বনসাই মন
প্রতিদিন সূর্যটা জেগে ওঠে নিয়ম করে
একটি নতুন দিনের সূচনায়
আবার সন্ধে হলেই ডুবে যায় অন্তরালে।
সূর্যের মতো একটিই দিন
নতুন করে ফিরে আসে প্রতিদিন
লক্ষ কোটি বছর ধরে ক্লান্তিহীন।
প্রতিদিন কিছু মানুষ জন্মে, কিছু মরে
জীবন-মৃত্যুর এ খেলায় নদীতে নতুন স্রোত,
জেগে ওঠা চরে সঞ্চারিত নতুন প্রাণ, নতুন সিঁড়ি
পিচ ঢালা পথ, ইট কাঠের শৌখিন আবাস
নেংটি পরা মানুষগুলো একালের পোশাক
চা কপি সিগ্রেট স্যান্ডউইচ আরো কত কী!
বিদ্রোহীমন আক্ষেপে তুল্য করে একাল-সেকাল
খুঁজে ফেরে সাদাকালো অভ্যস্ত দিন।
একসময় অনিবার্য বদল মানিয়ে নেয় বনসাই মন
খোলস পাল্টায়, তবে ভেতরটা বদলায় না।
আবার তোরা মানুষ হ
ঘুম থেকে উঠে দুচোখ মেলে দিনভর দেখি অন্যদের
খুঁজি চেনা মানুষের অচেনা খুঁত, নির্জলা নিখুঁত
তারপর কুড়ানো দোষের নষ্ট বেসাতি।
নিজেকে দেখার ফুরসত নেই, হয়তো দেখিই না
শেষবার কখন দেখেছি নিজেকে, মনে পড়ে না।
মাঝেমধ্যে যখন নির্বোধ আয়নার সামনে দাঁড়াই
চোখে পড়ে শুধু রঙিন পোশাক, মায়াবী স্বপ্ন
আড়ালে থেকে যাই বাস্তবের আমি।
চোখগুলো যদি ভেতরমুখো হতো!
নিজেকে দেখা যেতো সারাটাদিন।
বুঝতাম, আমি কি আদতে মানুষ
নাকি মানুষের আদলে কেবলই প্রাণি?
জন্মাবধি মানুষ বানাতে কত যে চেষ্টা আপ্রাণ
কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কত মসজিদ মন্দির গীর্জা!
তবু রাতের আঁধারে চাঁদ খুঁজে বেড়ায় মানুষ
পৃথিবীর আনাচেকানাচে,
যেমন রোবটযান খোঁজে মঙ্গলে প্রাণ।
ভিনগ্রহের কেউ যদি খোঁজে
পেয়ে যাবে নিশ্চয় আমাদের,
হয়তো তখন কষ্টিপাথরে গুমরে উঠবে মহাশূন্যের কান্না।
হায় পৃথিবী! অবাক পৃথিবী!
উচ্চকণ্ঠে আদেশ করো- আবার তোরা মানুষ হ।
পৃথিবীটা হয়ে উঠুক মানবিক মানুষে অহংকারী।
বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২
বনসাই মন
প্রতিদিন সূর্যটা জেগে ওঠে নিয়ম করে
একটি নতুন দিনের সূচনায়
আবার সন্ধে হলেই ডুবে যায় অন্তরালে।
সূর্যের মতো একটিই দিন
নতুন করে ফিরে আসে প্রতিদিন
লক্ষ কোটি বছর ধরে ক্লান্তিহীন।
প্রতিদিন কিছু মানুষ জন্মে, কিছু মরে
জীবন-মৃত্যুর এ খেলায় নদীতে নতুন স্রোত,
জেগে ওঠা চরে সঞ্চারিত নতুন প্রাণ, নতুন সিঁড়ি
পিচ ঢালা পথ, ইট কাঠের শৌখিন আবাস
নেংটি পরা মানুষগুলো একালের পোশাক
চা কপি সিগ্রেট স্যান্ডউইচ আরো কত কী!
বিদ্রোহীমন আক্ষেপে তুল্য করে একাল-সেকাল
খুঁজে ফেরে সাদাকালো অভ্যস্ত দিন।
একসময় অনিবার্য বদল মানিয়ে নেয় বনসাই মন
খোলস পাল্টায়, তবে ভেতরটা বদলায় না।
আবার তোরা মানুষ হ
ঘুম থেকে উঠে দুচোখ মেলে দিনভর দেখি অন্যদের
খুঁজি চেনা মানুষের অচেনা খুঁত, নির্জলা নিখুঁত
তারপর কুড়ানো দোষের নষ্ট বেসাতি।
নিজেকে দেখার ফুরসত নেই, হয়তো দেখিই না
শেষবার কখন দেখেছি নিজেকে, মনে পড়ে না।
মাঝেমধ্যে যখন নির্বোধ আয়নার সামনে দাঁড়াই
চোখে পড়ে শুধু রঙিন পোশাক, মায়াবী স্বপ্ন
আড়ালে থেকে যাই বাস্তবের আমি।
চোখগুলো যদি ভেতরমুখো হতো!
নিজেকে দেখা যেতো সারাটাদিন।
বুঝতাম, আমি কি আদতে মানুষ
নাকি মানুষের আদলে কেবলই প্রাণি?
জন্মাবধি মানুষ বানাতে কত যে চেষ্টা আপ্রাণ
কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কত মসজিদ মন্দির গীর্জা!
তবু রাতের আঁধারে চাঁদ খুঁজে বেড়ায় মানুষ
পৃথিবীর আনাচেকানাচে,
যেমন রোবটযান খোঁজে মঙ্গলে প্রাণ।
ভিনগ্রহের কেউ যদি খোঁজে
পেয়ে যাবে নিশ্চয় আমাদের,
হয়তো তখন কষ্টিপাথরে গুমরে উঠবে মহাশূন্যের কান্না।
হায় পৃথিবী! অবাক পৃথিবী!
উচ্চকণ্ঠে আদেশ করো- আবার তোরা মানুষ হ।
পৃথিবীটা হয়ে উঠুক মানবিক মানুষে অহংকারী।