বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাউলিয়া ইউনিয়নে ভোর রাতে বেঁধে রেখে বসতবাড়ির জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার ভোররাতে সন্ন্যাসী গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ রায়ের পৈত্তিক বসতবাড়ির একটি অংশে ৫ শতক জমি জোরপূর্বক ঘেরাবেড়া দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়েছে কলেজ শিক্ষক দেবাশীষ কুমার মন্ডল ও তার লোকজন। ঘটনাস্থল ফাঁড়ি পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বিজয় কৃষ্ণ রায় বলেন, ২০১৬ সালে তার পৈত্রিক ৫ শতক জমি দেবাশীষ কুমার মন্ডলের নিকট বিক্রি করলে জমির টাকা না দেওয়ায় টিকিট হস্তান্তর করেননি। উক্ত দলিলটি বাতিলের জন্য দেবাশীষ মন্ডলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ১৪৪/২১ইং। বিজ্ঞ আদালত বিবাদী দেবাশীষ মন্ডলের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করে। প্রতিপক্ষ দেবাশীষ মন্ডল আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত এক সপ্তাহ পূর্বে ওই জমিটি প্রতিবেশী মোনাসেফ বয়াতীর ছেলে হুমায়ুন কবিরের নিকট রেজিষ্ট্রি দেয় এবং গত সোমবার ভোর রাতেই দেবাশীষ মন্ডল ও হুমায়ুন কবির, লোকমান বয়াতী সহ ৮/১০ জন তার বসতবাড়ির ৫শতক জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগী বিজয় রায়ের ছেলে মানিক রায় (২৭), ছোট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী পরশমনি রায় (৫২) বলেন, ভোর রাতে বৃদ্ধ পিতাকে আটকে রেখে যায়গা দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। জমির পাশেই রয়েছে সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দির। আতংকে রয়েছি পরিবারের লোকজনকে নিয়ে যে কোন সময় ঘর তুলবে। এ বিষয়ে শিক্ষক দেবাশীষ মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কোন জমি দখলে যাননি। তার ক্রয়কৃত ৫শতক জমি ২০১৮ সালে বুঝে নিয়ে এক সপ্তাহ পূর্বে সে জমি হুমায়ুন কবিরের কাছে রেজিষ্ট্রি দিয়েছেন। এ সর্ম্পকে খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ওই রাতেই বিজয় কৃষ্ণ রায় মোবাইল ফোনে তাকে জানিয়েছেন তাৎক্ষনিক পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
হিন্দু বাড়ি দখলের দেবাশীষ মন্ডল কেউ নয়। যুবদল নেতা লোকমান বয়াতি ও তার ভাইয়েরা বিজয় কৃষ্ণকে বেঁধে রেখে এ অপকর্ম করেছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, বাড়ি দখলের বিষয় কেউ অবহিত করেননি। তবে, বিষয়টি শুনে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের জন্য ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাউলিয়া ইউনিয়নে ভোর রাতে বেঁধে রেখে বসতবাড়ির জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার ভোররাতে সন্ন্যাসী গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ রায়ের পৈত্তিক বসতবাড়ির একটি অংশে ৫ শতক জমি জোরপূর্বক ঘেরাবেড়া দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে নিয়েছে কলেজ শিক্ষক দেবাশীষ কুমার মন্ডল ও তার লোকজন। ঘটনাস্থল ফাঁড়ি পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বিজয় কৃষ্ণ রায় বলেন, ২০১৬ সালে তার পৈত্রিক ৫ শতক জমি দেবাশীষ কুমার মন্ডলের নিকট বিক্রি করলে জমির টাকা না দেওয়ায় টিকিট হস্তান্তর করেননি। উক্ত দলিলটি বাতিলের জন্য দেবাশীষ মন্ডলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ১৪৪/২১ইং। বিজ্ঞ আদালত বিবাদী দেবাশীষ মন্ডলের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করে। প্রতিপক্ষ দেবাশীষ মন্ডল আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত এক সপ্তাহ পূর্বে ওই জমিটি প্রতিবেশী মোনাসেফ বয়াতীর ছেলে হুমায়ুন কবিরের নিকট রেজিষ্ট্রি দেয় এবং গত সোমবার ভোর রাতেই দেবাশীষ মন্ডল ও হুমায়ুন কবির, লোকমান বয়াতী সহ ৮/১০ জন তার বসতবাড়ির ৫শতক জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগী বিজয় রায়ের ছেলে মানিক রায় (২৭), ছোট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী পরশমনি রায় (৫২) বলেন, ভোর রাতে বৃদ্ধ পিতাকে আটকে রেখে যায়গা দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। জমির পাশেই রয়েছে সার্বজনীন রাধা গোবিন্দ মন্দির। আতংকে রয়েছি পরিবারের লোকজনকে নিয়ে যে কোন সময় ঘর তুলবে। এ বিষয়ে শিক্ষক দেবাশীষ মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কোন জমি দখলে যাননি। তার ক্রয়কৃত ৫শতক জমি ২০১৮ সালে বুঝে নিয়ে এক সপ্তাহ পূর্বে সে জমি হুমায়ুন কবিরের কাছে রেজিষ্ট্রি দিয়েছেন। এ সর্ম্পকে খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ওই রাতেই বিজয় কৃষ্ণ রায় মোবাইল ফোনে তাকে জানিয়েছেন তাৎক্ষনিক পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
হিন্দু বাড়ি দখলের দেবাশীষ মন্ডল কেউ নয়। যুবদল নেতা লোকমান বয়াতি ও তার ভাইয়েরা বিজয় কৃষ্ণকে বেঁধে রেখে এ অপকর্ম করেছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, বাড়ি দখলের বিষয় কেউ অবহিত করেননি। তবে, বিষয়টি শুনে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের জন্য ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে।