বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিতর্ক, আইএমএফের ঋণ নিয়ে ধোঁয়াশা

দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলে আসছে যে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করে সেটি ভুল। যদি তাদের নিয়মে হিসাব করে তাহলে রিজার্ভের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি মানতে চাইছে না। আর মানতে বাধ্যবাধকতাও নেই। কিন্তু সংস্থাটি থেকে ঋণ নিতে গেলে এসব শর্তের জালে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে। আর তখন বাংলাদেশের মুদ্রানীতির অনেক কিছুই সংস্কার করতে হবে।

আইএমএফের একটি দল এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। দলটি গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফ স্টাফ ভিজিট মিশন ২০২২ নামে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সফরে এসেছে। আইএমএফের আলোচনার মধ্যে ছিল করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা, প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল রিজার্ভ সংরক্ষণের বিষয়। আইএমএফ বলেছে, ‘রিজার্ভের অর্থে’ বাংলাদেশ ব্যাংক ইডিএফসহ বিভিন্ন ঋণ তহবিল গঠন করেছে। সেগুলো ‘এখনও রিজার্ভে দেখাচ্ছে‘ বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ এগুলো ‘নন লিকুইড সম্পদ বা ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড সিকিউরিটিজ’। সংস্থাটির ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম-৬) ম্যানুয়াল অনুযায়ী এসব দায় রিজার্ভ হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের হিসাব মানবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আইএমএফ এক নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করে, বাংলাদেশ এক নিয়মে হিসাব করে। আমরা আমাদের নিয়মেই হিসাব করে যাব। আমরা তাদের নিয়ম মানতে বাধ্য নই। তারা আমাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমরাও চিঠি দিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি।’

আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করলে দেশের রিজার্ভ প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার কমে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নামবে। বর্তমানে রিজার্ভের অর্থে ইডিএফে ৭০০ কোটি, জিটিএফে ২০ কোটি, এলটিএফএফে ৩ কোটি ৮৫ লাখ এবং সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৬৪ কোটি ডলার ও বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে। এই ৭৯২ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের বাইরে কারেন্সি সোয়াপের আওতায় শ্রীলঙ্কাকে দেয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার। এগুলো রিজার্ভ থেকে বাদ দিলে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

তবে আইএমএফে র হিসাব মানা না মানা প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ আইএমএফের নিয়ম মানতে বাধ্য নয়, এটা সত্য। কিন্তু যদি আইএমএফের কাছে থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিতে চায়, তখন তাদের দেয়া শর্ত মানতে হবে। এসব শর্ত না মানলে তারা ঋণ দেবে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘আইএমএফের নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে। আমরা যখন তাদের সঙ্গে কোন চুক্তি করি তখন সেই নিয়মগুলো মানতে হয়। আমরা তাদের কাছে থেকে ঋণ নিলে সেই শর্তগুলো মানতে হবে।’

এদিকে সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে, নাকি নিচ্ছে না এসব নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কয়েকটি সূত্র বলছে, সরকার আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চেয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের কাছ থেকে এর আগে কখনোই এত বড় অঙ্কের ঋণ চায়নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে ৯৯ কোটি ডলার ঋণ নেয়া হয়। এ পর্যন্ত মোট তিন দফায় আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। অনেক দিন পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার হয়।

গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বছরের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে কি না জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রিজার্ভ কোন সময় কমবে, কোন সময় বাড়বে, সেটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। কিন্তু সম্প্রতি রিজার্ভ কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কমছে। তাই এটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে। শুধু রিজার্ভই নয়, আমদানি ব্যয় বাড়ছে, বাণিজ্য ঘাটতিতে রেকর্ড হয়েছে, ডলারের দাম বাড়ছে এসব বিষয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলো প্রশংসনীয়। এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।’

এছাড়া আমদানি বেড়ে যাওয়া ও প্রবাসী আয় কমার কারণে দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন ডলারের বিপরীতে কমে যাচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা দরে। মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ১০ লাখ (৭.৬২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২ , ১০ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিতর্ক, আইএমএফের ঋণ নিয়ে ধোঁয়াশা

রেজাউল করিম

দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলে আসছে যে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করে সেটি ভুল। যদি তাদের নিয়মে হিসাব করে তাহলে রিজার্ভের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি মানতে চাইছে না। আর মানতে বাধ্যবাধকতাও নেই। কিন্তু সংস্থাটি থেকে ঋণ নিতে গেলে এসব শর্তের জালে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে। আর তখন বাংলাদেশের মুদ্রানীতির অনেক কিছুই সংস্কার করতে হবে।

আইএমএফের একটি দল এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। দলটি গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফ স্টাফ ভিজিট মিশন ২০২২ নামে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সফরে এসেছে। আইএমএফের আলোচনার মধ্যে ছিল করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা, প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল রিজার্ভ সংরক্ষণের বিষয়। আইএমএফ বলেছে, ‘রিজার্ভের অর্থে’ বাংলাদেশ ব্যাংক ইডিএফসহ বিভিন্ন ঋণ তহবিল গঠন করেছে। সেগুলো ‘এখনও রিজার্ভে দেখাচ্ছে‘ বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ এগুলো ‘নন লিকুইড সম্পদ বা ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড সিকিউরিটিজ’। সংস্থাটির ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম-৬) ম্যানুয়াল অনুযায়ী এসব দায় রিজার্ভ হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের হিসাব মানবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আইএমএফ এক নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করে, বাংলাদেশ এক নিয়মে হিসাব করে। আমরা আমাদের নিয়মেই হিসাব করে যাব। আমরা তাদের নিয়ম মানতে বাধ্য নই। তারা আমাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমরাও চিঠি দিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি।’

আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করলে দেশের রিজার্ভ প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার কমে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নামবে। বর্তমানে রিজার্ভের অর্থে ইডিএফে ৭০০ কোটি, জিটিএফে ২০ কোটি, এলটিএফএফে ৩ কোটি ৮৫ লাখ এবং সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৬৪ কোটি ডলার ও বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে। এই ৭৯২ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের বাইরে কারেন্সি সোয়াপের আওতায় শ্রীলঙ্কাকে দেয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার। এগুলো রিজার্ভ থেকে বাদ দিলে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

তবে আইএমএফে র হিসাব মানা না মানা প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ আইএমএফের নিয়ম মানতে বাধ্য নয়, এটা সত্য। কিন্তু যদি আইএমএফের কাছে থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিতে চায়, তখন তাদের দেয়া শর্ত মানতে হবে। এসব শর্ত না মানলে তারা ঋণ দেবে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘আইএমএফের নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে। আমরা যখন তাদের সঙ্গে কোন চুক্তি করি তখন সেই নিয়মগুলো মানতে হয়। আমরা তাদের কাছে থেকে ঋণ নিলে সেই শর্তগুলো মানতে হবে।’

এদিকে সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে, নাকি নিচ্ছে না এসব নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কয়েকটি সূত্র বলছে, সরকার আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ চেয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। আইএমএফের কাছ থেকে এর আগে কখনোই এত বড় অঙ্কের ঋণ চায়নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১২ সালে ৯৯ কোটি ডলার ঋণ নেয়া হয়। এ পর্যন্ত মোট তিন দফায় আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। অনেক দিন পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার হয়।

গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বছরের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে কি না জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রিজার্ভ কোন সময় কমবে, কোন সময় বাড়বে, সেটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। কিন্তু সম্প্রতি রিজার্ভ কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কমছে। তাই এটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে। শুধু রিজার্ভই নয়, আমদানি ব্যয় বাড়ছে, বাণিজ্য ঘাটতিতে রেকর্ড হয়েছে, ডলারের দাম বাড়ছে এসব বিষয় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলো প্রশংসনীয়। এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।’

এছাড়া আমদানি বেড়ে যাওয়া ও প্রবাসী আয় কমার কারণে দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন ডলারের বিপরীতে কমে যাচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা দরে। মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ১০ লাখ (৭.৬২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।