একজন মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে গেলে তার মধ্যে মানবিকবোধ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়, অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিবেক। যার ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা যেকোন ধরনের অপরাধ মুহূর্তের মধ্যেই সংঘটিত হয়ে যায় কোন অনুশোচনা ছাড়াই। ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে সুবিধাবাধীরা। সময়ে সময়ে সংঘটিত হত্যাকা- ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ খুনি ও ধর্ষকই মাদকাসক্ত ছিলেন।
দেশব্যাপী মাদকের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। তরুণ-তরুণীরা মাদকে বেশি আসক্ত হলেও, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই মরণঘাতী মাদক গ্রহণ করছে। মাদকের ভয়াবহতা এবং পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করলেও কমছে না মাদকসেবীর সংখ্যা, মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা। মাদক ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে অধিক সম্পদের মালিক হওয়ার নেশায় সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা ও পরিণতির কথা বুঝতে ও জানতে না পারায় বহু কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা মাদক বিক্রেতাদের ফাঁদে পা দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
সন্তানকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পিতা মাতাকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারের স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা কার সঙ্গে মেলা মেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঠিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই সন্তানকে মাদক থেকে দূরের রাখতে পারে। পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চারাতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। সকলে মিলে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
জুবায়ের আহমেদ
সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২ , ১৭ শ্রাবণ ১৪২৯ ২ মহররম ১৪৪৪
একজন মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে গেলে তার মধ্যে মানবিকবোধ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়, অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিবেক। যার ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা যেকোন ধরনের অপরাধ মুহূর্তের মধ্যেই সংঘটিত হয়ে যায় কোন অনুশোচনা ছাড়াই। ফলে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে সুবিধাবাধীরা। সময়ে সময়ে সংঘটিত হত্যাকা- ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ খুনি ও ধর্ষকই মাদকাসক্ত ছিলেন।
দেশব্যাপী মাদকের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। তরুণ-তরুণীরা মাদকে বেশি আসক্ত হলেও, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই মরণঘাতী মাদক গ্রহণ করছে। মাদকের ভয়াবহতা এবং পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করলেও কমছে না মাদকসেবীর সংখ্যা, মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা। মাদক ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে অধিক সম্পদের মালিক হওয়ার নেশায় সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা ও পরিণতির কথা বুঝতে ও জানতে না পারায় বহু কিশোর-কিশোরী বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা মাদক বিক্রেতাদের ফাঁদে পা দিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
সন্তানকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পিতা মাতাকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারের স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা কার সঙ্গে মেলা মেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঠিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই সন্তানকে মাদক থেকে দূরের রাখতে পারে। পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চারাতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। সকলে মিলে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
জুবায়ের আহমেদ