মানসম্মত হেলমেট
চার চাকার বাহনের তুলনায় হতাহতের দিক থেকে যেমন মোটরসাইকেল এগিয়ে, তেমনি দুর্ঘটনায়ও। এসব দুর্ঘটনায় হতাহতের মাত্রা কমিয়ে আনতে, মানসম্মত হেলমেটের ব্যবহার করেতে হবে। দেখা যায়, প্রায় মোটসাইকেল চালকই হেলমেট ব্যবহার করে সড়কে নামেন। কিন্তু তা প্রাণ রক্ষার জন্য নয়, শুধু পুলিশের মামলা থেকে বাঁচতে। ফলে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঝুঁকি থেকেই যায়। রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের ঈদুল আজহায় ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন। আহত হয়েছে ১১০ জন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পরার হার বেড়েছে, কিন্তু এতে কমেনি দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ নিম্নমানের হেলমেট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানসম্মত একটি হেলমেটের যথাযথ ব্যবহার দুর্ঘটনায় মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ রোধ করতে পারে। একইসঙ্গে শরীরে জখম থেকে সুরক্ষা দিতে পারে প্রায় ৭০ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটে এক গবেষণায় দেথা গেছে, দেশের সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৮৮ শতাংশই হচ্ছে মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে।
তাই সড়কে দুর্ঘটনার পাশাপাশি হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে, মোটরসাইকেল চালকদের মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি মানহীন, অনিরাপদ হেলমেট ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি, কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি বাড়ালেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা যাবে।
ছালেহ আহমদ জাহেরী
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
পড়াশোনা হোক আনন্দময়
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। প্রতিটা মানুষের সুষ্ঠু বিকাশ ও যথাযথ ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য শিক্ষা আবশ্যক। আমাদের শেখার যাত্রা শৈশব থেকে শুরু হয়, সমাজে ঘটা প্রতিটা ঘটনা অথবা বিষয় থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। এছাড়াও প্রতিটা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা আছে।
অনেকে আছে যারা পড়াশোনা করতে বিরক্তবোধ করে। শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়। তবে এর জন্য পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেকাংশেই দায়ী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক প্রতিযোগিতা, আর এই প্রতিযোগিতাকে শিশুর চেয়ে শিশুর অভিভাবকরা বেশি গুরুত্ব দেন। যে করেই হোক শিশুকে ভালো ফলাফল করতে হবে, ক্লাসে প্রথম হতেই হবে, সেরা পুরস্কারটা পেতেই হবে- এসব বলে শিশুকে সবসময় একটা আতঙ্কের মধ্যে রাখে; যা অনেক সময় শিশুর প্রতিভা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শহরের শিশুদের মধ্যে এ আতঙ্ক বেশি দেখা যায়, স্কুলে ভর্তি নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।
এমনটা শিশুর মধ্য পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি করে। শিশু পড়াশোনায় যে আনন্দ সেটা পায় না। এমনকি যখন ছেলে মেয়েরা স্কুল পেরিয়ে কলেজে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় যায় তখন এই সমাজ, পরিবার তাকে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা শোনায়। ফল স্বরূপ পড়াশোনা থেকে অনেকেই ঝরে যায়। আবার কেউ কেউ বেছে নেয় আত্মহত্যার পথও।
পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা থাকবে এটা স্বাভাবিক; কিন্তু এটাকে চরম মাত্রায় নিয়ে যাওয়া অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। পড়াশোনার চিত্রটা এমন হওয়ার কথা ছিল না, এসবের জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দায়ী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন চিত্রের পরিবর্তন করতে হবে। পড়াশোনায় আনন্দময় পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে- বিশেষ করে শিশুদের।
হালিমা আক্তার
শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২ , ১৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ২৯ জিলহজ ১৪৪৩
মানসম্মত হেলমেট
চার চাকার বাহনের তুলনায় হতাহতের দিক থেকে যেমন মোটরসাইকেল এগিয়ে, তেমনি দুর্ঘটনায়ও। এসব দুর্ঘটনায় হতাহতের মাত্রা কমিয়ে আনতে, মানসম্মত হেলমেটের ব্যবহার করেতে হবে। দেখা যায়, প্রায় মোটসাইকেল চালকই হেলমেট ব্যবহার করে সড়কে নামেন। কিন্তু তা প্রাণ রক্ষার জন্য নয়, শুধু পুলিশের মামলা থেকে বাঁচতে। ফলে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঝুঁকি থেকেই যায়। রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের ঈদুল আজহায় ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৫ জন। আহত হয়েছে ১১০ জন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পরার হার বেড়েছে, কিন্তু এতে কমেনি দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ নিম্নমানের হেলমেট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানসম্মত একটি হেলমেটের যথাযথ ব্যবহার দুর্ঘটনায় মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ রোধ করতে পারে। একইসঙ্গে শরীরে জখম থেকে সুরক্ষা দিতে পারে প্রায় ৭০ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটে এক গবেষণায় দেথা গেছে, দেশের সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৮৮ শতাংশই হচ্ছে মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে।
তাই সড়কে দুর্ঘটনার পাশাপাশি হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে, মোটরসাইকেল চালকদের মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি মানহীন, অনিরাপদ হেলমেট ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি, কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি বাড়ালেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা যাবে।
ছালেহ আহমদ জাহেরী
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
পড়াশোনা হোক আনন্দময়
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। প্রতিটা মানুষের সুষ্ঠু বিকাশ ও যথাযথ ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য শিক্ষা আবশ্যক। আমাদের শেখার যাত্রা শৈশব থেকে শুরু হয়, সমাজে ঘটা প্রতিটা ঘটনা অথবা বিষয় থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। এছাড়াও প্রতিটা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা আছে।
অনেকে আছে যারা পড়াশোনা করতে বিরক্তবোধ করে। শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়। তবে এর জন্য পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেকাংশেই দায়ী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক প্রতিযোগিতা, আর এই প্রতিযোগিতাকে শিশুর চেয়ে শিশুর অভিভাবকরা বেশি গুরুত্ব দেন। যে করেই হোক শিশুকে ভালো ফলাফল করতে হবে, ক্লাসে প্রথম হতেই হবে, সেরা পুরস্কারটা পেতেই হবে- এসব বলে শিশুকে সবসময় একটা আতঙ্কের মধ্যে রাখে; যা অনেক সময় শিশুর প্রতিভা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শহরের শিশুদের মধ্যে এ আতঙ্ক বেশি দেখা যায়, স্কুলে ভর্তি নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।
এমনটা শিশুর মধ্য পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি করে। শিশু পড়াশোনায় যে আনন্দ সেটা পায় না। এমনকি যখন ছেলে মেয়েরা স্কুল পেরিয়ে কলেজে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় যায় তখন এই সমাজ, পরিবার তাকে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা শোনায়। ফল স্বরূপ পড়াশোনা থেকে অনেকেই ঝরে যায়। আবার কেউ কেউ বেছে নেয় আত্মহত্যার পথও।
পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা থাকবে এটা স্বাভাবিক; কিন্তু এটাকে চরম মাত্রায় নিয়ে যাওয়া অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। পড়াশোনার চিত্রটা এমন হওয়ার কথা ছিল না, এসবের জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দায়ী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমন চিত্রের পরিবর্তন করতে হবে। পড়াশোনায় আনন্দময় পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে- বিশেষ করে শিশুদের।
হালিমা আক্তার