পেট্রল-অকটেনের মজুদ নিয়ে শঙ্কা নেই : বিপিসি

যানবাহনের জ্বালানি পেট্রল এবং অকটেনের মজুদ কমে গেছে মর্মে গতকাল একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা চলছে।

রাজধানীর কিছু পেট্রল পাম্প যানবাহনে তেল দেয়া সীমিত করেছে বলেও খবরে বলা হয়।

তবে বিপিসি বলছে, পেট্রল-অকটেনের মজুদ নিয়ে শঙ্কার কারণ দেখছে না তারা। কারণ দেশের গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত কনডেনস্টে থেকে মাসে যে পরিমাণ পেট্রল-অকটেন পাওয়া যায়, তা দিয়ে দৈনিক চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়।

বিপিসির কাছে বরাবরাই ১২ থেকে ১৫ দিনের পেট্রল-অকটেন মজুদ থাকে।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড দেশীয় গ্যাস ফিল্ডের উপজাত থেকে পরিশোধনের মাধ্যমে এমওগ্যাস (রেগুলার) উৎপাদন করে, যা পেট্রল নামে বাজারে বিপণন করা হয়। একইভাবে এই রিফাইনারি থেকে এমওগ্যাস (প্রিমিয়াম) নামে উৎপাদিত পণ্য বাজারে অকটেন নামে বিপণন করা হয়ে থাকে।

বিপিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১৪-১৫ দিনের পেট্রল-অকটেন মজুদ আছে। এটা সাফিসিয়েন্ট। ইস্টার্ন রিফাইনারি এবং বেসরকারি ফ্র্যাকশন প্ল্যান্ট থেকে মাসিক যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে তাতে দৈনিক চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। কিছু আমদানি করা হয়। আগামী ২৮ তারিখ একটা জাহাজ আসছে। সুতরাং শঙ্কার তো কোন কারণ দেখি না।

পেট্রল-অকটেন সংকটের খবর ‘গুজব’ ছাড়া কিছু নয় বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

যানবাহনে পেট্রল অকেটেন সীমিত পরিমাপে দেয়ার বিষয়ে পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক গতকাল রাতে সংবাদকে বলেন, ‘শুনেছি দু-একটা পাম্প এসব করছে। তবে এখন মনে হয় ঠিক হয়ে গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন নির্দেশনা নেই জানিয়ে নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ পাম্প গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছি। আমরা চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছি, দিতে তো সমস্যা নাই।’

বিপিসি জানায়, দেশে অকটেন ও পেট্রলের স্বাভাবিক গড় চাহিদা মাসিক যথাক্রমে ৩৬ হাজার টন এবং ৩৯ হাজার টন। বর্তমান মজুদ, আমদানিকৃত অপেক্ষমাণ জাহাজ এবং এবং দেশীয় উৎপাদন কোন প্রকার সংকট ছাড়াই এই চাহিদার পুরোটাই যোগান দিতে সক্ষম।

বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২ , ১২ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৮ জিলহজ ১৪৪৩

পেট্রল-অকটেনের মজুদ নিয়ে শঙ্কা নেই : বিপিসি

ফয়েজ আহমেদ তুষার

যানবাহনের জ্বালানি পেট্রল এবং অকটেনের মজুদ কমে গেছে মর্মে গতকাল একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা চলছে।

রাজধানীর কিছু পেট্রল পাম্প যানবাহনে তেল দেয়া সীমিত করেছে বলেও খবরে বলা হয়।

তবে বিপিসি বলছে, পেট্রল-অকটেনের মজুদ নিয়ে শঙ্কার কারণ দেখছে না তারা। কারণ দেশের গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে উপজাত হিসেবে প্রাপ্ত কনডেনস্টে থেকে মাসে যে পরিমাণ পেট্রল-অকটেন পাওয়া যায়, তা দিয়ে দৈনিক চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়।

বিপিসির কাছে বরাবরাই ১২ থেকে ১৫ দিনের পেট্রল-অকটেন মজুদ থাকে।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড দেশীয় গ্যাস ফিল্ডের উপজাত থেকে পরিশোধনের মাধ্যমে এমওগ্যাস (রেগুলার) উৎপাদন করে, যা পেট্রল নামে বাজারে বিপণন করা হয়। একইভাবে এই রিফাইনারি থেকে এমওগ্যাস (প্রিমিয়াম) নামে উৎপাদিত পণ্য বাজারে অকটেন নামে বিপণন করা হয়ে থাকে।

বিপিসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১৪-১৫ দিনের পেট্রল-অকটেন মজুদ আছে। এটা সাফিসিয়েন্ট। ইস্টার্ন রিফাইনারি এবং বেসরকারি ফ্র্যাকশন প্ল্যান্ট থেকে মাসিক যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে তাতে দৈনিক চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। কিছু আমদানি করা হয়। আগামী ২৮ তারিখ একটা জাহাজ আসছে। সুতরাং শঙ্কার তো কোন কারণ দেখি না।

পেট্রল-অকটেন সংকটের খবর ‘গুজব’ ছাড়া কিছু নয় বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

যানবাহনে পেট্রল অকেটেন সীমিত পরিমাপে দেয়ার বিষয়ে পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক গতকাল রাতে সংবাদকে বলেন, ‘শুনেছি দু-একটা পাম্প এসব করছে। তবে এখন মনে হয় ঠিক হয়ে গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন নির্দেশনা নেই জানিয়ে নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ পাম্প গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছি। আমরা চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছি, দিতে তো সমস্যা নাই।’

বিপিসি জানায়, দেশে অকটেন ও পেট্রলের স্বাভাবিক গড় চাহিদা মাসিক যথাক্রমে ৩৬ হাজার টন এবং ৩৯ হাজার টন। বর্তমান মজুদ, আমদানিকৃত অপেক্ষমাণ জাহাজ এবং এবং দেশীয় উৎপাদন কোন প্রকার সংকট ছাড়াই এই চাহিদার পুরোটাই যোগান দিতে সক্ষম।