পাঁচ হাজার টাকা পুঁজিতে শুরু, এখন লাখ লাখ

কঠোর অধ্যাবসায় আর প্রশিক্ষণ নিয়ে রংপুরের মাসুমা আক্তার তানিয়া এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। করোনা মহামারীর সময় কাপড়ের তৈরি মাস্ক তৈরি করে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তার কাপড়ের তৈরি মাস্ক এতটাই স্বাস্থ্য সম্মত বলে পরিচিতি লাভ করেছিল যে হাজার হাজার মাস্ক তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি যুব উন্নয়ন থেকে পোশাক তৈরি, ফ্যাশন ডিজাইন, ক্যাটারিং আর উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের বাড়িতে বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রিপিসসহ বিভিন্ন কাপড় তৈরি করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা পুজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এখন কয়েক লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। এখন নিজেও বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি করেন সেই সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেককেই স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।

বাবা মোস্তফা জামাল মা জাহানারা বেগমের কন্যা মূলত জুম্মাপাড়া মহল্লার স্বামী সাগির আহামেদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা আজ তাকে সাফল্য এনে দিচ্ছে।

উদ্যাক্তা মাসুমা আক্তার তানিয়া জানান সংসার দেখা শোনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন কাজে উদ্যাক্তা হতে পারলে নিজের যেমন সাফল্য আসে পারিবারিকভাবেও সচ্ছলতা আনা সম্ভব। তিনি জানান যুব উন্নয়ন থেকে নেয়া বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি, ফ্যাশন ডিজাইন করা তাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়াও তৃনমূল পর্যায়ে নারী উদ্যাক্তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিকাশ সাধন প্রকল্পে তিনি সহায়তা ও তাদের প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করেছে।

অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবার তৈরি করেও তিনি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। অতিসম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে অংশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে মাত্র ৫দিনে বিশ হাজার টাকা আয় করেছেন। এ ছাড়াও আলু দিয়ে অন্তত ২০ ধরনের খাবার তৈরি করেও তিনি সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের হালুয়া, পরাঠাসহ মজাদার বিভিন্ন খাবার ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি করতে তিনি পারদর্শিতা অর্জন করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আত্মকর্মী হিসেবে রংপুর জেলা থেকে মনোনীত হয়েছেন এটা তার দীর্ঘ প্রচেষ্টার সফলতা বলে জানান। ভবিষতে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হবার স্বপ্ন রয়েছে। সেই সাথে সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চান নারী উদ্যাক্তা মাসুমা আক্তার তানিয়া।

সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২ , ২৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ৯ মহররম ১৪৪৪

সফল নারী উদ্যোক্তা তানিয়া

পাঁচ হাজার টাকা পুঁজিতে শুরু, এখন লাখ লাখ

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

কঠোর অধ্যাবসায় আর প্রশিক্ষণ নিয়ে রংপুরের মাসুমা আক্তার তানিয়া এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। করোনা মহামারীর সময় কাপড়ের তৈরি মাস্ক তৈরি করে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তার কাপড়ের তৈরি মাস্ক এতটাই স্বাস্থ্য সম্মত বলে পরিচিতি লাভ করেছিল যে হাজার হাজার মাস্ক তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি যুব উন্নয়ন থেকে পোশাক তৈরি, ফ্যাশন ডিজাইন, ক্যাটারিং আর উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের বাড়িতে বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রিপিসসহ বিভিন্ন কাপড় তৈরি করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। মাত্র ৫ হাজার টাকা পুজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এখন কয়েক লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। এখন নিজেও বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি করেন সেই সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অনেককেই স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।

বাবা মোস্তফা জামাল মা জাহানারা বেগমের কন্যা মূলত জুম্মাপাড়া মহল্লার স্বামী সাগির আহামেদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা আজ তাকে সাফল্য এনে দিচ্ছে।

উদ্যাক্তা মাসুমা আক্তার তানিয়া জানান সংসার দেখা শোনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন কাজে উদ্যাক্তা হতে পারলে নিজের যেমন সাফল্য আসে পারিবারিকভাবেও সচ্ছলতা আনা সম্ভব। তিনি জানান যুব উন্নয়ন থেকে নেয়া বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি, ফ্যাশন ডিজাইন করা তাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়াও তৃনমূল পর্যায়ে নারী উদ্যাক্তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিকাশ সাধন প্রকল্পে তিনি সহায়তা ও তাদের প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করেছে।

অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবার তৈরি করেও তিনি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। অতিসম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে অংশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে মাত্র ৫দিনে বিশ হাজার টাকা আয় করেছেন। এ ছাড়াও আলু দিয়ে অন্তত ২০ ধরনের খাবার তৈরি করেও তিনি সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের হালুয়া, পরাঠাসহ মজাদার বিভিন্ন খাবার ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি করতে তিনি পারদর্শিতা অর্জন করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আত্মকর্মী হিসেবে রংপুর জেলা থেকে মনোনীত হয়েছেন এটা তার দীর্ঘ প্রচেষ্টার সফলতা বলে জানান। ভবিষতে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হবার স্বপ্ন রয়েছে। সেই সাথে সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চান নারী উদ্যাক্তা মাসুমা আক্তার তানিয়া।