স্বস্তির ঝুম বৃষ্টি : আবাদে ব্যস্ত রাঙ্গাবালীর কৃষক

অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে রাঙ্গাবালীর কৃষক। যেই বৃষ্টির অভাবে বন্ধ হয়েছিল চাষাবাদ, কাক্সিক্ষত সেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। গত ২৩ জুলাই এ বৃষ্টি শুরু হয়। দু’দিনের বৃষ্টিতে পানি জমেছে বীজতলাসহ ফসলি জমিতে। আনন্দে আত্মহারা কৃষক । দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে তাদের। চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা। দেরিতে হলেও আগামী ৩০ ভাদ্রের মধ্যে হালুটি শেষ করার আশা করছেন কৃষকরা।

আষাঢ় মাসে শুরু হয় আমন চাষ মৌসুম। বিদায় নিয়ে চলে গেল সেই মাস। বৃষ্টির দেখা পায়নি কোন কৃষক। বেকার সময় পার করছিলেন তারা। ২৩ জুলাই থেকে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে তাদের। কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন সবাই। কার আগে কে চাষাবাদে এগিয়ে যাবে, এ প্রতিযোগিতা এখন তাদের মধ্যে। তবে শঙ্কা রয়ে গেছে অনেকের মনে। আবার যদি রোদ হয়? রোদ উঠে যদি শুকিয়ে যায় তাদের চাষ দেয়া জমি। পূর্বের অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেক কৃষক জানিয়েছেন, বৃষ্টি যখন শুরু হয়েছে, এখন হতেই থাকবে। আর সমস্যা হবে না। তারা আরও জানান,গরু মহিষ দিয়ে চাষাবাদের প্রচলন এখন আর নেই। ট্রাক্টর দিয়েই চাষাবাদ করে সবাই।

বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে ভাড়ায় চালিত ট্রাক্টর মালিক আলী আকবর মোল্লা বলেন, এতদিন বৃষ্টির অভাবে চাষ করতে পারি নাই। এখন জোবা হয়েছে। সারাদিনই ট্রাক্টর চলে। একই এলাকার কৃষক শাহিন হাওলাদার, নুরুজ্জামন, রাসেল মিয়াসহ অনেকে জানান, বৃষ্টির অভাবে এতদিন বীজ করতে পারি নাই। হালুটি একটু পিছিয়ে গেছে। এখন বৃষ্টি হয়েছে। বীজতলা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

স্বস্তির ঝুম বৃষ্টি : আবাদে ব্যস্ত রাঙ্গাবালীর কৃষক

প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে রাঙ্গাবালীর কৃষক। যেই বৃষ্টির অভাবে বন্ধ হয়েছিল চাষাবাদ, কাক্সিক্ষত সেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। গত ২৩ জুলাই এ বৃষ্টি শুরু হয়। দু’দিনের বৃষ্টিতে পানি জমেছে বীজতলাসহ ফসলি জমিতে। আনন্দে আত্মহারা কৃষক । দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে তাদের। চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা। দেরিতে হলেও আগামী ৩০ ভাদ্রের মধ্যে হালুটি শেষ করার আশা করছেন কৃষকরা।

আষাঢ় মাসে শুরু হয় আমন চাষ মৌসুম। বিদায় নিয়ে চলে গেল সেই মাস। বৃষ্টির দেখা পায়নি কোন কৃষক। বেকার সময় পার করছিলেন তারা। ২৩ জুলাই থেকে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে তাদের। কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন সবাই। কার আগে কে চাষাবাদে এগিয়ে যাবে, এ প্রতিযোগিতা এখন তাদের মধ্যে। তবে শঙ্কা রয়ে গেছে অনেকের মনে। আবার যদি রোদ হয়? রোদ উঠে যদি শুকিয়ে যায় তাদের চাষ দেয়া জমি। পূর্বের অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেক কৃষক জানিয়েছেন, বৃষ্টি যখন শুরু হয়েছে, এখন হতেই থাকবে। আর সমস্যা হবে না। তারা আরও জানান,গরু মহিষ দিয়ে চাষাবাদের প্রচলন এখন আর নেই। ট্রাক্টর দিয়েই চাষাবাদ করে সবাই।

বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে ভাড়ায় চালিত ট্রাক্টর মালিক আলী আকবর মোল্লা বলেন, এতদিন বৃষ্টির অভাবে চাষ করতে পারি নাই। এখন জোবা হয়েছে। সারাদিনই ট্রাক্টর চলে। একই এলাকার কৃষক শাহিন হাওলাদার, নুরুজ্জামন, রাসেল মিয়াসহ অনেকে জানান, বৃষ্টির অভাবে এতদিন বীজ করতে পারি নাই। হালুটি একটু পিছিয়ে গেছে। এখন বৃষ্টি হয়েছে। বীজতলা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।