প্রধান আসামি জামায়াত নেতা মানিক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না

মোবাইল ফোনে রংপুরের বদরগঞ্জে ডেকে এনে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত সহকারী আবদুল মজিদকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ৫ দিন পর মামলা নিলেও প্রধান আসামি জামায়াত নেতা শহিদুল হক মানিককে দীর্ঘ দুই মাসেও গ্রেপ্তার করেনি।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ এক সপ্তাহ ধরে প্রধান আসামি মানিক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার না করে তাকে মামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এদিকে নিহত ইউএনওর একান্ত সহকারী মজিদ হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিককে গ্রেপ্তার না করার ঘটনায় বদরগজ্ঞে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশের ভূমিকাকে পক্ষপাতমূলক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে দৈনিক সংবাদে পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি খবর প্রকাশিত হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রহস্যজনক ভাবে নীরবতা পালন করছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।

নিহত আবদুল মজিদের স্ত্রী বিলকিস বেগম ও তার বাবা মজিবর রহমান অভিযোগ করেছে হত্যাকা-ের প্রথম থেকে বদরগজ্ঞ থানার ওসি হাবিবুর রহমান ওসি তদন্ত নুর আলম পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে ইউডি মামলা রেকর্ড করে হাসপাতালের সিসি ফুটেজ সরিয়ে ফেলাসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।

তারা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সাইদার মেম্বারকে ঘটনার পরেই ধরে এনে থানায় এক রাত একদিন আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেয়। ঊর্ধতন মহলের চাপে ঘটনার ৫ দিন পর মামলা রেকর্ড করার পর আসামি সাইদার মেম্বারকে বাসা থেকে ডেকে এনে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়।

এসব ঘটনায় বদরগজ্ঞ উপজেলা সদরে নিহতের স্বজন ও বদরগজ্ঞের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুধীমহল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ সাইদার মেম্বারকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে। শেষ পর্যন্ত আসামি সাইদার মেম্বার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ঘটনার মুল হোতা হিসেবে স্থানীয় কালু পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা শহিদুল হক মানিকসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মানিকের বাড়িতেই মজিদকে হত্যা করার বর্ণনা দেয়।

নিহত মজিদের স্ত্রী বিলকিছ বেগম ও বাবা মজিবর রহমান আরও অভিযোগ করে মামলা দায়ের করার প্রথম থেকেই আমরা বদরগজ্ঞ থানা পুলিশকে হত্যাকা-ের মুল হোতা হিসেবে মানিক চেয়ারম্যানের কথা বললেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সাইদার মেম্বার যখন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে মানিক চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে তারপর পুলিশ মানিক চেয়ারম্যানকে অন্যত্র চলে যাওয়াতে সহায়তা করে।

এরপর তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি অভিযান পরিচালনা করার সাজানো নাটক করে ওসি তদন্ত নুর আলম। এখন প্রধান আসামী প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। উল্টো জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সিগনাল না পাবার কথা পুলিশ বলছে বলে তারা অভিযোগ করেছে।

এ ব্যাপারে বদরগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম জানান আইনের উর্ধে কেউ নয় সংসদ সদস্যরাও অপরাধ করলেও প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দেননি। তিনি প্রশ্ন করেন মানিক চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় তাদের দূর্বলতা কোথায়?।

এ ব্যাপারে বদরগজ্ঞ থানার ওসি তদন্ত নুর আলমের সাথে মোবাইল ফোনে ে যাগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে ফোনের লা¦নি কেটে দেন।

উল্লেখ্য গত ২৮ মে নিহত মজিদকে ফোন করে বদরগঞ্জে ডেকে আনেন সাইদার মেম্বার আবু সাঈদ নামে দুব্যাক্তি। নিহত আব্দুল মজিদ মটর সাইকেলে করে তার কর্মস্থল থেকে সরাসরি বদরগজ্ঞে আসেন। এরপর তাকে অন্যদের সহায়তায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ বদরগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় খুনিরা। যেহেতু হাসপাতালে সিসি টিভি আছে সে কারনে খুনিদের বাঁচাতে ওই সময়ের ফুুটেজ ওসি কৌশলে সরিয়ে ফেলে বলে ্অভিযোগ উঠেছে। । এঘটনার পর ওসি হাবিবুর রহমান নিহত আব্দুল মজিদের পরিবারের দেয়া মামলা না নিয়ে একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা রেকর্ড করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ৫ দিন পর হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। ####২৫.০৭.২২

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ , ১১ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৭ জিলহজ ১৪৪৩

রংপুরের আবদুল মজিদ হত্যা

প্রধান আসামি জামায়াত নেতা মানিক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

মোবাইল ফোনে রংপুরের বদরগঞ্জে ডেকে এনে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত সহকারী আবদুল মজিদকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ৫ দিন পর মামলা নিলেও প্রধান আসামি জামায়াত নেতা শহিদুল হক মানিককে দীর্ঘ দুই মাসেও গ্রেপ্তার করেনি।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ এক সপ্তাহ ধরে প্রধান আসামি মানিক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার না করে তাকে মামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এদিকে নিহত ইউএনওর একান্ত সহকারী মজিদ হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিককে গ্রেপ্তার না করার ঘটনায় বদরগজ্ঞে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশের ভূমিকাকে পক্ষপাতমূলক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে দৈনিক সংবাদে পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি খবর প্রকাশিত হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রহস্যজনক ভাবে নীরবতা পালন করছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।

নিহত আবদুল মজিদের স্ত্রী বিলকিস বেগম ও তার বাবা মজিবর রহমান অভিযোগ করেছে হত্যাকা-ের প্রথম থেকে বদরগজ্ঞ থানার ওসি হাবিবুর রহমান ওসি তদন্ত নুর আলম পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে ইউডি মামলা রেকর্ড করে হাসপাতালের সিসি ফুটেজ সরিয়ে ফেলাসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন।

তারা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সাইদার মেম্বারকে ঘটনার পরেই ধরে এনে থানায় এক রাত একদিন আটকে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেয়। ঊর্ধতন মহলের চাপে ঘটনার ৫ দিন পর মামলা রেকর্ড করার পর আসামি সাইদার মেম্বারকে বাসা থেকে ডেকে এনে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়।

এসব ঘটনায় বদরগজ্ঞ উপজেলা সদরে নিহতের স্বজন ও বদরগজ্ঞের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুধীমহল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ সাইদার মেম্বারকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে। শেষ পর্যন্ত আসামি সাইদার মেম্বার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে ঘটনার মুল হোতা হিসেবে স্থানীয় কালু পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা শহিদুল হক মানিকসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মানিকের বাড়িতেই মজিদকে হত্যা করার বর্ণনা দেয়।

নিহত মজিদের স্ত্রী বিলকিছ বেগম ও বাবা মজিবর রহমান আরও অভিযোগ করে মামলা দায়ের করার প্রথম থেকেই আমরা বদরগজ্ঞ থানা পুলিশকে হত্যাকা-ের মুল হোতা হিসেবে মানিক চেয়ারম্যানের কথা বললেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সাইদার মেম্বার যখন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে মানিক চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে তারপর পুলিশ মানিক চেয়ারম্যানকে অন্যত্র চলে যাওয়াতে সহায়তা করে।

এরপর তার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি অভিযান পরিচালনা করার সাজানো নাটক করে ওসি তদন্ত নুর আলম। এখন প্রধান আসামী প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। উল্টো জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সিগনাল না পাবার কথা পুলিশ বলছে বলে তারা অভিযোগ করেছে।

এ ব্যাপারে বদরগজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম জানান আইনের উর্ধে কেউ নয় সংসদ সদস্যরাও অপরাধ করলেও প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দেননি। তিনি প্রশ্ন করেন মানিক চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় তাদের দূর্বলতা কোথায়?।

এ ব্যাপারে বদরগজ্ঞ থানার ওসি তদন্ত নুর আলমের সাথে মোবাইল ফোনে ে যাগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে ফোনের লা¦নি কেটে দেন।

উল্লেখ্য গত ২৮ মে নিহত মজিদকে ফোন করে বদরগঞ্জে ডেকে আনেন সাইদার মেম্বার আবু সাঈদ নামে দুব্যাক্তি। নিহত আব্দুল মজিদ মটর সাইকেলে করে তার কর্মস্থল থেকে সরাসরি বদরগজ্ঞে আসেন। এরপর তাকে অন্যদের সহায়তায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর লাশ বদরগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় খুনিরা। যেহেতু হাসপাতালে সিসি টিভি আছে সে কারনে খুনিদের বাঁচাতে ওই সময়ের ফুুটেজ ওসি কৌশলে সরিয়ে ফেলে বলে ্অভিযোগ উঠেছে। । এঘটনার পর ওসি হাবিবুর রহমান নিহত আব্দুল মজিদের পরিবারের দেয়া মামলা না নিয়ে একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা রেকর্ড করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ৫ দিন পর হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। ####২৫.০৭.২২