রেলের টিকেট বিক্রি ও সেবায় কোনো অবহেলা ছিল না : সহজ ডট কম

ট্রেনের টিকেট বিক্রয় বা সেবা প্রদানে কোন ধরনের অবহেলা ছিল না বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের টিকেট বিক্রয়কারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কম জেভি। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি’র গত ১৩ জুনের বিভিন্ন অভিযোগের উত্তর দেয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সহজ জেভি টাকা না পাওয়ায় টিকেট ইস্যু হয়নি, রনি’র মোবাইল ওয়ালেটে টাকা সাময়িকভাবে ‘ফ্রিজ’ হয়ে ছিল যা যথাসময়ে ‘আনফ্রিজ’ হয়ে গিয়েছিল মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি গত ১৩ জুন সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে রেলওয়ের ই-টিকেট পোর্টাল থেকে ঢাকা থেকে রাজশাহীর চারটি টিকেট কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ওই সময় তার এমএফএস অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তিনি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে তার মোবাইল ওয়ালেটে তিন হাজার টাকা জমা করেন এবং ৯টা ৩৭ মিনিটে টিকেটের ২ হাজার ৬৮০ টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রানজেকশনটি সম্পন্ন করতে না পারায় তার উক্ত টিকেট বুকিংটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ডিজিটাল রেকর্ড অনুসারে উল্লেখিত তারিখে ঐ গ্রাহকের নামে কোন টিকেট ইস্যুই হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ই-টিকেট পোর্টাল এর সব শর্ত মেনে নিয়েই মহিউদ্দিন রনির টিকেট কেনার কথা থাকলেও তা পূরণ করতে তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন।

এক্ষেত্রে মো. মহিউদ্দিন রনির টিকেটের কোন টাকা তার মোবাইল ওয়ালেট থেকে সহজ জেভি’র অ্যাকাউন্টে জমাও হয় নাই বরং টাকাটি তার নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় ছিল। যেহেতু গ্রাহকের টিকেটটি শর্তানুযায়ী সাকসেসফুল্লি ইস্যু হয়নি তাই তার মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের ভেতরে স্বয়ংক্রিয় রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতিতে পরবর্তীতে ‘আনফ্রিজ’ করে গ্রাহককে দিয়ে দেয়া হয়।

শর্তে উল্লেখিত সময়ের আগেই টাকা ফেরত পেয়েছিলেন রনি। রেলওয়ের টিকেটিং ওয়েবসাইট (www.eticket.railway.gov.bd) এর সকল নিয়ম ও শর্তাবলি মেনেই মো. রনিকে সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী (যা টিকেটিং অ্যাপ ও ওয়েবসাইটেও উল্লেখ আছে) ৮ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও দ্রুততম সময়ে সেবা নিশ্চিত করায় মো. রনি পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তার মোবাইল অ্যাকাউন্টে টিকেটের মূল্য বাবদ প্রদত্ত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পেয়ে যান।

সহজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির বলেন, ‘টিকেট সংক্রান্ত যে কোন ভোগান্তি খুবই অনাকাক্সিক্ষত। যদিও মহিউদ্দিন রনি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের এবং ব্যাংকের পেমেন্ট রিকনসিলিয়েশন পলিসি’র সকল ধরনের নিয়ম মেনেই যথাযথ সেবা প্রদান করা হয়েছে। সহজ লিমিটেড কোনভাবেই তার প্রতি দায়িত্বের অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করেনি।’

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

রেলের টিকেট বিক্রি ও সেবায় কোনো অবহেলা ছিল না : সহজ ডট কম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ট্রেনের টিকেট বিক্রয় বা সেবা প্রদানে কোন ধরনের অবহেলা ছিল না বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের টিকেট বিক্রয়কারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কম জেভি। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি’র গত ১৩ জুনের বিভিন্ন অভিযোগের উত্তর দেয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সহজ জেভি টাকা না পাওয়ায় টিকেট ইস্যু হয়নি, রনি’র মোবাইল ওয়ালেটে টাকা সাময়িকভাবে ‘ফ্রিজ’ হয়ে ছিল যা যথাসময়ে ‘আনফ্রিজ’ হয়ে গিয়েছিল মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি গত ১৩ জুন সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে রেলওয়ের ই-টিকেট পোর্টাল থেকে ঢাকা থেকে রাজশাহীর চারটি টিকেট কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ওই সময় তার এমএফএস অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তিনি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে তার মোবাইল ওয়ালেটে তিন হাজার টাকা জমা করেন এবং ৯টা ৩৭ মিনিটে টিকেটের ২ হাজার ৬৮০ টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিটের মধ্যে ট্রানজেকশনটি সম্পন্ন করতে না পারায় তার উক্ত টিকেট বুকিংটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ডিজিটাল রেকর্ড অনুসারে উল্লেখিত তারিখে ঐ গ্রাহকের নামে কোন টিকেট ইস্যুই হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ই-টিকেট পোর্টাল এর সব শর্ত মেনে নিয়েই মহিউদ্দিন রনির টিকেট কেনার কথা থাকলেও তা পূরণ করতে তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন।

এক্ষেত্রে মো. মহিউদ্দিন রনির টিকেটের কোন টাকা তার মোবাইল ওয়ালেট থেকে সহজ জেভি’র অ্যাকাউন্টে জমাও হয় নাই বরং টাকাটি তার নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় ছিল। যেহেতু গ্রাহকের টিকেটটি শর্তানুযায়ী সাকসেসফুল্লি ইস্যু হয়নি তাই তার মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের ভেতরে স্বয়ংক্রিয় রিকনসিলিয়েশন পদ্ধতিতে পরবর্তীতে ‘আনফ্রিজ’ করে গ্রাহককে দিয়ে দেয়া হয়।

শর্তে উল্লেখিত সময়ের আগেই টাকা ফেরত পেয়েছিলেন রনি। রেলওয়ের টিকেটিং ওয়েবসাইট (www.eticket.railway.gov.bd) এর সকল নিয়ম ও শর্তাবলি মেনেই মো. রনিকে সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী (যা টিকেটিং অ্যাপ ও ওয়েবসাইটেও উল্লেখ আছে) ৮ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও দ্রুততম সময়ে সেবা নিশ্চিত করায় মো. রনি পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তার মোবাইল অ্যাকাউন্টে টিকেটের মূল্য বাবদ প্রদত্ত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পেয়ে যান।

সহজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির বলেন, ‘টিকেট সংক্রান্ত যে কোন ভোগান্তি খুবই অনাকাক্সিক্ষত। যদিও মহিউদ্দিন রনি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের এবং ব্যাংকের পেমেন্ট রিকনসিলিয়েশন পলিসি’র সকল ধরনের নিয়ম মেনেই যথাযথ সেবা প্রদান করা হয়েছে। সহজ লিমিটেড কোনভাবেই তার প্রতি দায়িত্বের অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করেনি।’