মার্কিন হামলা আফগানিস্তানে জাওয়াহিরিকে হত্যা

এই সন্ত্রাসী নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ন্যায়বিচার করা হয়েছে, বললেন বাইডেন

আফগানিস্তানের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআই‘র ড্রোন হামলায় আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।

কাবুলের একটি সুরক্ষিত বাড়ির বারান্দায় ছিলেন জাওয়াহিরি, সে সময় তাকে লক্ষ্য করে দুটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ড্রোন। যদিও বাড়িটিতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন তবে তারা অক্ষত আছেন বলে দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের।

হোয়াইট হাউস থেকে একটি টেলিভিশনে লাইভ অনুষ্ঠানের ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ন্যায়বিচার করা হয়েছে। দুষ্টু ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হত্যাকারীকে বিশ্বের মানুষের আর ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’

দীর্ঘ কয়েক মাস পরিকল্পনার পরে ৭১ বছর বয়সী আল-কায়েদা এই নেতার ওপর ‘নির্ভুল হামলা’ করার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর মাধ্যমে ২০০১ সালে আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় তিন হাজার নিহতদের পরিবারকে স্বস্তি দেবে বলে জানান বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘নিশ্চিত যে তারা জাওয়াহিরিকে হত্যা করেছেন এবং অন্য কাউকে নয়’। হামলার সময় তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু ‘তারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না এবং অক্ষত রয়েছেন’, দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের।

‘হামলায় বেসামরিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। বেসামরিক ক্ষতি এড়াতে আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছি,’ বলেন একজন মার্কিন কর্তা।

২০১১ সালে এর প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকে আল-কায়েদা বেশ কোণঠাসার মধ্যে ছিল, রোববার আল-জাওয়াহিরি নিহত হবার পর আবারও বড় ধাক্কার সম্মুখীন হলো সংগঠনটি। লাদেনের মৃত্যুর পর ১৬ জুন জাওয়াহিরি আল-কায়েদার দায়িত্ব নেন।

বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনায় ৯/১১ হামলা করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের’ একজন ছিলেন জাওয়াহিরি।

গত বছর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওভার-দ্য-হরাইজন’ অপারেশন পরিচালনা করার ক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে এই হামলাকে দেখা হচ্ছে। কিন্তু তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে আল-কায়েদার অব্যাহত উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে গত তিন মাসে (মে-জুলাই) তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনার জন্য বৈঠক করেছিলেন।

অবশেষে গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জাওয়াহিরির অবস্থান করা ‘সুরক্ষিত আবাসে’ হামলার নির্দেশ দেন বাইডেন। শনিবার রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোনের মাধ্যমে হামলা করা হয়।

এ ঘটনার পর মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘বাইডেনের নেতৃত্ব ও গোয়েন্দা অপারেটিভদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা এই সফল হামলাটির জন্য কয়েক দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ রাতের খবরটি প্রমাণ করে যে আফগানিস্তানে যুদ্ধ না করেই সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা সম্ভব।’

বিন লাদেনের ওপর চালিত অপারেশনটির জন্য হোয়াইট হাউস ওবামাকে সে সময় রাষ্ট্রনায়কের সম্মান দিয়েছিল, ১১ বছর পর এবার বাইডেনের পালা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালে তালেবান আল-কায়েদা বা অন্য কোন চরমপন্থী গোষ্ঠীকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে কাজ করার অনুমতি না দিতে সম্মতি দিয়ে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু কাবুলে জাওয়াহিরিকে হত্যা করার পর তালেবানের ওপর চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলছেন, ‘কাবুলে জাওয়াহিরিকে আতিথেয়তা ও আশ্রয় দিয়ে তালেবান শান্তি চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে তালেবান।’

তালেবান কাবুলে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং হামলাটিকে ‘আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

জাওয়াহিরি একজন মিশরীয় চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু ’৮০র দশকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে কারাবন্দী হন। কারামুক্তির পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হোন।

ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনায় চারটি বেসামরিক বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে, ওয়াশিংটনের কাছে পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ার মাঠে হামলা চালায়। ৯/১১’র ওই হামলা প্রায় তিন হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সে সময় তার মাথার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন সরকার।

মার্কিন ও নেটো সৈন্যদের প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান আবারও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘাঁটি এবং তালেবান আফগানিস্তানের জন্য হুমকি হতে পারে এমন সম্ভাব্যতায় গত বছর জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এক প্রতিবেদনে আল-কায়েদাকে সংযত করার প্রচেষ্টায় তালেবানকে কৃতিত্ব দেয়া হয়েছিল, তবে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে ‘এটি স্থায়ী নাও হতে পারে’।

গত বছরের আগস্টে মার্কিন সেনা ও কূটনীতিকরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে এটিই প্রথম মার্কিন ড্রোন হামলা। প্রত্যাহারের কয়েক দিন আগে ভুল গণনাকারী একটি মার্কিন ড্রোনের হামলায় একজন স্বেচ্ছাসেবী ও সাত শিশুসহ ১০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ‘দুঃখজনক ভুল’ বলে স্বীকার করেছে এবং আইএস গ্রুপের একটি স্থানীয় শাখা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানিয়েছিল।

বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

মার্কিন হামলা আফগানিস্তানে জাওয়াহিরিকে হত্যা

এই সন্ত্রাসী নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ন্যায়বিচার করা হয়েছে, বললেন বাইডেন

সংবাদ ডেস্ক

আফগানিস্তানের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআই‘র ড্রোন হামলায় আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।

কাবুলের একটি সুরক্ষিত বাড়ির বারান্দায় ছিলেন জাওয়াহিরি, সে সময় তাকে লক্ষ্য করে দুটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ড্রোন। যদিও বাড়িটিতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন তবে তারা অক্ষত আছেন বলে দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের।

হোয়াইট হাউস থেকে একটি টেলিভিশনে লাইভ অনুষ্ঠানের ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ন্যায়বিচার করা হয়েছে। দুষ্টু ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হত্যাকারীকে বিশ্বের মানুষের আর ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’

দীর্ঘ কয়েক মাস পরিকল্পনার পরে ৭১ বছর বয়সী আল-কায়েদা এই নেতার ওপর ‘নির্ভুল হামলা’ করার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর মাধ্যমে ২০০১ সালে আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় তিন হাজার নিহতদের পরিবারকে স্বস্তি দেবে বলে জানান বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘নিশ্চিত যে তারা জাওয়াহিরিকে হত্যা করেছেন এবং অন্য কাউকে নয়’। হামলার সময় তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু ‘তারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন না এবং অক্ষত রয়েছেন’, দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের।

‘হামলায় বেসামরিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। বেসামরিক ক্ষতি এড়াতে আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছি,’ বলেন একজন মার্কিন কর্তা।

২০১১ সালে এর প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকে আল-কায়েদা বেশ কোণঠাসার মধ্যে ছিল, রোববার আল-জাওয়াহিরি নিহত হবার পর আবারও বড় ধাক্কার সম্মুখীন হলো সংগঠনটি। লাদেনের মৃত্যুর পর ১৬ জুন জাওয়াহিরি আল-কায়েদার দায়িত্ব নেন।

বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনায় ৯/১১ হামলা করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের’ একজন ছিলেন জাওয়াহিরি।

গত বছর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওভার-দ্য-হরাইজন’ অপারেশন পরিচালনা করার ক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে এই হামলাকে দেখা হচ্ছে। কিন্তু তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে আল-কায়েদার অব্যাহত উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে গত তিন মাসে (মে-জুলাই) তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনার জন্য বৈঠক করেছিলেন।

অবশেষে গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জাওয়াহিরির অবস্থান করা ‘সুরক্ষিত আবাসে’ হামলার নির্দেশ দেন বাইডেন। শনিবার রাত ৯টা ৪৮ মিনিটে একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোনের মাধ্যমে হামলা করা হয়।

এ ঘটনার পর মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘বাইডেনের নেতৃত্ব ও গোয়েন্দা অপারেটিভদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা এই সফল হামলাটির জন্য কয়েক দশক ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ রাতের খবরটি প্রমাণ করে যে আফগানিস্তানে যুদ্ধ না করেই সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা সম্ভব।’

বিন লাদেনের ওপর চালিত অপারেশনটির জন্য হোয়াইট হাউস ওবামাকে সে সময় রাষ্ট্রনায়কের সম্মান দিয়েছিল, ১১ বছর পর এবার বাইডেনের পালা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালে তালেবান আল-কায়েদা বা অন্য কোন চরমপন্থী গোষ্ঠীকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে কাজ করার অনুমতি না দিতে সম্মতি দিয়ে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু কাবুলে জাওয়াহিরিকে হত্যা করার পর তালেবানের ওপর চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলছেন, ‘কাবুলে জাওয়াহিরিকে আতিথেয়তা ও আশ্রয় দিয়ে তালেবান শান্তি চুক্তির চরম লঙ্ঘন করেছে তালেবান।’

তালেবান কাবুলে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং হামলাটিকে ‘আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

জাওয়াহিরি একজন মিশরীয় চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু ’৮০র দশকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে কারাবন্দী হন। কারামুক্তির পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হোন।

ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথ পরিকল্পনায় চারটি বেসামরিক বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে, ওয়াশিংটনের কাছে পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ার মাঠে হামলা চালায়। ৯/১১’র ওই হামলা প্রায় তিন হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সে সময় তার মাথার জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন সরকার।

মার্কিন ও নেটো সৈন্যদের প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান আবারও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘাঁটি এবং তালেবান আফগানিস্তানের জন্য হুমকি হতে পারে এমন সম্ভাব্যতায় গত বছর জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এক প্রতিবেদনে আল-কায়েদাকে সংযত করার প্রচেষ্টায় তালেবানকে কৃতিত্ব দেয়া হয়েছিল, তবে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে ‘এটি স্থায়ী নাও হতে পারে’।

গত বছরের আগস্টে মার্কিন সেনা ও কূটনীতিকরা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে এটিই প্রথম মার্কিন ড্রোন হামলা। প্রত্যাহারের কয়েক দিন আগে ভুল গণনাকারী একটি মার্কিন ড্রোনের হামলায় একজন স্বেচ্ছাসেবী ও সাত শিশুসহ ১০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ‘দুঃখজনক ভুল’ বলে স্বীকার করেছে এবং আইএস গ্রুপের একটি স্থানীয় শাখা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল বলে জানিয়েছিল।