রাজশাহী থেকে পাচার ৪ স্কুলছাত্রী ঢাকায় উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার

রাজশাহী থেকে পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক পাচারকারী নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধারকৃত স্কুল শিক্ষার্থীরা হলো, মহিষবাথান উত্তরপাড়া এলাকার রাজনের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তিশা (১৩), একই এলাকার শাহজামালের মেয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরজু খাতুন (১৪), বাবলুর মেয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিলা এবং বাদশার মেয়ে হালিমা খাতুন।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত নারী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী চাঁদনী (৩০)। সে নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা।

গতকাল দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে ৪ স্কুল শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে গড়িয়েও তারা বাড়ি ফিরে না আসলে তাদের অভিভাবকরা খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ঐ চার ¯ু‹ল শিক্ষার্থীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনির উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।

পরবর্তীতে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা আসামি চাঁদনীসহ তার সহযোগিরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

রাজপাড়া থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে থানার একটি টিম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১ টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার সাভার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া তার হেফাজত থেকে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য স্কুল শিক্ষার্থীদের পাচারের কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ।

শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ , ১৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ৩০ জিলহজ ১৪৪৩

রাজশাহী থেকে পাচার ৪ স্কুলছাত্রী ঢাকায় উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী থেকে পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক পাচারকারী নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধারকৃত স্কুল শিক্ষার্থীরা হলো, মহিষবাথান উত্তরপাড়া এলাকার রাজনের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তিশা (১৩), একই এলাকার শাহজামালের মেয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরজু খাতুন (১৪), বাবলুর মেয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিলা এবং বাদশার মেয়ে হালিমা খাতুন।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত নারী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী চাঁদনী (৩০)। সে নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা।

গতকাল দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে ৪ স্কুল শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে গড়িয়েও তারা বাড়ি ফিরে না আসলে তাদের অভিভাবকরা খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ঐ চার ¯ু‹ল শিক্ষার্থীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনির উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।

পরবর্তীতে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা আসামি চাঁদনীসহ তার সহযোগিরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

রাজপাড়া থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে থানার একটি টিম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১ টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার সাভার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া তার হেফাজত থেকে ৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য স্কুল শিক্ষার্থীদের পাচারের কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ।