৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা দেয়ার উদ্যোগ

পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণরোধে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের জন্য ১২ দফা শর্ত পূরণ ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

মাউশি মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্থার সব অঞ্চলের পরিচালক, উপপরিচালক সব অধ্যক্ষ, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শর্ত ও নির্দেশনাগুলো হলোÑ

১. শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা হবে পাঁচ বছর থেকে ১১ বছর (১১ বছর ৩৬৪ দিন);

২. শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে;

৩. শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে;

৪. যে সব শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর নেই তাদের অবশ্যই ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে :

৫. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন

৬. বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার আগে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ নির্ধারিত ফরম্যাটে ংঃঁফবহঃ.ফংযব.াধপপরহধঃরড়হ@মসধরষ.পড়স ঠিকানায় তথ্য প্রেরণ করবে;

৭. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা এমনভাবে প্রণয়ন করবে যাতে কোন শিক্ষার্থী বাদ না পড়ে;

৮. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের নিয়মিত এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করবে;

৯. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কাউট/গার্ল গাইডস/রোভার স্কাউট/গার্ল ইন রোভার/রেডক্রিসেন্ট/বিএনসিসি সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত করবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দল নেই সেগুলোতে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে:

১০. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান টিকাদানকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করবে;

১১. নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে;

১২. টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক /উপপরিচালক/জেলা শিক্ষা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২ , ১৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা দেয়ার উদ্যোগ

পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণরোধে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়, এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের জন্য ১২ দফা শর্ত পূরণ ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

মাউশি মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংস্থার সব অঞ্চলের পরিচালক, উপপরিচালক সব অধ্যক্ষ, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শর্ত ও নির্দেশনাগুলো হলোÑ

১. শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা হবে পাঁচ বছর থেকে ১১ বছর (১১ বছর ৩৬৪ দিন);

২. শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে;

৩. শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে;

৪. যে সব শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন নম্বর নেই তাদের অবশ্যই ১৭ ডিজিটের জন্মনিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে :

৫. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন

৬. বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার আগে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ নির্ধারিত ফরম্যাটে ংঃঁফবহঃ.ফংযব.াধপপরহধঃরড়হ@মসধরষ.পড়স ঠিকানায় তথ্য প্রেরণ করবে;

৭. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা এমনভাবে প্রণয়ন করবে যাতে কোন শিক্ষার্থী বাদ না পড়ে;

৮. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের নিয়মিত এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করবে;

৯. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কাউট/গার্ল গাইডস/রোভার স্কাউট/গার্ল ইন রোভার/রেডক্রিসেন্ট/বিএনসিসি সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত করবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দল নেই সেগুলোতে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে:

১০. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান টিকাদানকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করবে;

১১. নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে;

১২. টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক /উপপরিচালক/জেলা শিক্ষা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যোগাযোগ রক্ষা করবেন।