ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে

আক্রান্ত-আড়াই হাজারের ওপরে, মৃত্যু ১০

ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার বিস্তার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ৫৭ জন ও ঢাকার বাইরে ২৩ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও একজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট ১০ জন মারা গেছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩২৮ জন। ঢাকায় ২৫৫ জন ও ঢাকার বাইরে বিভাগ ও জেলা শহরে ৭৩ জন ভর্তি হয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকায় ২২৪৪ জন। আর ঢাকার বাইরে ৪১৬ জন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ২৩২২ জন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত অনেক রোগীই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারদের চেম্বারে চিকিৎসা গাইডলাইন নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেই। ওই হিসাব পাওয়া গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আর অনেকেই হাসপাতালে বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নেয়। হাসপাতালে বেড খালি না থাকলে তারাও বাসা বাড়িতে থাকেন।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুজ্বরের বাহতক এডিশ মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস ও ব্যাপক ওষুধ না ছিটালে এডিশ মশার বিস্তার আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এডিশ মশার প্রজনন ও উপস্থিতি কোন এলাকায় বেশি তা জানার জন্য আগস্ট মাসে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের টিম জরিপ চালাবেন বলে জানা গেছে।

সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২ , ১৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২ মহররম ১৪৪৪

ডেঙ্গুজ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে

আক্রান্ত-আড়াই হাজারের ওপরে, মৃত্যু ১০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার বিস্তার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ৫৭ জন ও ঢাকার বাইরে ২৩ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও একজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট ১০ জন মারা গেছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩২৮ জন। ঢাকায় ২৫৫ জন ও ঢাকার বাইরে বিভাগ ও জেলা শহরে ৭৩ জন ভর্তি হয়েছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকায় ২২৪৪ জন। আর ঢাকার বাইরে ৪১৬ জন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ২৩২২ জন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত অনেক রোগীই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারদের চেম্বারে চিকিৎসা গাইডলাইন নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেই। ওই হিসাব পাওয়া গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আর অনেকেই হাসপাতালে বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নেয়। হাসপাতালে বেড খালি না থাকলে তারাও বাসা বাড়িতে থাকেন।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুজ্বরের বাহতক এডিশ মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস ও ব্যাপক ওষুধ না ছিটালে এডিশ মশার বিস্তার আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এডিশ মশার প্রজনন ও উপস্থিতি কোন এলাকায় বেশি তা জানার জন্য আগস্ট মাসে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের টিম জরিপ চালাবেন বলে জানা গেছে।