পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণের আলোকে বিভিন্ন প্রকল্প কমিটির সভার সম্মানী বাবদ কোন অর্থ ব্যয় না করা এবং জ¦ালানি ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য সরকারের অনুশাসন পালন করে বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এক সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসারে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ব্যয় ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা’ (এপিপি) করতে হবে। এই পরিকল্পনা আগামী ৩১ জুলাই ‘এপিএ সফটওয়্যারে’ আপলোড করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব প্রকার যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে উল্লেখ করে ইউজিসির সভায় বলা হয়, শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনোহারী, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ দেয়া অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে উল্লেখ করে ইউজিসি আরও জানিয়েছে, পেট্রোল, ওয়েল এবং লুব্রিকেন্ট ও গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ দেয়া অর্থের ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে। এছাড়া সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব ধরনের প্রকল্প, কর্মসূচি, স্কিমগুলোর ক্ষেত্রে সম্মানী খাতে বরাদ্দ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ কোন অর্থ ব্যয় করা যাবে না। খাতগুলোর অব্যয়িত অর্থ অন্য কোন খাতে স্থানান্তর না করারও নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে সংস্থার অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শাহ আলম, বাজেট শাখার উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার, হিসাব বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।