হিন্দু পরিবারের জমি দখল নিতে নানা কৌশল

প্রতিকারে ইউএরওর কাছে আবেদন

বাগেরহাটে একটি হিন্দু পরিবারের জমি অবৈধ দখলের জন্য নানা কৌশল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে করেন সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের পুলিন বিহারী ম-লের ছেলে মুরারী মোহন ম-ল।

অভিযোগে বলা হয় মুরারী মোহন ম-ল পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি তার প্রতিবেশী মৃত আব্দুল হাকিম জমাদ্দারের ছেলে খুলনায় বসবাসকারী আব্দুল গাফ্ফার জমাদ্দার তার সম্পত্তি দেখভালের জন্য কাশিমপুর এলাকার মৃত আফসার সেখের ছেলে আমির শেখ কে কেয়ার টেকারের দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে আমির সেখ প্রায়ই মুরারী মোহনের সীমানার পশ্চিম পাশ থেকে ক্রমান্বয়ে জমি জোর দখল করে ইচ্ছা খুশিমত বেড়া দেয়। উদ্দেশ্যমুলকভাবে মুরারী মোহনের জমির নারকেল গাছ থেকে জোর করে নারকেল নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকার মুরুব্বিদের জানিয়ে তাদের পরামর্শে প্রথমে আব্দুল গফ্ফার জমাদ্দারকে জমি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। এ অনুরোধ করার হিন্দু পরিবারের সন্তান মুরারী মোহন মন্ডল কে জমি না ছাড়ার হুমকী দেয়। বিষয়টি পরবর্ত্তিতে বাগেরহাট সদর মডেল থানা ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শান্তি-শৃংখলা বজায়ে রাখতে আমিন দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারন করে দখল বুঝিয়ে দেয়। অথচ বিবাদী আব্দুল গফ্ফার ও তার কেয়ার টেকার আমির শেখ থানা পুলিশের এ মীমাংসা না মেনে পুনরায় বহিরাগত অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নিয়ে মুরারী মোহনের জমি জোর দখলের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে জোর করে আবারও নারকেল পেড়ে নিয়ে গেছে। প্রায় রাতেই বহিরাগত সন্তাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বাগানে প্রবেশ করছে। মুরারী মোহনদের দেখিয়ে এ সব কর্মকান্ড করছে। যাতে হিন্দু মানুষ ভয়ে ওই জমি ছেড়ে দেয়। মুরারী মোহন মন্ডল এ বিষয়ে বলেন আমরা হিন্দু মানুষ এমনিতেই ভীত অবস্থায় বসবাস করি। এরপর প্রতিনিয়ত এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটাতে থাকলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকায় কিভাবে বসবাস করব। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানিয়েছি প্রতিকারের জন্য। থানা পুলিশ একটি সমাধান দিয়ে গেলেও তা মানেন নি বিবাদীরা। বিবাদীরা এলাকার প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেহ প্রতিবাদ করছেন না। উপান্তর না পেয়ে গত ২ জুলাই বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি আবেদন জমা দিয়েছি। রবিবার সকাল পর্যন্ত ওই আবেদনে কোন সাড়া পড়েনি। ডেমা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনি মল্লিক বলেন, মুরারী মোহন পরিষদে আবেদন করেছেন। দুই পক্ষকে নোটিশ করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২ , ২৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ৯ মহররম ১৪৪৪

হিন্দু পরিবারের জমি দখল নিতে নানা কৌশল

প্রতিকারে ইউএরওর কাছে আবেদন

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটে একটি হিন্দু পরিবারের জমি অবৈধ দখলের জন্য নানা কৌশল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই লিখিত অভিযোগ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে করেন সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের পুলিন বিহারী ম-লের ছেলে মুরারী মোহন ম-ল।

অভিযোগে বলা হয় মুরারী মোহন ম-ল পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি তার প্রতিবেশী মৃত আব্দুল হাকিম জমাদ্দারের ছেলে খুলনায় বসবাসকারী আব্দুল গাফ্ফার জমাদ্দার তার সম্পত্তি দেখভালের জন্য কাশিমপুর এলাকার মৃত আফসার সেখের ছেলে আমির শেখ কে কেয়ার টেকারের দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে আমির সেখ প্রায়ই মুরারী মোহনের সীমানার পশ্চিম পাশ থেকে ক্রমান্বয়ে জমি জোর দখল করে ইচ্ছা খুশিমত বেড়া দেয়। উদ্দেশ্যমুলকভাবে মুরারী মোহনের জমির নারকেল গাছ থেকে জোর করে নারকেল নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকার মুরুব্বিদের জানিয়ে তাদের পরামর্শে প্রথমে আব্দুল গফ্ফার জমাদ্দারকে জমি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। এ অনুরোধ করার হিন্দু পরিবারের সন্তান মুরারী মোহন মন্ডল কে জমি না ছাড়ার হুমকী দেয়। বিষয়টি পরবর্ত্তিতে বাগেরহাট সদর মডেল থানা ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শান্তি-শৃংখলা বজায়ে রাখতে আমিন দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারন করে দখল বুঝিয়ে দেয়। অথচ বিবাদী আব্দুল গফ্ফার ও তার কেয়ার টেকার আমির শেখ থানা পুলিশের এ মীমাংসা না মেনে পুনরায় বহিরাগত অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নিয়ে মুরারী মোহনের জমি জোর দখলের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে জোর করে আবারও নারকেল পেড়ে নিয়ে গেছে। প্রায় রাতেই বহিরাগত সন্তাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বাগানে প্রবেশ করছে। মুরারী মোহনদের দেখিয়ে এ সব কর্মকান্ড করছে। যাতে হিন্দু মানুষ ভয়ে ওই জমি ছেড়ে দেয়। মুরারী মোহন মন্ডল এ বিষয়ে বলেন আমরা হিন্দু মানুষ এমনিতেই ভীত অবস্থায় বসবাস করি। এরপর প্রতিনিয়ত এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটাতে থাকলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকায় কিভাবে বসবাস করব। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানিয়েছি প্রতিকারের জন্য। থানা পুলিশ একটি সমাধান দিয়ে গেলেও তা মানেন নি বিবাদীরা। বিবাদীরা এলাকার প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেহ প্রতিবাদ করছেন না। উপান্তর না পেয়ে গত ২ জুলাই বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি আবেদন জমা দিয়েছি। রবিবার সকাল পর্যন্ত ওই আবেদনে কোন সাড়া পড়েনি। ডেমা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনি মল্লিক বলেন, মুরারী মোহন পরিষদে আবেদন করেছেন। দুই পক্ষকে নোটিশ করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।