ইভিএম কোনভাবেই হ্যাকিং সম্ভব নয় : সিইসি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কোনভাবেই হ্যাকিং সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অষ্টম দিনে জাকের পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এ তথ্য জানান।

হ্যাকিং হচ্ছে অনুমতি ছাড়া কোন সিস্টেম বা কম্পিউটারে প্রবেশ, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, পরিবর্তন। এটি ডিজিটাল চুরি হিসেবেও গণ্য হয়।

জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে। সংলাপে দলটি ইভিএম পদ্ধতিতে কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্লক চেইন টেকনোলজি ও ই-ভোটিং চালুর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু হ্যাকিংটা সম্ভব নয়। হ্যাকিংটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ এটি স্ট্যান্ড অ্যালন সিস্টেম। এটি ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। এটাকে বহুভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা করে যাচ্ছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বাইরে অনেক কথাই চাউর আছে যে, এটা হ্যাকিং হতে পারে বা এটাতে ভোট চুরি হতে পারে। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোন এভিডেন্স পাইনি। এ বিষয়টি কেবল অবহিত করছি। আমরা ইভিএমের ওপর এখনও কোন কাজ করি না। যাতে কোন অপপ্রয়োগ সম্ভব না নয়, সেটা নিশ্চিত করে তারপর ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব’।

সিইসি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এটা অর্জন করতে হলে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য সব দলের সক্রিয় সহায়তা চাই। কারণ নির্বাচনের মাঠকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব পার্টিকে থাকতে হবে। সবাই যদি থাকেন তাহলে নির্বাচনের মাঠে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজটি কমে যায়। রাজনৈতিক দলগুলো একটি ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারে।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দুপুরে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনে ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের সভাপতি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সংলাপে সব দলের জন্য এক ঘণ্টা আর বিএনপি-আওয়ামী লীগের জন্য বেশি সময় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতেই ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’ বিগত দুটি কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে ডুবিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের সিদ্দিকী। সংলাপের স্বাগত বক্তব্যে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা (কমিশন) বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে অংশগ্রহণমূলক হবে না। বিএনপি-আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচন মূলত ভোটারদের নিয়ে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে কীভাবে আসবেন সেটা নিশ্চিত করবেন আপনারা।’ ইভিএমে ভুল ধরিয়ে দিলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কমিশনের পদে থেকে এই ধরনের বক্তব্য দেয়া ঠিক নয়।’ জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা ভুলে একজন নির্বাচন কমিশনার দিয়ে ফেলেছেন। আমার মুখ থেকে এমন শব্দ আমি উচ্চারণও করিনি। এটা বিভ্রান্তি।’

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রসঙ্গ নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন সিইসি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে কেন নির্দেশনা মানাতে পারলেন না। আর ক্ষমতা না থাকলে তাকে সেই নির্দেশনা দিলেন কেন?’ জবাবে সিইসি বলেন, ‘তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে না বলে এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছিল। তার ব্যাখ্যাটা সে সময় দিয়েছি।’

তলোয়ার-রাইফেল নিয়ে বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেও কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনার (সিইসি) ব্যাখ্যা আমি গ্রহণ করেছি, এটা কথার কথা বলেছেন।’ নীতির সঙ্গে কখনো বিরোধী হলে সিইসিকে পদত্যাগ করার পরামর্শও দেন কাদের সিদ্দিকী।

সংলাপে দলটির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আগের কমিশনগুলো সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নিদারুণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাকিব কমিশন উপহার দিয়েছে ১৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন সংসদ সদস্য। নূরুল হুদা কমিশন নির্ঘুম নৈশ ভোটের প্রহসনের মাধ্যমে পুরো জাতি এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বকে হতাশ করেছে। এ দুটো কমিশনই বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।’

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করার পক্ষেও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের পর সিইসি বলেন, ‘আমরা মেরুদ- বাঁকা করে না, নতজানু করে না, আমরা মেরুদ- শক্ত রাখার চেষ্টা করব। কামিয়াব কতটুকু হব, সেটা আল্লাহ পাক জানেন। আমরা সংলাপ শেষে আপনাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে সরকারের এবং সবার কাছে পৌঁছে দেব।’ কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচনকালে সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে আমরা ক্ষমতা প্রয়োগ করব আপনাদের সহায়তা নিয়ে। সরকারও সহয়তা করবে বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে তার যে সক্ষমতা এবং শক্তি, সেটা প্রদর্শন করতে হবে বলে আপনারা বলেছেন। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা সেই চেষ্টাটা অবশ্যই করব। সেক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা, সমর্থন লাগবে।’

গতকাল সকালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সংলাপ থাকলেও অংশ নেয়নি আন্দালিভ রহমান পার্থর দল বিজেপি। সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির সশ্লিংষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গণফোরাম, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাণি) এবং দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩১ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বিকেল ৩টায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির ধারবাহিক সংলাপ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২ , ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

ইভিএম কোনভাবেই হ্যাকিং সম্ভব নয় : সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কোনভাবেই হ্যাকিং সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অষ্টম দিনে জাকের পার্টির সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এ তথ্য জানান।

হ্যাকিং হচ্ছে অনুমতি ছাড়া কোন সিস্টেম বা কম্পিউটারে প্রবেশ, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, পরিবর্তন। এটি ডিজিটাল চুরি হিসেবেও গণ্য হয়।

জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে। সংলাপে দলটি ইভিএম পদ্ধতিতে কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্লক চেইন টেকনোলজি ও ই-ভোটিং চালুর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু হ্যাকিংটা সম্ভব নয়। হ্যাকিংটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ এটি স্ট্যান্ড অ্যালন সিস্টেম। এটি ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। এটাকে বহুভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা করে যাচ্ছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বাইরে অনেক কথাই চাউর আছে যে, এটা হ্যাকিং হতে পারে বা এটাতে ভোট চুরি হতে পারে। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোন এভিডেন্স পাইনি। এ বিষয়টি কেবল অবহিত করছি। আমরা ইভিএমের ওপর এখনও কোন কাজ করি না। যাতে কোন অপপ্রয়োগ সম্ভব না নয়, সেটা নিশ্চিত করে তারপর ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব’।

সিইসি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এটা অর্জন করতে হলে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য সব দলের সক্রিয় সহায়তা চাই। কারণ নির্বাচনের মাঠকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব পার্টিকে থাকতে হবে। সবাই যদি থাকেন তাহলে নির্বাচনের মাঠে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের কাজটি কমে যায়। রাজনৈতিক দলগুলো একটি ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারে।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দুপুরে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচনে ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের সভাপতি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সংলাপে সব দলের জন্য এক ঘণ্টা আর বিএনপি-আওয়ামী লীগের জন্য বেশি সময় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতেই ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’ বিগত দুটি কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে ডুবিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের সিদ্দিকী। সংলাপের স্বাগত বক্তব্যে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা (কমিশন) বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে অংশগ্রহণমূলক হবে না। বিএনপি-আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচন মূলত ভোটারদের নিয়ে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে কীভাবে আসবেন সেটা নিশ্চিত করবেন আপনারা।’ ইভিএমে ভুল ধরিয়ে দিলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কমিশনের পদে থেকে এই ধরনের বক্তব্য দেয়া ঠিক নয়।’ জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা ভুলে একজন নির্বাচন কমিশনার দিয়ে ফেলেছেন। আমার মুখ থেকে এমন শব্দ আমি উচ্চারণও করিনি। এটা বিভ্রান্তি।’

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রসঙ্গ নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন সিইসি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে কেন নির্দেশনা মানাতে পারলেন না। আর ক্ষমতা না থাকলে তাকে সেই নির্দেশনা দিলেন কেন?’ জবাবে সিইসি বলেন, ‘তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে না বলে এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছিল। তার ব্যাখ্যাটা সে সময় দিয়েছি।’

তলোয়ার-রাইফেল নিয়ে বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেও কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনার (সিইসি) ব্যাখ্যা আমি গ্রহণ করেছি, এটা কথার কথা বলেছেন।’ নীতির সঙ্গে কখনো বিরোধী হলে সিইসিকে পদত্যাগ করার পরামর্শও দেন কাদের সিদ্দিকী।

সংলাপে দলটির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আগের কমিশনগুলো সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নিদারুণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাকিব কমিশন উপহার দিয়েছে ১৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন সংসদ সদস্য। নূরুল হুদা কমিশন নির্ঘুম নৈশ ভোটের প্রহসনের মাধ্যমে পুরো জাতি এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বকে হতাশ করেছে। এ দুটো কমিশনই বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।’

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করার পক্ষেও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের পর সিইসি বলেন, ‘আমরা মেরুদ- বাঁকা করে না, নতজানু করে না, আমরা মেরুদ- শক্ত রাখার চেষ্টা করব। কামিয়াব কতটুকু হব, সেটা আল্লাহ পাক জানেন। আমরা সংলাপ শেষে আপনাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে সরকারের এবং সবার কাছে পৌঁছে দেব।’ কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচনকালে সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে আমরা ক্ষমতা প্রয়োগ করব আপনাদের সহায়তা নিয়ে। সরকারও সহয়তা করবে বলে বিশ্বাস করি। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে তার যে সক্ষমতা এবং শক্তি, সেটা প্রদর্শন করতে হবে বলে আপনারা বলেছেন। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা সেই চেষ্টাটা অবশ্যই করব। সেক্ষেত্রে আপনাদের সহায়তা, সমর্থন লাগবে।’

গতকাল সকালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সংলাপ থাকলেও অংশ নেয়নি আন্দালিভ রহমান পার্থর দল বিজেপি। সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির সশ্লিংষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় গণফোরাম, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাণি) এবং দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩১ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বিকেল ৩টায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির ধারবাহিক সংলাপ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।