হাসপাতাল দালালমুক্ত নিরাপত্তা জোরদারে সিসিটিভি ক্যামেরা

ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলা। এই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার একমাত্র ভরসা ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীদের হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতেই পড়তে হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের খপ্পরে। এসব দালালরা হাসপাতালে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে নামে বেনামে পরীক্ষা করিয়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এমনকি সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হয় রোগীরা। এছাড়াও হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও আউটডোরে ডাক্তারদের চেম্বারে গিয়ে বসে থাকে তারা।

রোগী দেখার সময় ডাক্তারদেরও বিরক্ত করা হতো। এসব নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন মহল এবং আইনশৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরই মাঝে নবযোগদানকৃত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাঈদ হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করতে উদ্যোগ নেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালাল মুক্ত ও নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ এর উদ্যোগে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, আউটডোর, ইনডোরসহ গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এতে কমেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। বেড়েছে সেবার মান। দীর্ঘদিন পর স্বস্তিতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। এই কাজে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতা নিয়েছেন।

প্রায়ই হাসপাতালের সেবার মান এবং রোগীদের খোঁজখবর নেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাইদ বলেন, হাসপাতালে রোগীদের সেবার মান শতভাগ নিশ্চিত করতে আমাদের স্টাফদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এরপরও যদি তাদের দৌরাত্ব দেখা যায় তাহলে দালালদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে।

সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২ , ২৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ৯ মহররম ১৪৪৪

হাসপাতাল দালালমুক্ত নিরাপত্তা জোরদারে সিসিটিভি ক্যামেরা

প্রতিনিধি, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলা। এই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার একমাত্র ভরসা ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীদের হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতেই পড়তে হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের খপ্পরে। এসব দালালরা হাসপাতালে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে নামে বেনামে পরীক্ষা করিয়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এমনকি সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হয় রোগীরা। এছাড়াও হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও আউটডোরে ডাক্তারদের চেম্বারে গিয়ে বসে থাকে তারা।

রোগী দেখার সময় ডাক্তারদেরও বিরক্ত করা হতো। এসব নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন মহল এবং আইনশৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরই মাঝে নবযোগদানকৃত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাঈদ হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করতে উদ্যোগ নেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালাল মুক্ত ও নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ এর উদ্যোগে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, আউটডোর, ইনডোরসহ গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এতে কমেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। বেড়েছে সেবার মান। দীর্ঘদিন পর স্বস্তিতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। এই কাজে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতা নিয়েছেন।

প্রায়ই হাসপাতালের সেবার মান এবং রোগীদের খোঁজখবর নেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাইদ বলেন, হাসপাতালে রোগীদের সেবার মান শতভাগ নিশ্চিত করতে আমাদের স্টাফদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এরপরও যদি তাদের দৌরাত্ব দেখা যায় তাহলে দালালদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে।