শিক্ষক হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সমাবেশ

সারাদেশে শিক্ষক হত্যা, লাঞ্ছনা ও হেনস্থা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. শরিফুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ, লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান ম-ল আসাদ ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল লতিফ প্রমুখ।

বক্তারা সারাদেশে শিক্ষকদের নিয়ে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে তারা বলেন, শুধু একজন শিক্ষককে হত্যা কিংবা জুতার মালা পড়ানো হয়নি, সারাদেশের শিক্ষককে সমাজকে হত্যা এবং জুতার মালা পড়ানো হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য সর্বোপরি মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা এভাবে আর মানববন্ধনে দাঁড়াতে চাই না। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষকরা আরও বলেন, সারাজীবন শিক্ষকরা শুধু তাদের জ্ঞান, শ্রম ও মেধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষকরা এই লাঞ্ছনা উপহার পাবে তা খুবই কষ্টের এবং দুঃখজনক। আমরা চাই শিক্ষকের সঙ্গে সব সময় শিক্ষার্থীদের মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠুক কিন্তু সম্প্রতি একটি অশুভ শক্তি এটিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। সেই অশুভ শক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়। শিক্ষকরা আরও বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিশ্বাস করে না, সেই অপশক্তি বরাবরই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এসব ঘটনা নিশ্চিতভাবেই সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ধর্মব্যবসায়ী এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষের অপতৎপরতার ফল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধকে চরমভাবে আঘাত করবার জন্যই এগুলো ঘটানো হচ্ছে। সরকারকে এখনই এসব ঘটনা প্রতিহত করে এর সঙ্গে জরিত সবাইকে চরম শাস্তির আওতায় আনতে হবে, নয়তো দেখা যাবে একদিন এ সমাজে আর কোন শিক্ষকই থাকবে না। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।

image

শিক্ষক হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে বেরোবির শিক্ষক সমিতির সমাবেশ -সংবাদ

আরও খবর
ডি-৮ দেশগুলোর শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্লক গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
ডি-৮ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আন্তঃজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ
বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির বিক্ষোভ বছরের সেরা কৌতুক : কাদের
রাজশাহীতে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে রাখে রাবির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা
গাফিলতির কারণেই দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বিমান প্রতিমন্ত্রী
নিরাপত্তাকর্মীর পরিচয় বড় কর্মকর্তা, রাতারাতি বনেছেন কোটিপতি
ছিনতাইয়ে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করা হয় বুলবুলকে
এডিশ মশার প্রজনন ও উপস্থিতি রাজধানীতে ডেঙ্গুজ্বর ও পাহাড়ে ম্যালেরিয়া বাড়ছে
ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষকে মারধর, মামলা তুলে নিতে হুমকি

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২ , ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

শিক্ষক হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সমাবেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক রংপুর

image

শিক্ষক হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে বেরোবির শিক্ষক সমিতির সমাবেশ -সংবাদ

সারাদেশে শিক্ষক হত্যা, লাঞ্ছনা ও হেনস্থা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. শরিফুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ, লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান ম-ল আসাদ ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল লতিফ প্রমুখ।

বক্তারা সারাদেশে শিক্ষকদের নিয়ে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে তারা বলেন, শুধু একজন শিক্ষককে হত্যা কিংবা জুতার মালা পড়ানো হয়নি, সারাদেশের শিক্ষককে সমাজকে হত্যা এবং জুতার মালা পড়ানো হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য সর্বোপরি মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা এভাবে আর মানববন্ধনে দাঁড়াতে চাই না। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষকরা আরও বলেন, সারাজীবন শিক্ষকরা শুধু তাদের জ্ঞান, শ্রম ও মেধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষকরা এই লাঞ্ছনা উপহার পাবে তা খুবই কষ্টের এবং দুঃখজনক। আমরা চাই শিক্ষকের সঙ্গে সব সময় শিক্ষার্থীদের মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠুক কিন্তু সম্প্রতি একটি অশুভ শক্তি এটিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। সেই অশুভ শক্তির কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়। শিক্ষকরা আরও বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিশ্বাস করে না, সেই অপশক্তি বরাবরই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এসব ঘটনা নিশ্চিতভাবেই সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ধর্মব্যবসায়ী এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষের অপতৎপরতার ফল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মূল্যবোধকে চরমভাবে আঘাত করবার জন্যই এগুলো ঘটানো হচ্ছে। সরকারকে এখনই এসব ঘটনা প্রতিহত করে এর সঙ্গে জরিত সবাইকে চরম শাস্তির আওতায় আনতে হবে, নয়তো দেখা যাবে একদিন এ সমাজে আর কোন শিক্ষকই থাকবে না। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।