বৃষ্টির অভাবে আমন আবাদ-পাটজাগ নিয়ে দিশেহারা কৃষক

বৃষ্টির ভরা মৌসুমেও খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান চাষে অনিশ্চিত ও পাট জাগ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ভরা মৌসুমে এখন ৮৫% জমিতে ধানের চারা রপন দিতে পারেনি কৃষকরা।

ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে ধান চাষের সময় যত কমছে হাতে গোনা দু একজন কৃষক সেচ দিয়ে আমনের চাতর তৈরি করছেন।

প্রচন্ড রোদ আর দাবদাহে ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষক। ঘনঘন বিদুৎ লোডশেডিংয়ে মটর জলে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে ডিপ মালিকরা ।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ১৪টি ্্্্্্্্্ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৯৬০ হেক্টও জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবং ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম আষাড় শ্রাবন মাসে এসব এলাকায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা চাষ কাজে মাঠে নামতে পারছে না।

তার পাশাপাশি কোন খানা খন্দে পানি নাই যে কারনে পাট চাষিরা বিপর্যায় পড়েছে। প্রচান্ড রোদে পাট গাছের কচি পাতা পূড়ে গেছে। ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের কৃষক তৃপ্তি মল্লিক, ্উত্তম বিশ্বাষ, লষ্কণ মল্লিক বলেন দেশে আষাড়-শ্রাবন মাসে সাধারণত বৃষিটর পানির উপর নির্ভর করে কৃষকেরা আমন চাষে নামেন। এলাকার কৃষকদের সেচ খরচ হয় না। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালে আষাড় ও শ্রাবনের ১১ তারিখ বৃষ্টির দেখা নেই কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

কৃষকরা এখন রীতিমত পানির জন্য হাহাকার চলছে। বৃষ্টির অপেষ্কায় আজও তাদের কাঙ্খিত আমনের চাষ করা চারা করার জন্য চাষ করতে পারেনি।

পটি চাষি অমল মল্লিক বলেন প্রায় ১০কাটা জমিতে পাট চাষ করেছি এতে আমার খরজও হয়েছে অনেক কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় কোন খানা খন্দে জল নেই পাট নিয়ে বিপদে আছি।

শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ , ১৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ৩০ জিলহজ ১৪৪৩

বৃষ্টির অভাবে আমন আবাদ-পাটজাগ নিয়ে দিশেহারা কৃষক

উদয় চক্রবর্ত্তী, ডুমুরিয়া (খুলনা)

image

ডুমুরিয়া (খুলনা) : বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে আমন চাষের জমি তৈরি করছেন কৃষক -সংবাদ

বৃষ্টির ভরা মৌসুমেও খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান চাষে অনিশ্চিত ও পাট জাগ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ভরা মৌসুমে এখন ৮৫% জমিতে ধানের চারা রপন দিতে পারেনি কৃষকরা।

ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে ধান চাষের সময় যত কমছে হাতে গোনা দু একজন কৃষক সেচ দিয়ে আমনের চাতর তৈরি করছেন।

প্রচন্ড রোদ আর দাবদাহে ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষক। ঘনঘন বিদুৎ লোডশেডিংয়ে মটর জলে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে ডিপ মালিকরা ।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ১৪টি ্্্্্্্্্ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৯৬০ হেক্টও জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবং ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম আষাড় শ্রাবন মাসে এসব এলাকায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা চাষ কাজে মাঠে নামতে পারছে না।

তার পাশাপাশি কোন খানা খন্দে পানি নাই যে কারনে পাট চাষিরা বিপর্যায় পড়েছে। প্রচান্ড রোদে পাট গাছের কচি পাতা পূড়ে গেছে। ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের কৃষক তৃপ্তি মল্লিক, ্উত্তম বিশ্বাষ, লষ্কণ মল্লিক বলেন দেশে আষাড়-শ্রাবন মাসে সাধারণত বৃষিটর পানির উপর নির্ভর করে কৃষকেরা আমন চাষে নামেন। এলাকার কৃষকদের সেচ খরচ হয় না। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালে আষাড় ও শ্রাবনের ১১ তারিখ বৃষ্টির দেখা নেই কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

কৃষকরা এখন রীতিমত পানির জন্য হাহাকার চলছে। বৃষ্টির অপেষ্কায় আজও তাদের কাঙ্খিত আমনের চাষ করা চারা করার জন্য চাষ করতে পারেনি।

পটি চাষি অমল মল্লিক বলেন প্রায় ১০কাটা জমিতে পাট চাষ করেছি এতে আমার খরজও হয়েছে অনেক কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় কোন খানা খন্দে জল নেই পাট নিয়ে বিপদে আছি।