লোডশেডিংয়ের নতুন সূচি, সময় বাড়লো অনেক এলাকায়

বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নতুন সূচিতে ৪ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রেখেছে সরকার। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের এই ঘাটতি পূরণ করার পরিকল্পনা ছিল।

তবে রাজধানীর অনেক এলাকায় একাধিকবার লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর বাইরে জেলা শহরগুলোর অবস্থা আরও খারাপ।

তবে লোডশেডিংয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো কোন কোন এলাকায় ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেখিয়ে সূচি প্রকাশ করছে। তবে কিছু এলাকায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টাও লোডশেডিং হচ্ছে। গতকাল সিলেটে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোড (পিডিবি)।

সিলেটে পাঁচটি বিতরণ অঞ্চলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। সব অঞ্চলেই ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

পিডিবির স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, রোববার বিকেলে সিলেট জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০০ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া গেছে ৯০ মেগাওয়াট। এতে শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। এ কারণে লোডশেডিংয়ের সময় বাড়িয়ে নতুন শিডিউল করা হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের বিশেষ করে ডিজেলের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায়, সরকার বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু গত ১৮ জুলাই বলেছিলেন, প্রথমে দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। এভাবে এক সপ্তাহ দেখা হবে। বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলা করা না গেলে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে।

তবে দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ, ওই ঘোষণা গ্রামীণ জনপদে মানা হয়নি। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের ইচ্ছেমাফিক লোডশেডিং দিয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

জানা গেছে, সিলেটেও শুরু থেকেই ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশ করা হয়। তবে প্রকাশিত সূচি না মেনে প্রথম দিন থেকেই অনেক জায়গায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল নতুন শিডিউল অনুযায়ী মহানগরীর বালুচর, আরামবাগ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট, সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, মহাজনপট্টি, মাছিমপুর, ছড়ারপার, উপশহর ব্লক-এইচ, আই জে ই এফ জি, সাদাটিকর, রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, রাজপাড়া উপশহর ব্লক-এ, বি সি ডি, তেররতন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘির পাড়সহ আরও বেশকিছু এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দিনে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তাপমাত্রা বেশি থাকায় গরমে সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় বিভিন্ন কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে জরুরি উৎপাদন অব্যাহত রাখার সুযোগ থাকলেও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কারখানা বন্ধ রাখছেন মালিকরা। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।

লোডশেডিং নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে ফেইসবুকে চলছে বিস্তর সমালোচনা।

পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার সারাদেশে ৮৪২ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। গতকাল সারাদেশে সর্বোচ্চ লোডশেডিং ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৯৮ মেগাওয়াট। তবে পিডিবির তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে একটা বড় ফারাক সব সময়ই রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনস্থ জেলাভিত্তিক ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (কোন কোন জেলায় একাধিক) দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে।

রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আরও বেশকিছু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) সঙ্গে কথা হয় সংবাদের। অধিকাংশ পবিসের একই অভিযোগ, তারা প্রতিদিন যে চাহিদা তার অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে। তাই লোডশেডিং বেশি দিতে হচ্ছে।

দেশে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ করে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে আছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। ডেসকো ঢাকা উত্তরে এবং ডিপিডিসি ঢাকা দক্ষিণ ও নারায়ণগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ বিতরণ করে।

ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা বলেন, এমনিতেই চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। গরম বেড়ে গেলে, হঠাৎ চাহিদা আরও বেড়ে যায়। এছাড়া বিতরণ লাইনের নানা ত্রুটির কারণেও প্রতিদিন একাধিকবার লাইন ট্রিপ হয়। সবমিলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন দৈনিক চাহিদা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন হচ্ছে কমবেশি ১২ হাজার মেগাওয়াট। দৈনিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিয়ে ২ হাজার মেগাওয়াটের ঘাটতি কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়।’

পিডিবি বলছে, গ্যাস সংকটের কারণে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গত রোববার ৩০৮৮ মেগাওয়াট, শনিবার ৩৬৩৬ মেগাওয়াট, শুক্রবার ৩৪০২ মেগাওয়াট সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়নি চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না থাকায়।

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

লোডশেডিংয়ের নতুন সূচি, সময় বাড়লো অনেক এলাকায়

সংবাদ ডেস্ক

বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নতুন সূচিতে ৪ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রেখেছে সরকার। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের এই ঘাটতি পূরণ করার পরিকল্পনা ছিল।

তবে রাজধানীর অনেক এলাকায় একাধিকবার লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর বাইরে জেলা শহরগুলোর অবস্থা আরও খারাপ।

তবে লোডশেডিংয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো কোন কোন এলাকায় ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেখিয়ে সূচি প্রকাশ করছে। তবে কিছু এলাকায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টাও লোডশেডিং হচ্ছে। গতকাল সিলেটে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোড (পিডিবি)।

সিলেটে পাঁচটি বিতরণ অঞ্চলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পিডিবি। সব অঞ্চলেই ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

পিডিবির স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, রোববার বিকেলে সিলেট জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০০ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া গেছে ৯০ মেগাওয়াট। এতে শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। এ কারণে লোডশেডিংয়ের সময় বাড়িয়ে নতুন শিডিউল করা হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের বিশেষ করে ডিজেলের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায়, সরকার বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু গত ১৮ জুলাই বলেছিলেন, প্রথমে দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। এভাবে এক সপ্তাহ দেখা হবে। বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলা করা না গেলে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে।

তবে দেশের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ, ওই ঘোষণা গ্রামীণ জনপদে মানা হয়নি। বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের ইচ্ছেমাফিক লোডশেডিং দিয়েছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

জানা গেছে, সিলেটেও শুরু থেকেই ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশ করা হয়। তবে প্রকাশিত সূচি না মেনে প্রথম দিন থেকেই অনেক জায়গায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল নতুন শিডিউল অনুযায়ী মহানগরীর বালুচর, আরামবাগ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট, সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, মহাজনপট্টি, মাছিমপুর, ছড়ারপার, উপশহর ব্লক-এইচ, আই জে ই এফ জি, সাদাটিকর, রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, রাজপাড়া উপশহর ব্লক-এ, বি সি ডি, তেররতন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘির পাড়সহ আরও বেশকিছু এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হবে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দিনে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তাপমাত্রা বেশি থাকায় গরমে সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় বিভিন্ন কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে জরুরি উৎপাদন অব্যাহত রাখার সুযোগ থাকলেও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কারখানা বন্ধ রাখছেন মালিকরা। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।

লোডশেডিং নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে ফেইসবুকে চলছে বিস্তর সমালোচনা।

পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার সারাদেশে ৮৪২ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। গতকাল সারাদেশে সর্বোচ্চ লোডশেডিং ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৯৮ মেগাওয়াট। তবে পিডিবির তথ্যের সঙ্গে স্থানীয় বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে একটা বড় ফারাক সব সময়ই রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনস্থ জেলাভিত্তিক ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (কোন কোন জেলায় একাধিক) দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে।

রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আরও বেশকিছু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) সঙ্গে কথা হয় সংবাদের। অধিকাংশ পবিসের একই অভিযোগ, তারা প্রতিদিন যে চাহিদা তার অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে। তাই লোডশেডিং বেশি দিতে হচ্ছে।

দেশে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ করে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলে আছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। ডেসকো ঢাকা উত্তরে এবং ডিপিডিসি ঢাকা দক্ষিণ ও নারায়ণগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ বিতরণ করে।

ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা বলেন, এমনিতেই চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। গরম বেড়ে গেলে, হঠাৎ চাহিদা আরও বেড়ে যায়। এছাড়া বিতরণ লাইনের নানা ত্রুটির কারণেও প্রতিদিন একাধিকবার লাইন ট্রিপ হয়। সবমিলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন দৈনিক চাহিদা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন হচ্ছে কমবেশি ১২ হাজার মেগাওয়াট। দৈনিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিয়ে ২ হাজার মেগাওয়াটের ঘাটতি কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়।’

পিডিবি বলছে, গ্যাস সংকটের কারণে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গত রোববার ৩০৮৮ মেগাওয়াট, শনিবার ৩৬৩৬ মেগাওয়াট, শুক্রবার ৩৪০২ মেগাওয়াট সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়নি চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না থাকায়।