গত ৩১ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) যে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে ছবি তুলে তা পাঠিয়ে দেন সহযোগীদের কাছে। মিল্টনের কাছ থেকে পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পেয়ে তা টার্গেট পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে সহযোগীরা। যদিও পরে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে পরীক্ষাটি বাতিল করেছে মাউশি। পরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
গতকাল ডিবির তেজাগাঁও জোনাল টিমের এডিসি সাহাদত হোসেন সোমার নেতৃত্বাধীন টিম বিসিএস ৩১ ব্যাচের শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখরকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড হেফাজতে নেয়া হয়েছে চন্দ্র শেখর হালদারকে। এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদারকেই প্রশ্ন ফাঁসের মূল কারিগর বলছেন ডিবির কর্মকর্তারাও।
ডিবি জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যেই গ্রেপ্তার হলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় শিক্ষা ক্যাডার চন্দ্র শেখরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড হেফাজতে পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাহাদাত হোসেন সোমা জানান, সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রশ্ন ফাঁসের মূলে ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ শেষে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর চন্দ্র শেখর হালদার নামের ওই কর্মকর্তাকে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এডিসি সোমা জানান, এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড হেফাজতে আনার আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। রিমান্ড হেফাজতে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গ্রেপ্তার চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
ডিবি জানিয়েছে গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে গোয়েন্দা দল খবর পায় প্রশ্ন ফাঁসের। ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরিপ্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল। তখন প্রশ্ন ফাঁসের মূলে শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনের নাম এসেছিল। কিন্তু কোন প্রমাণ ছিল না বলে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে সুমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন ও সাইফুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়ার্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তার মোবাইলে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাউশির বরাত দিয়ে ডিবি জানিয়েছে, ১৩ মে ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৫১৩টি পদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার। ওই নিয়োগ পরীক্ষা পরবর্তীতে বাতিল করে মাউশি।
ডিবি তেজগাঁও কর্মকর্তারা জানান, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন একসময় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে ৩১ ব্যাচে তিনি চাকরি পেয়ে মাউশিতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। তারা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বদলি ও এমপিওভুক্তি, পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিবেদন দেয়াসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত।
মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গত ৩১ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) যে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি থেকে শুরু করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে ছবি তুলে তা পাঠিয়ে দেন সহযোগীদের কাছে। মিল্টনের কাছ থেকে পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পেয়ে তা টার্গেট পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে সহযোগীরা। যদিও পরে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে পরীক্ষাটি বাতিল করেছে মাউশি। পরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
গতকাল ডিবির তেজাগাঁও জোনাল টিমের এডিসি সাহাদত হোসেন সোমার নেতৃত্বাধীন টিম বিসিএস ৩১ ব্যাচের শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখরকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড হেফাজতে নেয়া হয়েছে চন্দ্র শেখর হালদারকে। এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদারকেই প্রশ্ন ফাঁসের মূল কারিগর বলছেন ডিবির কর্মকর্তারাও।
ডিবি জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যেই গ্রেপ্তার হলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় শিক্ষা ক্যাডার চন্দ্র শেখরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড হেফাজতে পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাহাদাত হোসেন সোমা জানান, সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন সময়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রশ্ন ফাঁসের মূলে ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ শেষে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর চন্দ্র শেখর হালদার নামের ওই কর্মকর্তাকে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এডিসি সোমা জানান, এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড হেফাজতে আনার আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। রিমান্ড হেফাজতে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গ্রেপ্তার চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
ডিবি জানিয়েছে গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে গোয়েন্দা দল খবর পায় প্রশ্ন ফাঁসের। ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরিপ্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল। তখন প্রশ্ন ফাঁসের মূলে শিক্ষা কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনের নাম এসেছিল। কিন্তু কোন প্রমাণ ছিল না বলে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পরে সুমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন ও সাইফুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়ার্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তার মোবাইলে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাউশির বরাত দিয়ে ডিবি জানিয়েছে, ১৩ মে ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৫১৩টি পদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার। ওই নিয়োগ পরীক্ষা পরবর্তীতে বাতিল করে মাউশি।
ডিবি তেজগাঁও কর্মকর্তারা জানান, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন একসময় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে ৩১ ব্যাচে তিনি চাকরি পেয়ে মাউশিতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। তারা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বদলি ও এমপিওভুক্তি, পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিবেদন দেয়াসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত।