সরকার ইসিকে সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে : সিইসি

নির্বাচনের সময় যেটি হবে, তখন সরকার থাকবে। যে সরকারই হোক, একটা সরকার তো থাকবে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সরকারের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারব। আমরা বলব— এ সহযোগিতাগুলো আমাদের দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার তখন না করতে পারবে না, তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। গতকাল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা সাহায্য চাইব, সেটি কিন্তু আইনের আলোকেই চাইব এবং সে বিষয়েও আমাদের ভূমিকাটা দেখবেন। সত্যি সত্যি আমাদের ওপরে আরোপিত ক্ষমতাটার কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, শক্তিটা বিজিবির হাতে, শক্তিটা সেনাবাহিনীর হাতে, মূল শক্তিটা। শক্তিটা আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে, সেই ধরনের অবস্থা আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনেই সেটি অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের কাজটি খুব সহজ নয়, কঠিন। কঠিন হলেও এটিকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে এবং এই কঠিন কাজটি, চ্যালেঞ্জটি মোকাবিলা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সবার মধ্যে যদি চিন্তায় ঐক্য থাকে, চেতনায় ঐক্য থাকে, আমাদের বিশ্বাসে যদি আন্তরিকতা সততা থাকে। তাহলে আমরা যেকোন কঠিন কাজ, যেকোন কর্মযজ্ঞ যতই জটিল হোক না কেন, যতই অসাধ্য হোক না কেন। আমরা সেটিকে আমাদের সাধ্যে আনতে পারব।

নির্বাচন কমিশনের একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রয়াস থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, একটু আগেই বলেছেন (বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এক নেতা) নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান মোটাদাগে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা যায়। যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই প্রয়াসটা নেন। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা প্রয়োগ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান যদি কালকেই সংশোধন হয়, আমরা ওর আওতায় পড়ে যাব। ১৮তম হলে তার আওতায় পড়ে যাব। ১৯তম হলেও আমরা তার আওতায় পড়ে যাব। এতে আমাদের কোন অসুবিধা বা বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করব। আপনারা রাজনৈতিক শক্তি বা দল বা রাজনৈতিক শরিক দলগুলো যারা আছে, আপনারা নিজেদের পক্ষে চেষ্টাগুলো করে যান। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশটা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অনুকূল হয়। নির্বাচনের সময় সব দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

যে করেই হোক আমাকে জিততেই হবে। কোনভাবেই আমি হারব না। এই মনসতত্ত্ব যদি কারও মধ্যে থাকে, সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে জানান সিইসি।

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

সরকার ইসিকে সহযোগিতা না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে : সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নির্বাচনের সময় যেটি হবে, তখন সরকার থাকবে। যে সরকারই হোক, একটা সরকার তো থাকবে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা সরকারের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারব। আমরা বলব— এ সহযোগিতাগুলো আমাদের দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার তখন না করতে পারবে না, তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। গতকাল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা সাহায্য চাইব, সেটি কিন্তু আইনের আলোকেই চাইব এবং সে বিষয়েও আমাদের ভূমিকাটা দেখবেন। সত্যি সত্যি আমাদের ওপরে আরোপিত ক্ষমতাটার কমান্ড আমার হাতে, শক্তিটা পুলিশের হাতে, শক্তিটা বিজিবির হাতে, শক্তিটা সেনাবাহিনীর হাতে, মূল শক্তিটা। শক্তিটা আমার হাতে নয়, কমান্ডটা আমার হাতে আছে। আমরা কমান্ড করলে যেন শক্তিটা রেসপন্স করে, সেই ধরনের অবস্থা আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনেই সেটি অপরিহার্যভাবে প্রয়োজন।

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের কাজটি খুব সহজ নয়, কঠিন। কঠিন হলেও এটিকে আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে এবং এই কঠিন কাজটি, চ্যালেঞ্জটি মোকাবিলা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সবার মধ্যে যদি চিন্তায় ঐক্য থাকে, চেতনায় ঐক্য থাকে, আমাদের বিশ্বাসে যদি আন্তরিকতা সততা থাকে। তাহলে আমরা যেকোন কঠিন কাজ, যেকোন কর্মযজ্ঞ যতই জটিল হোক না কেন, যতই অসাধ্য হোক না কেন। আমরা সেটিকে আমাদের সাধ্যে আনতে পারব।

নির্বাচন কমিশনের একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রয়াস থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, একটু আগেই বলেছেন (বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এক নেতা) নির্বাচন কমিশনের সাধ্য অসীম নয়। অংশীজনের সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যমান মোটাদাগে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা যায়। যদি আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই প্রয়াসটা নেন। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা প্রয়োগ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান যদি কালকেই সংশোধন হয়, আমরা ওর আওতায় পড়ে যাব। ১৮তম হলে তার আওতায় পড়ে যাব। ১৯তম হলেও আমরা তার আওতায় পড়ে যাব। এতে আমাদের কোন অসুবিধা বা বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা অবশ্যই সংবিধান মান্য করব। আপনারা রাজনৈতিক শক্তি বা দল বা রাজনৈতিক শরিক দলগুলো যারা আছে, আপনারা নিজেদের পক্ষে চেষ্টাগুলো করে যান। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পরিবেশটা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অনুকূল হয়। নির্বাচনের সময় সব দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

যে করেই হোক আমাকে জিততেই হবে। কোনভাবেই আমি হারব না। এই মনসতত্ত্ব যদি কারও মধ্যে থাকে, সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে জানান সিইসি।