শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২, ২১ শ্রাবণ ১৪২৯ ৬ মহররম ১৪৪৪

দুর্বল ১০ ব্যাংক চিহ্নিত, তবে নাম বলেননি গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক আয়োজিত ‘বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তবে চিহ্নিত ব্যাংকগুলোর নাম বলেননি গভর্নর। ব্রিফিংয়ে চার ডেপুটি গভর্নরও উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে জানা গেছে, ব্যাংক ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করতে চারটি চলকের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। চলকগুলো হচ্ছেÑ শ্রেণীকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনের পরিমাণ।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান। সেখানে বলা হয়, চার চলকের ওপর ভিত্তি করে চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা আলাদা (ওয়ান-টু-ওয়ান) ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এরপর প্রতিটি ব্যাংকের অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য ঋণ পুনঃতফশিলীকরণ ও পুনর্গঠনবিষয়ক মূল (মাস্টার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আগে যা অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।

দুর্বল ১০টি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করবেন কি নাÑ জানতে চাইলে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, নাম না বলাই ভালো। একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা কোন ব্যাংক বন্ধের পক্ষে না, আমানতকারীর টাকা যেন নিরাপদ থাকে সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা চাই সব ব্যাংক ব্যবসা করবে লাভ করবে এবং বাজারে টিকে থাকবে।

এক শ্রেণীর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রেখে মানুষ টাকা ফেরত পাচ্ছেন না, এক শ্রেণীর দুর্বল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় কি না, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘এক শ্রেণীর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনাস্থা এসেছে। আমরা চাই ব্যাংকের প্রতি যাতে তা না আসে। সেজন্যই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২ , ২১ শ্রাবণ ১৪২৯ ৬ মহররম ১৪৪৪

দুর্বল ১০ ব্যাংক চিহ্নিত, তবে নাম বলেননি গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক আয়োজিত ‘বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তবে চিহ্নিত ব্যাংকগুলোর নাম বলেননি গভর্নর। ব্রিফিংয়ে চার ডেপুটি গভর্নরও উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে জানা গেছে, ব্যাংক ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করতে চারটি চলকের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। চলকগুলো হচ্ছেÑ শ্রেণীকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনের পরিমাণ।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান। সেখানে বলা হয়, চার চলকের ওপর ভিত্তি করে চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা আলাদা (ওয়ান-টু-ওয়ান) ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এরপর প্রতিটি ব্যাংকের অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য ঋণ পুনঃতফশিলীকরণ ও পুনর্গঠনবিষয়ক মূল (মাস্টার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আগে যা অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।

দুর্বল ১০টি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করবেন কি নাÑ জানতে চাইলে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, নাম না বলাই ভালো। একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা কোন ব্যাংক বন্ধের পক্ষে না, আমানতকারীর টাকা যেন নিরাপদ থাকে সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা চাই সব ব্যাংক ব্যবসা করবে লাভ করবে এবং বাজারে টিকে থাকবে।

এক শ্রেণীর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রেখে মানুষ টাকা ফেরত পাচ্ছেন না, এক শ্রেণীর দুর্বল ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় কি না, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘এক শ্রেণীর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনাস্থা এসেছে। আমরা চাই ব্যাংকের প্রতি যাতে তা না আসে। সেজন্যই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’