদেশে থাকবে। কারণ এখানে থ্রেট থাকলেই চাপ তৈরি করা যায়।

এটিইউ-প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান বলেন, ২০১৭ সালে দেশব্যাপী জঙ্গি মোকাবিলায় পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট গঠিত হয়। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আমরা ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ করি, অভিযান পরিচালনা করি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা তদন্ত করি। ‘সেই সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়ন ও সাইবার ক্রাইমসহ জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করি। জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করতে গিয়ে যা কিছু প্রয়োজন, সেগুলো করে থাকি। এটিউকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’