জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ইইউর
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম বলছে, প্রধান পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেয়া হবে।
তবে গ্যাজপ্রমের পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মানি। দেশটির সরকার বলছে, গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার কোনো প্রযুক্তিগত কারণ নেই। জ্বালানিকে রাশিয়া অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে।
রাশিয়া সরবরাহ আরও কমিয়ে দিলে আসছে শীতের আগে ইউরোপের দেশগুলোর পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ করা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতে ইউরোপের দেশে গ্যাসের ব্যাবহার অনেক বেশি থাকে। নর্ড স্ট্রিম ওয়ান গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম গ্যাস উৎপাদন করছে। এ মাসেই রক্ষণাবেক্ষণ বিরতির কারণে দশদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল উৎপাদন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্ডস্ট্রিম-১ পাইপলাইনে আরেকটি টার্বাইন বন্ধ করলে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে, যা বর্তমানে সরবরাহকৃত গ্যাসকে অর্ধেকে নামিয়ে আনবে। গ্যাজপ্রমের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ কমানো হলে শীতের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাসের মজুত করা আরো কঠিন হবে। শীতকালে ইউরোপে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কারণ নাগরিকদের আবাসনগুলো গরম রাখার জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
রাশিয়া এরই মধ্যে রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে রাজি না হওয়ায় পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপের জবাবে প্রাকৃতিক গ্যাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। সেখানে গ্যাসের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সেই হাওয়া লেগেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।
রাশিয়ার গ্যাস উত্তোলন ও বিতরণকারী সরকারি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের একটি প্রকল্প নর্ড স্ট্রিম এজি পাইপলাইন। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া; পরে জার্মানির কাছ থেকে সেই গ্যাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। ২০০৫ সাল থেকে চালু হয় এই প্রকল্প।
বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২ , ১২ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৮ জিলহজ ১৪৪৩
জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ইইউর
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম বলছে, প্রধান পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেয়া হবে।
তবে গ্যাজপ্রমের পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মানি। দেশটির সরকার বলছে, গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার কোনো প্রযুক্তিগত কারণ নেই। জ্বালানিকে রাশিয়া অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে।
রাশিয়া সরবরাহ আরও কমিয়ে দিলে আসছে শীতের আগে ইউরোপের দেশগুলোর পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ করা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতে ইউরোপের দেশে গ্যাসের ব্যাবহার অনেক বেশি থাকে। নর্ড স্ট্রিম ওয়ান গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম গ্যাস উৎপাদন করছে। এ মাসেই রক্ষণাবেক্ষণ বিরতির কারণে দশদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল উৎপাদন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্ডস্ট্রিম-১ পাইপলাইনে আরেকটি টার্বাইন বন্ধ করলে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে, যা বর্তমানে সরবরাহকৃত গ্যাসকে অর্ধেকে নামিয়ে আনবে। গ্যাজপ্রমের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ কমানো হলে শীতের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত গ্যাসের মজুত করা আরো কঠিন হবে। শীতকালে ইউরোপে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কারণ নাগরিকদের আবাসনগুলো গরম রাখার জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
রাশিয়া এরই মধ্যে রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে রাজি না হওয়ায় পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপের জবাবে প্রাকৃতিক গ্যাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। সেখানে গ্যাসের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সেই হাওয়া লেগেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।
রাশিয়ার গ্যাস উত্তোলন ও বিতরণকারী সরকারি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের একটি প্রকল্প নর্ড স্ট্রিম এজি পাইপলাইন। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া; পরে জার্মানির কাছ থেকে সেই গ্যাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। ২০০৫ সাল থেকে চালু হয় এই প্রকল্প।