জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মায়ানমার সামরিক সরকারের (জান্তা) প্রধান মিন অং হ্লাইং। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাশাসকরা। এরপর থেকেই মায়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে জান্তা সরকার।
জান্তা সরকার মনে করে, দেশে স্থায়িত্ব আনার জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে মানানসই পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনে তাই পরিবর্তন দরকার। মানুষকে নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে। তাই এই সময়টা জরুরি অবস্থার মধ্যে রাখা হচ্ছে মায়ানমারকে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়র্টাস এ তথ্য জানিয়েছে। ঘোষিত জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে সমর্থন করায় মিন অং হ্লাইং জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াবেন। মিন অং হ্লাইং বলেছেন, আমাদের দেশে অবশ্যই ‘অকৃত্রিম ও সুশৃঙ্খল বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ শক্তিশালী করতে হবে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা।
দেশটির সেনাশাসকদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ও সিকিউরিটি কাউন্সিল একমত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জরুরি অবস্থায় সেনা ও পুলিশের হাতে বাড়তি ক্ষমতা থাকে। তারা চাইলে যেকোনও মানুষকে বন্দি করতে পারে এবং তাকে আটক করে রাখতে পারে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মায়ানমার সামরিক বাহিনী নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমার জুড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা দখল করা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলে সেনাবাহিনী নিষ্ঠুরভাবে তা দমন করে। এতে দেশজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২ , ১৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ৩ মহররম ১৪৪৪
জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মায়ানমার সামরিক সরকারের (জান্তা) প্রধান মিন অং হ্লাইং। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাশাসকরা। এরপর থেকেই মায়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে জান্তা সরকার।
জান্তা সরকার মনে করে, দেশে স্থায়িত্ব আনার জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে মানানসই পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনে তাই পরিবর্তন দরকার। মানুষকে নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে। তাই এই সময়টা জরুরি অবস্থার মধ্যে রাখা হচ্ছে মায়ানমারকে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়র্টাস এ তথ্য জানিয়েছে। ঘোষিত জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে সমর্থন করায় মিন অং হ্লাইং জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াবেন। মিন অং হ্লাইং বলেছেন, আমাদের দেশে অবশ্যই ‘অকৃত্রিম ও সুশৃঙ্খল বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ শক্তিশালী করতে হবে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা।
দেশটির সেনাশাসকদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ও সিকিউরিটি কাউন্সিল একমত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জরুরি অবস্থায় সেনা ও পুলিশের হাতে বাড়তি ক্ষমতা থাকে। তারা চাইলে যেকোনও মানুষকে বন্দি করতে পারে এবং তাকে আটক করে রাখতে পারে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মায়ানমার সামরিক বাহিনী নিয়মতান্ত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমার জুড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্ষমতা দখল করা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শহরগুলোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হলে সেনাবাহিনী নিষ্ঠুরভাবে তা দমন করে। এতে দেশজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।