কিশোর ইমনের লাশ নিয়ে স্বজনদের মহাসড়ক অবরোধ

সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর ইমন হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। ইমন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্বজনরা এ অবরোধ করে। এসময় শত শত যানবাহন সড়কের উভয় দিকে আটকে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের বাগমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন (১৮) গত বুধবার রাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। আহত হয় তার বন্ধু জয়। গতকাল বিকেল ৪টায় নিহত ইমনের স্বজন ও এলাকাবাসী ইমন হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে ইমনের লাশ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের লিংক রোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে শত শত যানবাহন আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পৌঁছে উপস্থিত স্বজনদের ইমন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ^াস দিলে স্বজনরা সড়ক থেকে অবরোধ সরিয়ে নেয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান সংবাদকে জানায়, নিহত ইমনের স্বজনরা ২৫ মিনিট সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, রাসেল দিন দিন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় ইমন তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এতে রাসেল তার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে ৮-১০ জন সহযোগী নিয়ে গত বুধবার সকালে ইমনকে তুলে নিয়ে মারধর করে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ইমন ও জয় তাদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। ইমনের বন্ধু জয় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিহত ইমনের মা শাহিনুর জানায়, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন ও জয়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ইমন মারা যায়। তিনি আরও জানান, রাসেল, রাজু, স্বপন, আবদুল খলিল, মো. ইয়াসিন, রাজিব, বিজয় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২ , ১৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

কিশোর ইমনের লাশ নিয়ে স্বজনদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর ইমন হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। ইমন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্বজনরা এ অবরোধ করে। এসময় শত শত যানবাহন সড়কের উভয় দিকে আটকে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের বাগমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন (১৮) গত বুধবার রাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। আহত হয় তার বন্ধু জয়। গতকাল বিকেল ৪টায় নিহত ইমনের স্বজন ও এলাকাবাসী ইমন হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে ইমনের লাশ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের লিংক রোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে শত শত যানবাহন আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পৌঁছে উপস্থিত স্বজনদের ইমন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ^াস দিলে স্বজনরা সড়ক থেকে অবরোধ সরিয়ে নেয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান সংবাদকে জানায়, নিহত ইমনের স্বজনরা ২৫ মিনিট সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, রাসেল দিন দিন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় ইমন তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এতে রাসেল তার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে ৮-১০ জন সহযোগী নিয়ে গত বুধবার সকালে ইমনকে তুলে নিয়ে মারধর করে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ইমন ও জয় তাদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। ইমনের বন্ধু জয় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিহত ইমনের মা শাহিনুর জানায়, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন ও জয়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ইমন মারা যায়। তিনি আরও জানান, রাসেল, রাজু, স্বপন, আবদুল খলিল, মো. ইয়াসিন, রাজিব, বিজয় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।