রাজশাহীতে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখে রাবির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা

টিকেট কাটার পরও ট্রেনে জায়গা হয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা অনেক শিক্ষার্থীর। আবার অনেকেই ট্রেনের টিকেট না সংগ্রহ করেই চেপে বসেন ট্রেনের সিটে। গতকাল বিকেল ৪টায় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার আগে জায়গা না হওয়ায় ভর্তিচ্ছু অনেক শিক্ষার্থীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এতে ফুঁসে ওঠে রাজশাহীতে আসা ভর্তিচ্ছুরা। এক পর্যায়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকা ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্টেশন প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ২টায় ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রাবির ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অনেকেই টিকেট কেটেছেন (সিট ও স্ট্যান্ডিং)। যারা টিকেট পেয়েছেন তারা তো বিকেল ৪টার ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে নির্দিষ্ট সময়েই উঠে পড়েন। আবার হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশই টিকেট না কেটেই ট্রেনে উঠে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের ট্রেনে দাঁড়ানোর জায়গার চরম সংকট দেখা দেয়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেন কর্তৃপক্ষ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা বিকেল ৪টার পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিক্ষুব্ধরা আটকে দিয়ে সেখানে রেললাইনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রাত ১১টা ২০ মিনিটের ধূমকেতু এক্সপ্রেসে ট্রেন তাদেরকে ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দেন। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

ইমন নামের বিক্ষুব্ধ এক ভর্তিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন ‘আমি স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটেছি। কিন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী কোন টিকেট পায়নি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বগির ব্যবস্থা না করায় ট্রেনে আমরা দাঁড়িয়ে যাওয়ারও জায়গা পাইনি। তাই অতিরিক্ত বগির ব্যবস্থা করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) কোন ব্যবস্থা করতে না পারায় আমরা ট্রেনটি আটকিয়ে রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।’

রাজশাহী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি রকিবুল হোসেন বলেন, ‘রেল জাতীয় সম্পদ। এর যাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য জিআরপি থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।’

উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘রাবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত বগিও যুক্ত করা হয়েছে। সিটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা স্ট্যাডিং টিকেটও কেটেছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থী যারা ট্রেনের কোন টিকেটই সংগ্রহ করেননি তারাও পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেন ছাড়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের কীভাবে ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেটি আমরা ভাবছি।

আরও খবর
ডি-৮ দেশগুলোর শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্লক গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
ডি-৮ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আন্তঃজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ
বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির বিক্ষোভ বছরের সেরা কৌতুক : কাদের
গাফিলতির কারণেই দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বিমান প্রতিমন্ত্রী
নিরাপত্তাকর্মীর পরিচয় বড় কর্মকর্তা, রাতারাতি বনেছেন কোটিপতি
ছিনতাইয়ে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করা হয় বুলবুলকে
বেরোবি শিক্ষক সমিতির সমাবেশ
এডিশ মশার প্রজনন ও উপস্থিতি রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বর ও পাহাড়ে ম্যালেরিয়া বাড়ছে
ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষকে মারধর, মামলা তুলে নিতে হুমকি

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২ , ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

রাজশাহীতে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখে রাবির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

টিকেট কাটার পরও ট্রেনে জায়গা হয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা অনেক শিক্ষার্থীর। আবার অনেকেই ট্রেনের টিকেট না সংগ্রহ করেই চেপে বসেন ট্রেনের সিটে। গতকাল বিকেল ৪টায় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার আগে জায়গা না হওয়ায় ভর্তিচ্ছু অনেক শিক্ষার্থীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এতে ফুঁসে ওঠে রাজশাহীতে আসা ভর্তিচ্ছুরা। এক পর্যায়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকা ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্টেশন প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ২টায় ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রাবির ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অনেকেই টিকেট কেটেছেন (সিট ও স্ট্যান্ডিং)। যারা টিকেট পেয়েছেন তারা তো বিকেল ৪টার ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে নির্দিষ্ট সময়েই উঠে পড়েন। আবার হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশই টিকেট না কেটেই ট্রেনে উঠে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের ট্রেনে দাঁড়ানোর জায়গার চরম সংকট দেখা দেয়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেন কর্তৃপক্ষ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা বিকেল ৪টার পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিক্ষুব্ধরা আটকে দিয়ে সেখানে রেললাইনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের রাত ১১টা ২০ মিনিটের ধূমকেতু এক্সপ্রেসে ট্রেন তাদেরকে ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দেন। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

ইমন নামের বিক্ষুব্ধ এক ভর্তিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন ‘আমি স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটেছি। কিন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী কোন টিকেট পায়নি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বগির ব্যবস্থা না করায় ট্রেনে আমরা দাঁড়িয়ে যাওয়ারও জায়গা পাইনি। তাই অতিরিক্ত বগির ব্যবস্থা করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) কোন ব্যবস্থা করতে না পারায় আমরা ট্রেনটি আটকিয়ে রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।’

রাজশাহী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি রকিবুল হোসেন বলেন, ‘রেল জাতীয় সম্পদ। এর যাতে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য জিআরপি থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।’

উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘রাবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত বগিও যুক্ত করা হয়েছে। সিটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা স্ট্যাডিং টিকেটও কেটেছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থী যারা ট্রেনের কোন টিকেটই সংগ্রহ করেননি তারাও পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেন ছাড়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের কীভাবে ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেটি আমরা ভাবছি।