বিএনপি জানমালের ওপর আঘাত করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপ থাকবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি রাজনৈতিক কর্মকা-ের নামে ‘জানমালের ওপর আঘাত’ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘চুপচাপ বসে থাকবে না’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন হুঁশিয়ারি দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সমস্ত মিটিং, সভা, প্রচার- এগুলোতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিদিন মিটিং করছে, আমরা বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু তারা রাস্তাঘাট বন্ধ করবে, জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেব না। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ আন্দোলনে নামবে কি না জনগণই সে সিদ্ধান্ত নেবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, জনগণ এটা নিশ্চিত যে, দেশ যেভাবে এগিয়ে চলছে, আলোকিত হচ্ছে, সেখানে আর দেশের মানুষ কোনদিন অন্ধকারে ফিরে যাবে না।

নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। রাজনৈতিক কৌশলে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। পলাতক জঙ্গি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং সালাউদ্দিন সালেহীনের কোন খোঁজ মিলেছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস টাইএস বলে কি কি যেন আছে, আমাদের দেশে যদিও এটা নাই। এ দেশের মানুষ কোনদিন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি এবং দেবেও না। মা তার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছে, যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের লাশ স্বজনরাও গ্রহণ করেননি। এটাই হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনগণ কোনদিন জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি। কাজেই যারা পলাতক (জিয়া ও সালেহীন) তারা স্বপ্নই দেখবে। তারা কিছুই এখানে ঘটাতে পারবে না। শোকের মাস অগাস্ট ঘিরে প্রতি বছর আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এবারো কোন ফাঁক ফোকর যেন না থাকে, তা দেখতেই এ সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৫ অগাস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পাশাপাশি ধানমন্ডি লেকেও নৌ-পুলিশের নিরাপত্তা থাকবে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে। ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় যেন কোন ধরনের গুজব না ছড়ায় তাও দেখভাল করবে গোয়েন্দারা।

শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। কারণ কোভিড মহামারী এখনও শেষ হয়নি। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, যাতে কোনরকম অসুবিধা সৃষ্টি না হয় এবং কেউ যাতে নাশকতা ঘটাতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে এবং সেটি বলবৎ থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের জন্য ধানমন্ডি ও বনানীতে এবং যাতায়াতের পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া মাহফিল এবং সব অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। কিছু অনুষ্ঠানে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে।

সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২ , ১৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২ মহররম ১৪৪৪

বিএনপি জানমালের ওপর আঘাত করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপ থাকবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপি রাজনৈতিক কর্মকা-ের নামে ‘জানমালের ওপর আঘাত’ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘চুপচাপ বসে থাকবে না’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন হুঁশিয়ারি দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সমস্ত মিটিং, সভা, প্রচার- এগুলোতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিদিন মিটিং করছে, আমরা বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু তারা রাস্তাঘাট বন্ধ করবে, জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেব না। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ আন্দোলনে নামবে কি না জনগণই সে সিদ্ধান্ত নেবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, জনগণ এটা নিশ্চিত যে, দেশ যেভাবে এগিয়ে চলছে, আলোকিত হচ্ছে, সেখানে আর দেশের মানুষ কোনদিন অন্ধকারে ফিরে যাবে না।

নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। রাজনৈতিক কৌশলে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। পলাতক জঙ্গি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং সালাউদ্দিন সালেহীনের কোন খোঁজ মিলেছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএস টাইএস বলে কি কি যেন আছে, আমাদের দেশে যদিও এটা নাই। এ দেশের মানুষ কোনদিন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি এবং দেবেও না। মা তার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছে, যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের লাশ স্বজনরাও গ্রহণ করেননি। এটাই হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনগণ কোনদিন জঙ্গিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি। কাজেই যারা পলাতক (জিয়া ও সালেহীন) তারা স্বপ্নই দেখবে। তারা কিছুই এখানে ঘটাতে পারবে না। শোকের মাস অগাস্ট ঘিরে প্রতি বছর আলাদাভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এবারো কোন ফাঁক ফোকর যেন না থাকে, তা দেখতেই এ সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৫ অগাস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পাশাপাশি ধানমন্ডি লেকেও নৌ-পুলিশের নিরাপত্তা থাকবে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে। ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় যেন কোন ধরনের গুজব না ছড়ায় তাও দেখভাল করবে গোয়েন্দারা।

শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। কারণ কোভিড মহামারী এখনও শেষ হয়নি। সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, যাতে কোনরকম অসুবিধা সৃষ্টি না হয় এবং কেউ যাতে নাশকতা ঘটাতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে এবং সেটি বলবৎ থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের জন্য ধানমন্ডি ও বনানীতে এবং যাতায়াতের পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া মাহফিল এবং সব অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন আয়োজিত সব অনুষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। কিছু অনুষ্ঠানে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে।