ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযান গড়িয়েছে পাঁচ মাসে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই আগ্রাসনে ইউক্রেন কার্যত বিপর্যস্ত। পশ্চিমা অস্ত্রও রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশটিকে খুব বেশি সহায়তা দিতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান জানতে নাগরিকদের দ্বারস্থ হয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নাগরিকদের কাছে মস্কোর সৈন্যরা কোথায় বাস করছে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে কারা দখলকারীদেরকে সহযোগিতা করছে তা প্রকাশ করার জন্য শনিবার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের দেয়া ওই বিবৃতিতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এনারহোদার এবং আশেপাশের লোকদের লক্ষ্য করে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউক্রেনীয় এই শহরটিতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির একটি প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দয়া করে জরুরিভিত্তিতে দখলদার সৈন্যদের ঘাঁটি এবং তাদের আবাসিক ঠিকানা ... এবং কমান্ডিং স্টাফদের আবাসস্থলের সঠিক অবস্থান আমাদেরকে জানান।’
এমনকি স্থানীয় ইউক্রেনীয়দের মধ্যে কারা রুশ সেনাদের সহযোগিতা করছে সেটিরও বিস্তারিত বিবরণ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। একইসঙ্গে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে কারা রুশ সেনাদের সঙ্গে বসবাস ও কাজ করছে এবং দখলকারীদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ ব্যক্তিদেরও ঠিকানা জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সামরিক অভিযান শুরুর পর গত মার্চের শুরুতে এনারহোদার শহর দখল করে রাশিয়া। এরপর গত মে মাসে শহরটিতে রাশিয়া-নিযুক্ত প্রধান একটি বিস্ফোরণে আহত হন। ক্রেমলিন সেটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছিল।
সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২ , ১০ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৬ জিলহজ ১৪৪৩
ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযান গড়িয়েছে পাঁচ মাসে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই আগ্রাসনে ইউক্রেন কার্যত বিপর্যস্ত। পশ্চিমা অস্ত্রও রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশটিকে খুব বেশি সহায়তা দিতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান জানতে নাগরিকদের দ্বারস্থ হয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নাগরিকদের কাছে মস্কোর সৈন্যরা কোথায় বাস করছে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে কারা দখলকারীদেরকে সহযোগিতা করছে তা প্রকাশ করার জন্য শনিবার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের দেয়া ওই বিবৃতিতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এনারহোদার এবং আশেপাশের লোকদের লক্ষ্য করে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউক্রেনীয় এই শহরটিতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির একটি প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দয়া করে জরুরিভিত্তিতে দখলদার সৈন্যদের ঘাঁটি এবং তাদের আবাসিক ঠিকানা ... এবং কমান্ডিং স্টাফদের আবাসস্থলের সঠিক অবস্থান আমাদেরকে জানান।’
এমনকি স্থানীয় ইউক্রেনীয়দের মধ্যে কারা রুশ সেনাদের সহযোগিতা করছে সেটিরও বিস্তারিত বিবরণ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ। একইসঙ্গে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে কারা রুশ সেনাদের সঙ্গে বসবাস ও কাজ করছে এবং দখলকারীদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ ব্যক্তিদেরও ঠিকানা জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সামরিক অভিযান শুরুর পর গত মার্চের শুরুতে এনারহোদার শহর দখল করে রাশিয়া। এরপর গত মে মাসে শহরটিতে রাশিয়া-নিযুক্ত প্রধান একটি বিস্ফোরণে আহত হন। ক্রেমলিন সেটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছিল।