আরও ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারেও সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ 

ফের সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারেও সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রী আজও পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন। কেনাকাটাতে যথাসম্ভব যেগুলো ইমিডিয়েট, না কিনলে হবে না, সেই জাতীয় কেনাকাটা চলবে। যেগুলো আপাতত না কিনলেও চলবে, সেসব কেনাকাটা আপাতত স্থগিত থাকবে।’

ব্যয় কমাতে সরকারের প্রকল্পগুলোতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এ’ ক্যাটাগরির যেগুলো সেগুলো ইমিডিয়েটলি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুরুত্ব অনুযায়ী প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, কোনগুলো ‘বি’ ও কোনগুলো ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ফেলবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রকল্পের পুরো টাকা খরচ করা যাবে। ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যাবে। আর ‘সি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।’

বিদেশে প্রশিক্ষণের লাগাম টানার বিষয়ে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ট্রেজারি থেকে বিল হয় এমন কোন বিদেশভ্রমণ এখন মন্ত্রণালয়গুলো করতে পারবে না। সরকারি টাকায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে দরপত্রে থাকা দরদাতার ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তর সংক্রান্ত যে বিদেশ সফর রয়েছে সেগুলো বন্ধ থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে খুবই জোর দিয়েছেন জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ করে কোথাও কোথাও যদি এক ফসলি জমি থাকে, সেখানে তিন ফসল করার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। বাড়ির উঠানে শাকসবজি এগুলো করতে হবে।’

গাড়ি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া

মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানি তেল সাশ্রয়ে মন্ত্রীদের গাড়ি কম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি এটা নিয়ে। সব জায়গাতেই কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। যেমন পরিবহন বলতে মন্ত্রীদেরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন গাড়ি নিয়ে অত ছোটাছুটির দরকার নেই।’

সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। যেভাবে হোক আমরা যেন সাশ্রয়ী হই। অহেতুক এনার্জি ও টাকা-পয়সা খরচ না করি। আমি এরই মধ্যে আমার অফিস রুমে জানালার পর্দা তুলে দিয়েছি, ছোট লাইটগুলো বন্ধ রাখছি।’

সবাইকে ‘একটু সহযোগিতা করার জন্য উনি’ (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ অনুরোধ করেছেন উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কারণ এটা আমরা জানি না, কালকে-পরশু চুক্তি হলো, কালকেই আবার ইউক্রেনের ওদেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ হয়েছে। চুক্তি হয়েছে ইউক্রেন থেকে খাবারটা বেরিয়ে আসবে। বন্দর ছাড়া আসবে কীভাবে? এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে খাবার ও সার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে।’

করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিশে^র বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও ব্যয় সাশ্রয় করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানির সাশ্রয় ও রিজার্ভ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।

খালেদাকে ‘টুস’ করে ফেলে দেয়ার কথাটি পলিটিক্যাল হিউমার

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেয়ার কথাটি ‘পলিটিক্যাল হিউমার’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপিকে ‘চা খাওয়ার দাওয়াত’, এই বলে কি সংলাপের বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পলিটিক্যাল হিউমার’ আছে। যেমন বেগম জিয়াকে কি নেত্রী টুস করে ফেলে দিতে বলছেন? এটা তো একটা হিউমার। এটা তারা ঘেরাও করবেন, আন্দোলন করবেন, অভ্যুত্থান করবেন এটারই একটা জবাব। হিউমারের দিক থেকে উনি বলেছেন যে ঠিক আছে, আসেন। অবশ্য এটাও ঠিক, তারা যদি কোন ঘেরাও টেরাও নিয়ে আসে প্রধানমন্ত্রী বলতেও পারেন নেতাদের নিয়ে আসেন, এটা উনি করতেও পারেন।’

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সুযোগ থাকছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখনও এসব নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। কাজেই আমি এ সিদ্ধান্তটা আগাম কেন বলব?’

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যায়নি, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে বিএনপির যাওয়াটা তাদের অধিকার। তারা এখন যদি নিজেরা ইচ্ছা করে না যান, সেখানে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে কি বলব? আমরা তাদের যদি বলি তাহলে বলব নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সবার যাওয়া উচিত। আমরা একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। সেজন্য বিএনপির মতো একটি বড় দল বাইরে থাকবে সেটি ঠিক নয়। আমরা মনে করি তারা আসুক। আমরা মনে প্রাণে চাই নির্বাচনটা তাদের সঙ্গে হোক।’

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

আরও ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারেও সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ 

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ফের সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারেও সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রী আজও পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন। কেনাকাটাতে যথাসম্ভব যেগুলো ইমিডিয়েট, না কিনলে হবে না, সেই জাতীয় কেনাকাটা চলবে। যেগুলো আপাতত না কিনলেও চলবে, সেসব কেনাকাটা আপাতত স্থগিত থাকবে।’

ব্যয় কমাতে সরকারের প্রকল্পগুলোতে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এ’ ক্যাটাগরির যেগুলো সেগুলো ইমিডিয়েটলি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুরুত্ব অনুযায়ী প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, কোনগুলো ‘বি’ ও কোনগুলো ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ফেলবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রকল্পের পুরো টাকা খরচ করা যাবে। ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যাবে। আর ‘সি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।’

বিদেশে প্রশিক্ষণের লাগাম টানার বিষয়ে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ট্রেজারি থেকে বিল হয় এমন কোন বিদেশভ্রমণ এখন মন্ত্রণালয়গুলো করতে পারবে না। সরকারি টাকায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে দরপত্রে থাকা দরদাতার ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তর সংক্রান্ত যে বিদেশ সফর রয়েছে সেগুলো বন্ধ থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে খুবই জোর দিয়েছেন জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ করে কোথাও কোথাও যদি এক ফসলি জমি থাকে, সেখানে তিন ফসল করার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। বাড়ির উঠানে শাকসবজি এগুলো করতে হবে।’

গাড়ি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া

মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানি তেল সাশ্রয়ে মন্ত্রীদের গাড়ি কম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি এটা নিয়ে। সব জায়গাতেই কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। যেমন পরিবহন বলতে মন্ত্রীদেরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন গাড়ি নিয়ে অত ছোটাছুটির দরকার নেই।’

সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। যেভাবে হোক আমরা যেন সাশ্রয়ী হই। অহেতুক এনার্জি ও টাকা-পয়সা খরচ না করি। আমি এরই মধ্যে আমার অফিস রুমে জানালার পর্দা তুলে দিয়েছি, ছোট লাইটগুলো বন্ধ রাখছি।’

সবাইকে ‘একটু সহযোগিতা করার জন্য উনি’ (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ অনুরোধ করেছেন উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কারণ এটা আমরা জানি না, কালকে-পরশু চুক্তি হলো, কালকেই আবার ইউক্রেনের ওদেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ হয়েছে। চুক্তি হয়েছে ইউক্রেন থেকে খাবারটা বেরিয়ে আসবে। বন্দর ছাড়া আসবে কীভাবে? এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে খাবার ও সার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে।’

করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিশে^র বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও ব্যয় সাশ্রয় করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানির সাশ্রয় ও রিজার্ভ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।

খালেদাকে ‘টুস’ করে ফেলে দেয়ার কথাটি পলিটিক্যাল হিউমার

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেয়ার কথাটি ‘পলিটিক্যাল হিউমার’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপিকে ‘চা খাওয়ার দাওয়াত’, এই বলে কি সংলাপের বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পলিটিক্যাল হিউমার’ আছে। যেমন বেগম জিয়াকে কি নেত্রী টুস করে ফেলে দিতে বলছেন? এটা তো একটা হিউমার। এটা তারা ঘেরাও করবেন, আন্দোলন করবেন, অভ্যুত্থান করবেন এটারই একটা জবাব। হিউমারের দিক থেকে উনি বলেছেন যে ঠিক আছে, আসেন। অবশ্য এটাও ঠিক, তারা যদি কোন ঘেরাও টেরাও নিয়ে আসে প্রধানমন্ত্রী বলতেও পারেন নেতাদের নিয়ে আসেন, এটা উনি করতেও পারেন।’

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সুযোগ থাকছে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখনও এসব নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। কাজেই আমি এ সিদ্ধান্তটা আগাম কেন বলব?’

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যায়নি, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে বিএনপির যাওয়াটা তাদের অধিকার। তারা এখন যদি নিজেরা ইচ্ছা করে না যান, সেখানে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে কি বলব? আমরা তাদের যদি বলি তাহলে বলব নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সবার যাওয়া উচিত। আমরা একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। সেজন্য বিএনপির মতো একটি বড় দল বাইরে থাকবে সেটি ঠিক নয়। আমরা মনে করি তারা আসুক। আমরা মনে প্রাণে চাই নির্বাচনটা তাদের সঙ্গে হোক।’