তাইওয়ান ও বাণিজ্য ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে সেই উত্তেজনার পারদ যেন বেড়েছে আরও। জিনপিং বলেছেন, যারা আগুন নিয়ে খেলবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন এটা আশা করা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে এবার পরিষ্কার ধারণা পাবে।’
আর এই পরিস্থিতিতেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টানা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দুই দেশের প্রেসিডেন্ট ফোনে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তাইওয়ান ইস্যুতে একে অপরকে সতর্ক করে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জিনপিং ও বাইডেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ফোন কলে জিনপিংকে বাইডেন বলেন, তাইওয়ান দ্বীপের মর্যাদা পরিবর্তনের জন্য যেকোনো ধরনের একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। বেইজিং জানিয়েছে, বাইডেনকে এক-চীন নীতি মেনে চলতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একইসঙ্গে বাইডেনকে সতর্ক করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, (তাইওয়ানে) যারাই আগুন নিয়ে খেলবে তারা পুড়ে যাবে’।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার এবং দেশটির তৃতীয় ক্ষমতাধর রাজনীতিক ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ে মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ন্যান্সি পেলোসি (তাইওয়ানে এখনও) কোনো ধরনের সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ক্ষমতাধর এই রাজনীতিক তাইওয়ান সফর করলে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন।
প্রশ্নে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষায়’ কঠোর পদক্ষেপ নেবে চীন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরিণতির দায় নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।’ চীনে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক যে ব্যাপারে সাধারণত কথা বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু মার্কিন স্পিকারের প্রস্তাবিত সফর নিয়ে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কড়া হুমকি শোনা গেছে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যান কেফেই মঙ্গলবার চায়না ডেইলি সংবাদপত্রকে বলেন, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান গেলে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) চুপ করে বসে থাকবে না, এবং তারা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’।
মূলত ন্যান্সি পেলোসি আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনীকিকদের একজন। দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পরেই তার অবস্থান। ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নেতা তিনি। মার্কিন রাজনৈতিক মহলে সবসময়ই তাকে কট্টর চীন-বিরোধী হিসাবে দেখা হয়।
শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ , ১৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ৩০ জিলহজ ১৪৪৩
তাইওয়ান ও বাণিজ্য ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে সেই উত্তেজনার পারদ যেন বেড়েছে আরও। জিনপিং বলেছেন, যারা আগুন নিয়ে খেলবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন এটা আশা করা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে এবার পরিষ্কার ধারণা পাবে।’
আর এই পরিস্থিতিতেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টানা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দুই দেশের প্রেসিডেন্ট ফোনে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তাইওয়ান ইস্যুতে একে অপরকে সতর্ক করে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জিনপিং ও বাইডেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
ফোন কলে জিনপিংকে বাইডেন বলেন, তাইওয়ান দ্বীপের মর্যাদা পরিবর্তনের জন্য যেকোনো ধরনের একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। বেইজিং জানিয়েছে, বাইডেনকে এক-চীন নীতি মেনে চলতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একইসঙ্গে বাইডেনকে সতর্ক করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, (তাইওয়ানে) যারাই আগুন নিয়ে খেলবে তারা পুড়ে যাবে’।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার এবং দেশটির তৃতীয় ক্ষমতাধর রাজনীতিক ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ে মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ন্যান্সি পেলোসি (তাইওয়ানে এখনও) কোনো ধরনের সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ক্ষমতাধর এই রাজনীতিক তাইওয়ান সফর করলে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন।
প্রশ্নে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষায়’ কঠোর পদক্ষেপ নেবে চীন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরিণতির দায় নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।’ চীনে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক যে ব্যাপারে সাধারণত কথা বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু মার্কিন স্পিকারের প্রস্তাবিত সফর নিয়ে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কড়া হুমকি শোনা গেছে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যান কেফেই মঙ্গলবার চায়না ডেইলি সংবাদপত্রকে বলেন, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান গেলে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) চুপ করে বসে থাকবে না, এবং তারা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’।
মূলত ন্যান্সি পেলোসি আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনীকিকদের একজন। দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পরেই তার অবস্থান। ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নেতা তিনি। মার্কিন রাজনৈতিক মহলে সবসময়ই তাকে কট্টর চীন-বিরোধী হিসাবে দেখা হয়।