কিশোরগঞ্জে আগাম বন্যার ক্ষতি মোকাবেলায় আগাম অর্থ ও উপকরণ সহায়তার জন্য সুবিধাভোগীদের ডাটাবেজ তৈরির লক্ষ্যে কর্মশালা হয়েছে। সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ফাও) বেসরকারী সংস্থা পপি ও কেয়ারের সহায়তায় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার জেলা শহরে পপির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কর্মশালা সম্পন্ন করে। কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। এতে কৃষিবিভাগ, প্রণীসম্পদ বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, রেডক্রিসেন্ট এবং কয়েকটি বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, ফাও’র জাতীয় কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ সামছুন নাঈমা রহমান, পপির জেলা সমন্বয়ক মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, কেয়ার কর্মকর্তা মো. শাহাব উদ্দিন, প্রশিক্ষণ পরামর্শক বাবু নারায়ণ, নিরাপদ কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান প্রমুখ তালিকা প্রণয়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, কিশোরগঞ্জের চারটি হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলীর ১৬টি ইউনিয়ন এবং নেত্রকোণার তিনটি হাওর উপজেলা মদন, খালিয়াজুড়ি ও মোহনগঞ্জের ১২টি ইউনিয়েনের মোট ১০ হাজার পরিবারের চূড়ান্ত ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
ইতোপূর্বে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর তৈরি করা সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা থেকে উপযুক্ততা যাচাই করে প্রাথমিকভাবে ১৩ হাজার পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে আরও যাচাইবাছাই করে সহায়তা পাওয়ার যথার্থ উপযুক্ত ১০ হাজার পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করে ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
ডাটাবেজ চূড়ান্ত হবার পর কেবল সরকার নয়, যে কোন সংস্থাই এই তালিকা ব্যবহার করতে পারবে। প্রথমে পাইলটিং আকারে এসব পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, ফসলের বীজ, বীজ সংরক্ষণের প্লাস্টিকের বায়ুরোধক পাত্র, গোখাদ্যা ইত্যাদি সহায়তা বিতরণ করা হবে।
এতে সুফল পাওয়া গেলে পরবর্তীতে এর আওতা আরও বিস্তৃত হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়েছে। কর্মকর্তাগণ জানান, এতদিন কেবল আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সহায়তা প্রদান করা হতো। কিন্তু এখন দরকার বন্যার আগেই কিছু আগাম সহায়তা প্রদান করা, যেন আসন্ন ক্ষতি মোকাবেলা বা ক্ষতি এড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবারগুলো পদক্ষেপ নিতে পারে।
শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২ , ২২ শ্রাবণ ১৪২৯ ৭ মহররম ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে আগাম বন্যার ক্ষতি মোকাবেলায় আগাম অর্থ ও উপকরণ সহায়তার জন্য সুবিধাভোগীদের ডাটাবেজ তৈরির লক্ষ্যে কর্মশালা হয়েছে। সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ফাও) বেসরকারী সংস্থা পপি ও কেয়ারের সহায়তায় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার জেলা শহরে পপির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কর্মশালা সম্পন্ন করে। কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। এতে কৃষিবিভাগ, প্রণীসম্পদ বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, রেডক্রিসেন্ট এবং কয়েকটি বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, ফাও’র জাতীয় কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ সামছুন নাঈমা রহমান, পপির জেলা সমন্বয়ক মুহাম্মদ ফরিদুল আলম, কেয়ার কর্মকর্তা মো. শাহাব উদ্দিন, প্রশিক্ষণ পরামর্শক বাবু নারায়ণ, নিরাপদ কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান প্রমুখ তালিকা প্রণয়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, কিশোরগঞ্জের চারটি হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলীর ১৬টি ইউনিয়ন এবং নেত্রকোণার তিনটি হাওর উপজেলা মদন, খালিয়াজুড়ি ও মোহনগঞ্জের ১২টি ইউনিয়েনের মোট ১০ হাজার পরিবারের চূড়ান্ত ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
ইতোপূর্বে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর তৈরি করা সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা থেকে উপযুক্ততা যাচাই করে প্রাথমিকভাবে ১৩ হাজার পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে আরও যাচাইবাছাই করে সহায়তা পাওয়ার যথার্থ উপযুক্ত ১০ হাজার পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করে ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
ডাটাবেজ চূড়ান্ত হবার পর কেবল সরকার নয়, যে কোন সংস্থাই এই তালিকা ব্যবহার করতে পারবে। প্রথমে পাইলটিং আকারে এসব পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, ফসলের বীজ, বীজ সংরক্ষণের প্লাস্টিকের বায়ুরোধক পাত্র, গোখাদ্যা ইত্যাদি সহায়তা বিতরণ করা হবে।
এতে সুফল পাওয়া গেলে পরবর্তীতে এর আওতা আরও বিস্তৃত হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়েছে। কর্মকর্তাগণ জানান, এতদিন কেবল আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে সহায়তা প্রদান করা হতো। কিন্তু এখন দরকার বন্যার আগেই কিছু আগাম সহায়তা প্রদান করা, যেন আসন্ন ক্ষতি মোকাবেলা বা ক্ষতি এড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবারগুলো পদক্ষেপ নিতে পারে।