নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় দুবৃত্তরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর ঘর থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা ও গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু, ৩টি মোবাইল লুট করে নেয়।
গত রবিবার রাতে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী দরিদ্র পরিবারটি বাড়ি অবরোধ করে রাখা হয়েছে যাত তারা মামলা দায়ের করতে যেতে না পারেন। পরিবারটি আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলে কাউকে কিছু বলতে ও পারছে না।
অভিযুক্তরা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির (৩২) একই ওয়ার্ডের অজি উল্ল্যাহ দপ্তরি বাড়ির অজি উল্ল্যার ছেলে ওমর ফারুক (৩২), সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজন (৩০) ও আজিজ মিয়ার বাড়ির নজির বেপারীর ছেলে আলতাফ ( ২৫)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার ১১টার দিকে তিনি তার পরিবারের সব সদস্যসহ ঘরে ছিলেন। ওই সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন চরএলাহী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের তানভির, ফারুক, রাজন, আলতাফ ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমার বসত ঘরের দরজায় লাথি মারে। তাৎক্ষণিক আমি দরজা খুলে দিলে তারা ঘরে প্রবেশ করে আমার স্বামী কামাল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে পকেট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, আমার বিছানার নিচ থেকে ৩ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এরপর পুনরায় আমার স্বামী কামালকে মারধর করে হামলাকারীরা ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। শেষে ২লক্ষ টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে এবং আমার স্বামীকে অর্ধউলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে আমার দুই মেয়েকে তারা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা এখনও তাদেরকে চোখে চোখে রেখেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির বলেন, ওই নারী সেখানে দুইজন স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছে। তবে তিনি ভিডিও ধারণ, টাকা, মোবাইল এবং গরু লুটের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২ , ১৮ শ্রাবণ ১৪২৯ ৩ মহররম ১৪৪৪
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় দুবৃত্তরা ভুক্তভোগী গৃহবধূর ঘর থেকে নগদ ৮ হাজার টাকা ও গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু, ৩টি মোবাইল লুট করে নেয়।
গত রবিবার রাতে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী দরিদ্র পরিবারটি বাড়ি অবরোধ করে রাখা হয়েছে যাত তারা মামলা দায়ের করতে যেতে না পারেন। পরিবারটি আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলে কাউকে কিছু বলতে ও পারছে না।
অভিযুক্তরা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির (৩২) একই ওয়ার্ডের অজি উল্ল্যাহ দপ্তরি বাড়ির অজি উল্ল্যার ছেলে ওমর ফারুক (৩২), সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজন (৩০) ও আজিজ মিয়ার বাড়ির নজির বেপারীর ছেলে আলতাফ ( ২৫)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার ১১টার দিকে তিনি তার পরিবারের সব সদস্যসহ ঘরে ছিলেন। ওই সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন চরএলাহী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের তানভির, ফারুক, রাজন, আলতাফ ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমার বসত ঘরের দরজায় লাথি মারে। তাৎক্ষণিক আমি দরজা খুলে দিলে তারা ঘরে প্রবেশ করে আমার স্বামী কামাল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে পকেট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা, আমার বিছানার নিচ থেকে ৩ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এরপর পুনরায় আমার স্বামী কামালকে মারধর করে হামলাকারীরা ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। শেষে ২লক্ষ টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাকে এবং আমার স্বামীকে অর্ধউলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে আমার দুই মেয়েকে তারা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা এখনও তাদেরকে চোখে চোখে রেখেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক তানভির বলেন, ওই নারী সেখানে দুইজন স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছে। তবে তিনি ভিডিও ধারণ, টাকা, মোবাইল এবং গরু লুটের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।