উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশে দূতাবাস স্থাপন করতে চায় উজবেকিস্তান।
বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী এবং উজবেকিস্তানের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী। অন্যদিকে উজবেকিস্তান বাংলাদেশে দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’ এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেই সফর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।
উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী খোদজায়েভ দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তর করতে চাই।’ তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভালো কেন্দ্র। কারণ এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
সফররত উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তারা ঢাকায় উজবেক দূতাবাস স্থাপনের আশা করছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২ , ১৬ শ্রাবণ ১৪২৯ ১ মহররম ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশে দূতাবাস স্থাপন করতে চায় উজবেকিস্তান।
বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী এবং উজবেকিস্তানের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী। অন্যদিকে উজবেকিস্তান বাংলাদেশে দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’ এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেই সফর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে।
উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী খোদজায়েভ দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তর করতে চাই।’ তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভালো কেন্দ্র। কারণ এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
সফররত উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তারা ঢাকায় উজবেক দূতাবাস স্থাপনের আশা করছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।