খাল ভরাট করে মেম্বারের রাস্তা সেচ সংকটে আবাদ ব্যাহত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল এলাকায় সরকারি খালে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে। খালে মাটি ভরাটের কারণে কৃষি জমিতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ধান ও আলু আবাদে স্থানীয় কৃষকরা হিমশিম খাচ্ছে বলে জোর অভিযোগ উঠেছে। আগের তুলনায় ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, খালটি সচল করার লক্ষ্যে খালে ভরাটকৃত মাটি অপসারণসহ ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ধলেশ্বরী নদীর শাখা খালটি সিএস ও এসএর ম্যাপে ৪৮নং দাগসহ একাধিক দাগে খালের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। সেই খালটি কিভাবে যৌথভাবে ভূমি দস্যুরা দিনের পর দিন গ্রাস করে নিলো তা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এখানে ভূমি দস্যু হিসেবে যাদের নাম ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে, তারা হচ্ছেন মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ, আনোয়ার হোসেন ও মো. আহসান ইসলাম আমিন। তারা যৌথভাবে এখানে সরকারি খাল ভরাটে জড়িত বলে জোর অভিযোগ উঠেছে। তারা যৌথভাবে সরকারি খালে মাটি ভরাটের পর খালের পশ্চিম পাশের জমিজমা অনেকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। খাল ভরাটের পরে বাকি খালের অংশগুলো জমিজমা বা বসতবাড়ি তারা তাদের দখলে না নিতে পারার কারণে তারা বিক্রি করার সুযোগ না পাওয়ায় সেখানগুলোতে বর্তমানে খালের অংশ মাটি খালি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

সিরাজদিখানের তালতলা বাজার থেকে ধলেশ্বরী নদী সিরাজদিখান বাজারের পশ্চিম দিকে ধলেশ্বরী নদীটি প্রাকৃতিকভাবেই প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল এলাকা দিয়ে ধলেশ্বরী নদীর একটি শাখা খালের দিকে চলে গেছে। এ শাখাটি আবার খালের উত্তর ফুরশাইল গ্রামের দিকে চলে যায়। ধলেশ্বরী নদীর শাখাটি খালের উপর একটি সেতু নির্মিত হয়েছে। এ সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে হচ্ছে বয়রাগাদি ইউনিয়ন। আর উত্তর প্রান্তে হচ্ছে মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিম দিকে হচ্ছে ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ হারুন মেম্বারের বাড়ি। তিনি একাধিকবার মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। প্রভাবশালী মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ায় হারুন ২০১৪ সালের দিকে তার বাড়ির দিকে রাস্তাটি খালের মধ্যে মাটি ভরাট করে তৈরি করেছেন। খালে মাটি ভরাটের আগে কালভার্ট তৈরি করা হলে খালের প্রবেশ মুখটি কোনভাবে বন্ধ হতো না। এর ফলে প্রাথমিকভাবেই এখানেই খালের মুখটি বন্ধের যাত্রা শুরু হয় হারুন মেম্বারের কারণে। এমনটিই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এর পরের ধাপে উত্তর দিকে বিপুল পরিমাণ জমির মালিক জনৈক ব্যক্তিকে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এ ফুরশাইল গ্রাম থেকে বিতারিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

খাল ভরাট করে মেম্বারের রাস্তা সেচ সংকটে আবাদ ব্যাহত

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

image

মুন্সীগঞ্জ : রাস্তা নির্মাণ করতে ভরাটকৃত সরকারি খাল -সংবাদ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল এলাকায় সরকারি খালে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে। খালে মাটি ভরাটের কারণে কৃষি জমিতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ধান ও আলু আবাদে স্থানীয় কৃষকরা হিমশিম খাচ্ছে বলে জোর অভিযোগ উঠেছে। আগের তুলনায় ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, খালটি সচল করার লক্ষ্যে খালে ভরাটকৃত মাটি অপসারণসহ ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ধলেশ্বরী নদীর শাখা খালটি সিএস ও এসএর ম্যাপে ৪৮নং দাগসহ একাধিক দাগে খালের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। সেই খালটি কিভাবে যৌথভাবে ভূমি দস্যুরা দিনের পর দিন গ্রাস করে নিলো তা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এখানে ভূমি দস্যু হিসেবে যাদের নাম ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে, তারা হচ্ছেন মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ, আনোয়ার হোসেন ও মো. আহসান ইসলাম আমিন। তারা যৌথভাবে এখানে সরকারি খাল ভরাটে জড়িত বলে জোর অভিযোগ উঠেছে। তারা যৌথভাবে সরকারি খালে মাটি ভরাটের পর খালের পশ্চিম পাশের জমিজমা অনেকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। খাল ভরাটের পরে বাকি খালের অংশগুলো জমিজমা বা বসতবাড়ি তারা তাদের দখলে না নিতে পারার কারণে তারা বিক্রি করার সুযোগ না পাওয়ায় সেখানগুলোতে বর্তমানে খালের অংশ মাটি খালি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

সিরাজদিখানের তালতলা বাজার থেকে ধলেশ্বরী নদী সিরাজদিখান বাজারের পশ্চিম দিকে ধলেশ্বরী নদীটি প্রাকৃতিকভাবেই প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল এলাকা দিয়ে ধলেশ্বরী নদীর একটি শাখা খালের দিকে চলে গেছে। এ শাখাটি আবার খালের উত্তর ফুরশাইল গ্রামের দিকে চলে যায়। ধলেশ্বরী নদীর শাখাটি খালের উপর একটি সেতু নির্মিত হয়েছে। এ সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে হচ্ছে বয়রাগাদি ইউনিয়ন। আর উত্তর প্রান্তে হচ্ছে মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিম দিকে হচ্ছে ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ হারুন মেম্বারের বাড়ি। তিনি একাধিকবার মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। প্রভাবশালী মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ায় হারুন ২০১৪ সালের দিকে তার বাড়ির দিকে রাস্তাটি খালের মধ্যে মাটি ভরাট করে তৈরি করেছেন। খালে মাটি ভরাটের আগে কালভার্ট তৈরি করা হলে খালের প্রবেশ মুখটি কোনভাবে বন্ধ হতো না। এর ফলে প্রাথমিকভাবেই এখানেই খালের মুখটি বন্ধের যাত্রা শুরু হয় হারুন মেম্বারের কারণে। এমনটিই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এর পরের ধাপে উত্তর দিকে বিপুল পরিমাণ জমির মালিক জনৈক ব্যক্তিকে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এ ফুরশাইল গ্রাম থেকে বিতারিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।