টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের এলেংজানী নদীর ওপর ব্রিজের অ্যাপ্রোচ পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। এছাড়া ব্রিজের কাছেই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হয়। অ্যাপ্রোচ ভেঙে জেলা ও উপজেলা শহরের সঙ্গে এ এলাকার ৩০-৩৫ গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকাযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অসংখ্য মানুষ। হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গত শনিবার বিকেলে সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।

জানা যায়, সম্প্রতি বন্যার শুরুতেই ব্রিজের আশপাশে নদীভাঙন দেখা দেয়। সে সময় ব্রিজের অ্যাপ্রোচ অংশে ভাঙন দেখা দিলেও মানুষের চলাচলে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। ইতোমধ্যে নদ-নদীর পানি কমে যাওয়ায় নতুন করে আবার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে এলেংজানী নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের অ্যাপ্রোচ অংশ ভেঙে পড়ে। এতে করে মূল রাস্তা থেকে ব্রিজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

দেওলী ইউনিয়নের স্থলবর্ষা গ্রামের আবদুল জলিল মিয়া বলেন, টাঙ্গাইল ও দেলদুয়ারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সেতুর অ্যাপ্রোচ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহন প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সময় ও ভাড়া বেশি লাগছে। অতি দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক মেরামত করার দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। দেওলী গ্রামের তারেক মিয়া বলেন, নদীতে পানি বাড়ার সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোন ব?্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেতুর সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

ইউনিয়নে টেউরিয়া গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, সেতুর অ্যাপ্রোচ ভাঙার কারণে আমাদের কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে চরম কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলার দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম?্যান দেওয়ান তাহমিনা জানান, সেতুর অ্যাপ্রোচ ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামে চলাচলকারী হাজারো মানুষের ভয়াবহ কষ্ট হচ্ছে। এটি আমাদের প্রধান সড়কের ব্রিজ। এছাড়া তিনি আরও বলেন ব্রিজের কাছেই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হয়। ফলে মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

দেলদুয়ার উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল বাছেদ জানান, মানুষের ভোগান্তিতো হচ্ছেই। তারা অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে কিংবা নৌকায় পার হচ্ছেন। ঢাকা থেকে মিস্ত্রি এনে সোমবার থেকে ব্রিজের মেরামতের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হতে কমপক্ষে ৩ দিন সময় লাগবে। পরে চলাচলের ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।

সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২ , ১০ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

image

টাঙ্গাইল : দেলদুয়ারে এলেংজানী নদীর তীব্র স্রোতে ভেঙে যাওয়া সেতুর সংযোগ সড়ক -সংবাদ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের এলেংজানী নদীর ওপর ব্রিজের অ্যাপ্রোচ পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। এছাড়া ব্রিজের কাছেই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হয়। অ্যাপ্রোচ ভেঙে জেলা ও উপজেলা শহরের সঙ্গে এ এলাকার ৩০-৩৫ গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকাযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অসংখ্য মানুষ। হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গত শনিবার বিকেলে সেতুর এক পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।

জানা যায়, সম্প্রতি বন্যার শুরুতেই ব্রিজের আশপাশে নদীভাঙন দেখা দেয়। সে সময় ব্রিজের অ্যাপ্রোচ অংশে ভাঙন দেখা দিলেও মানুষের চলাচলে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। ইতোমধ্যে নদ-নদীর পানি কমে যাওয়ায় নতুন করে আবার নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে এলেংজানী নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের অ্যাপ্রোচ অংশ ভেঙে পড়ে। এতে করে মূল রাস্তা থেকে ব্রিজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

দেওলী ইউনিয়নের স্থলবর্ষা গ্রামের আবদুল জলিল মিয়া বলেন, টাঙ্গাইল ও দেলদুয়ারে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সেতুর অ্যাপ্রোচ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহন প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সময় ও ভাড়া বেশি লাগছে। অতি দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক মেরামত করার দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। দেওলী গ্রামের তারেক মিয়া বলেন, নদীতে পানি বাড়ার সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোন ব?্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেতুর সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

ইউনিয়নে টেউরিয়া গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, সেতুর অ্যাপ্রোচ ভাঙার কারণে আমাদের কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে চরম কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলার দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম?্যান দেওয়ান তাহমিনা জানান, সেতুর অ্যাপ্রোচ ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামে চলাচলকারী হাজারো মানুষের ভয়াবহ কষ্ট হচ্ছে। এটি আমাদের প্রধান সড়কের ব্রিজ। এছাড়া তিনি আরও বলেন ব্রিজের কাছেই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হয়। ফলে মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

দেলদুয়ার উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল বাছেদ জানান, মানুষের ভোগান্তিতো হচ্ছেই। তারা অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে কিংবা নৌকায় পার হচ্ছেন। ঢাকা থেকে মিস্ত্রি এনে সোমবার থেকে ব্রিজের মেরামতের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। কাজ শেষ হতে কমপক্ষে ৩ দিন সময় লাগবে। পরে চলাচলের ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।