ছিনতাই করতে গিয়েই খুন করা হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটক তিনজনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে এই ঘটনার সময় তাদের সঙ্গে থাকা প্রেমিকার কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল দুপুর ২টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ঘটনার পর গত সোমবার ও মঙ্গলবার তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। এদের মধ্যে আবুল হোসেন (১৯) নামের একজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তারা হচ্ছেন মো. কামরুল আহমদ (২৯) ও মো. হাসান (১৯)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশর্^বর্তী টিলারগাঁও এলাকায় এবং পেশায় তারা রাজমিস্ত্রী।
গতকাল সকাল ১১টায় আটককৃত কামরুলকে (৩০) নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বুলবুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনও উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘কামরুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছুরি ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। কার কতটুকু সম্পৃক্ততা, সেটা আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান করে বের করা হবে। কী উদ্দেশে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কারা কেন করেছে, আরও কেউ জড়িত আছে কি-না, এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে এখন পাঁচজন পুলিশের হেফাজতে আছেন। এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান আছে, সার্বিক তদন্ত শেষে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হবে, তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বুলবুল ও তার প্রেমিকা মার্জিয়া আক্তার উর্মির ক্যাম্পাসের গাজি-কালুর টিলায় ঘুরতে যান। ওই এলাকা নির্জন। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা আবুল হোসেন, কামরুল আহমদ ও মোহাম্মদ হাসান ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বুলবুলকে ঝাপটে ধরেন। এ সময় ব্যাপক ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘটনার অন্যতম হোতা কামরুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বুলবুলকে আঘাত করেন। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থলে থাকা তিনজন তিন দিকে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে বুলবুল হত্যার পেছনে তার প্রেমিকা মার্জিয়া আক্তার উর্মির কোন সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানায়, ‘বুলবুল খুন হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ভর্তি করা হয় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু গত মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতাল থেকে কাউকে কিচু না বলে চলে যান উর্মি। এতে তার দিকে সন্দেহের তীর যায়।’
আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, সে জানতে পারে নিহত বুলবুলের জানাজা ক্যাম্পাসে হবে। জানাজায় শরিক হতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তার চলে আসার পেছনে অপরাধমূলক কোন কিছু পাওয়া যায়নি।’
কললিস্ট মুছে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা উর্মির মোবাইল ও কললিস্ট চেক করে দেখেছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কারো সঙ্গে উর্মির মোবাইল যোগাযোগ ছিল না। তার মোবাইলে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।’
শিক্ষক সমিতির শোক. বুলবুল হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জহির বিন আলস স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় বলা হয়, শিক্ষক সমিতি উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান শিক্ষক সমিতি।
ছাত্রলীগের শোক র্যালি. বুলবুল হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসে শোক র?্যালি ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শোক র?্যালিটি শুরু হয়। র?্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, মাহবুবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা তারেক হালিমী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার ও সুমন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হোসেন হৃদয় প্রমুখ।
বুলবুল হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
‘যথেষ্ট’ ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিক্ষোভ. বুলবুল হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা ‘যথেষ্ট’ হয়নি উল্লেখ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম আকাশ বলেন, ‘আমাদের গতকালকের চারদফা দাবির দ্বিতীয় দাবিটি ছিল বুলবুল হত্যার ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বুলবুল হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই অর্থ অতি নগন্য। আমরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। আমরা চাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার পরিবারকে এককালীন ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গাজীকালুর টিলার পাশে বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাত করেন দুবর্ৃৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে নেন। সেখান থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। হত্যার ঘটনায় পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
বুলবুল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলে। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার বাবার নাম মৃত ওহাব আলী। তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২ , ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩
মোয়াজ্জেম আফরান, শাবিপ্রবি
ছিনতাই করতে গিয়েই খুন করা হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটক তিনজনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে এই ঘটনার সময় তাদের সঙ্গে থাকা প্রেমিকার কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল দুপুর ২টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
ঘটনার পর গত সোমবার ও মঙ্গলবার তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। এদের মধ্যে আবুল হোসেন (১৯) নামের একজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তারা হচ্ছেন মো. কামরুল আহমদ (২৯) ও মো. হাসান (১৯)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশর্^বর্তী টিলারগাঁও এলাকায় এবং পেশায় তারা রাজমিস্ত্রী।
গতকাল সকাল ১১টায় আটককৃত কামরুলকে (৩০) নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বুলবুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনও উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘কামরুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছুরি ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। কার কতটুকু সম্পৃক্ততা, সেটা আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান করে বের করা হবে। কী উদ্দেশে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কারা কেন করেছে, আরও কেউ জড়িত আছে কি-না, এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে এখন পাঁচজন পুলিশের হেফাজতে আছেন। এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান আছে, সার্বিক তদন্ত শেষে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হবে, তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আজবাহার আলী শেখ বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বুলবুল ও তার প্রেমিকা মার্জিয়া আক্তার উর্মির ক্যাম্পাসের গাজি-কালুর টিলায় ঘুরতে যান। ওই এলাকা নির্জন। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা আবুল হোসেন, কামরুল আহমদ ও মোহাম্মদ হাসান ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বুলবুলকে ঝাপটে ধরেন। এ সময় ব্যাপক ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ঘটনার অন্যতম হোতা কামরুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বুলবুলকে আঘাত করেন। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে ঘটনাস্থলে থাকা তিনজন তিন দিকে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে বুলবুল হত্যার পেছনে তার প্রেমিকা মার্জিয়া আক্তার উর্মির কোন সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানায়, ‘বুলবুল খুন হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ভর্তি করা হয় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু গত মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতাল থেকে কাউকে কিচু না বলে চলে যান উর্মি। এতে তার দিকে সন্দেহের তীর যায়।’
আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, সে জানতে পারে নিহত বুলবুলের জানাজা ক্যাম্পাসে হবে। জানাজায় শরিক হতে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তার চলে আসার পেছনে অপরাধমূলক কোন কিছু পাওয়া যায়নি।’
কললিস্ট মুছে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা উর্মির মোবাইল ও কললিস্ট চেক করে দেখেছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কারো সঙ্গে উর্মির মোবাইল যোগাযোগ ছিল না। তার মোবাইলে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।’
শিক্ষক সমিতির শোক. বুলবুল হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জহির বিন আলস স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় বলা হয়, শিক্ষক সমিতি উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান শিক্ষক সমিতি।
ছাত্রলীগের শোক র্যালি. বুলবুল হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাসে শোক র?্যালি ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শোক র?্যালিটি শুরু হয়। র?্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, মাহবুবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা তারেক হালিমী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার ও সুমন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হোসেন হৃদয় প্রমুখ।
বুলবুল হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
‘যথেষ্ট’ ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিক্ষোভ. বুলবুল হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা ‘যথেষ্ট’ হয়নি উল্লেখ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম আকাশ বলেন, ‘আমাদের গতকালকের চারদফা দাবির দ্বিতীয় দাবিটি ছিল বুলবুল হত্যার ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বুলবুল হত্যার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই অর্থ অতি নগন্য। আমরা এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। আমরা চাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার পরিবারকে এককালীন ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গাজীকালুর টিলার পাশে বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাত করেন দুবর্ৃৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে নেন। সেখান থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। হত্যার ঘটনায় পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
বুলবুল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলে। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার বাবার নাম মৃত ওহাব আলী। তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন।