১৩ লাখ টাকার মাছ লুট, ৩০ জেলে আহত

বঙ্গোপসাগরে ১০ ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ১৩ লাখ টাকার মাছ লুট এবং ৩০ জেলে আহত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এফবি জুনায়েদ ট্রলারের ১৩ জন ও এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়ার-৩ এর ১৭ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে। দুটি ট্রলারের ৩০ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে ১৩ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও ৫ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। গতকাল সকাল ১০টায় পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে এসে এ তথ্য জানান ফিরে আসা জেলেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার বঙ্গোপসাগরের পূর্বে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতি হওয়া পাথরঘাটার আবদুল্লাহর মালিকানা এফবি জুনায়েদ ও আলম মোল্লার মালিকানা এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩।

আবদুল্লাহর মালিকানা এফবি জুনায়েদ ট্রলারের জেলেরা হলেন, শাহজাহান মাঝি (৫৫), মো. মিরাজ (৪২) শাহজাহান (৩৫) শাহিন (২৮), মাসুম মিয়া (৩৫), জাকির মিস্ত্রী (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), জাকির হোসেন (৪০), রবিউল হক (৪৪), শহিদুল ইসলাম (৫২), খোকন (৩৪), মো. রাজু মিয়া (২৫), মো. মিন্টু মিয়া (৩৬)। অন্য ট্রলারটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘাটে না আসায় জেলেদের নাম জানা যায়নি।

এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান ও মালিক আবদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার করে কূলে ফিরে আসার পথে ৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারে ৫ লাখ টাকার মাছ, ৫ লাখ টাকার বরফসহ বাজার সদায় লুটে নিয়ে যায়। এ সময় জেলেদের পিটিয়ে আহত করে, এর মধ্যে গুরুতর মিরাজ, খোকন, মন্টু ও শাহজাহান। তাদের সবার বাড়ি পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা বলেন, তার ট্রলারে অস্ত্রধারী ডাকাতরা ডাকাতি করে অন্তত ৮ লাখ টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায়, এ সময় মাঝি মো. হোসেনসহ জেলেরা বাধা দিলে হোসেন মাঝিকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এখনো ঘাটে আসেনি ওই ট্রলার।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলারের তথ্য পেলেও ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন অন্তত ১০ টি ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। সব ট্রলার ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে ডাকাতের কবলে পড়া কয়েকজন জেলে বলেন, কোস্টগার্ড বঙ্গোপসাগর আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বঙ্গপোসাগরের ডাকাতের সঙ্গে কোস্টগার্ডের যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও জেলেদের ধারণা। তারা কোস্টগার্ডের পরিবর্তে বঙ্গপোসাগরে নৌবাহিনী টহলের দাবি করেন।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লে. মোমিন বলেন, ডাকাতির খবর এখন পর্যন্ত শোনেননি। এ ব্যপারে নৌ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ , ১৫ শ্রাবণ ১৪২৯ ৩০ জিলহজ ১৪৪৩

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ডাকাতি

১৩ লাখ টাকার মাছ লুট, ৩০ জেলে আহত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

বঙ্গোপসাগরে ১০ ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ১৩ লাখ টাকার মাছ লুট এবং ৩০ জেলে আহত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এফবি জুনায়েদ ট্রলারের ১৩ জন ও এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়ার-৩ এর ১৭ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে। দুটি ট্রলারের ৩০ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে ১৩ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও ৫ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। গতকাল সকাল ১০টায় পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে এসে এ তথ্য জানান ফিরে আসা জেলেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার বঙ্গোপসাগরের পূর্বে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতি হওয়া পাথরঘাটার আবদুল্লাহর মালিকানা এফবি জুনায়েদ ও আলম মোল্লার মালিকানা এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩।

আবদুল্লাহর মালিকানা এফবি জুনায়েদ ট্রলারের জেলেরা হলেন, শাহজাহান মাঝি (৫৫), মো. মিরাজ (৪২) শাহজাহান (৩৫) শাহিন (২৮), মাসুম মিয়া (৩৫), জাকির মিস্ত্রী (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), জাকির হোসেন (৪০), রবিউল হক (৪৪), শহিদুল ইসলাম (৫২), খোকন (৩৪), মো. রাজু মিয়া (২৫), মো. মিন্টু মিয়া (৩৬)। অন্য ট্রলারটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘাটে না আসায় জেলেদের নাম জানা যায়নি।

এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান ও মালিক আবদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার করে কূলে ফিরে আসার পথে ৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারে ৫ লাখ টাকার মাছ, ৫ লাখ টাকার বরফসহ বাজার সদায় লুটে নিয়ে যায়। এ সময় জেলেদের পিটিয়ে আহত করে, এর মধ্যে গুরুতর মিরাজ, খোকন, মন্টু ও শাহজাহান। তাদের সবার বাড়ি পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা বলেন, তার ট্রলারে অস্ত্রধারী ডাকাতরা ডাকাতি করে অন্তত ৮ লাখ টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায়, এ সময় মাঝি মো. হোসেনসহ জেলেরা বাধা দিলে হোসেন মাঝিকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এখনো ঘাটে আসেনি ওই ট্রলার।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলারের তথ্য পেলেও ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন অন্তত ১০ টি ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। সব ট্রলার ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে ডাকাতের কবলে পড়া কয়েকজন জেলে বলেন, কোস্টগার্ড বঙ্গোপসাগর আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বঙ্গপোসাগরের ডাকাতের সঙ্গে কোস্টগার্ডের যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও জেলেদের ধারণা। তারা কোস্টগার্ডের পরিবর্তে বঙ্গপোসাগরে নৌবাহিনী টহলের দাবি করেন।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লে. মোমিন বলেন, ডাকাতির খবর এখন পর্যন্ত শোনেননি। এ ব্যপারে নৌ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।