প্রেমে সাড়া না দেয়ায় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আখিনুর আক্তারের (১৫) চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করেছে বখাটেরা। সে জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের শাহে আলম হাওলাদারের মেয়ে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ফোনে ডেকে নিয়ে বখাটেরা চোখ তুলে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশটি উদ্ধারের পর নিহতের বাবা লাশ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে থানা পুলিশ আখিনুরের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার সাব্বির হোসেন ও ফয়সালসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আখিনুরের ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৩ আগস্ট সকালে খালাতো বোন হালিমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় আখিনুর। পরের দিন খালাতো বোনকে ফোন করে জানতে পারেন আখিনুর ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে খালাতো বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। কিন্তু সে বাড়িতে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তারা হতাশ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। তার দুই চোখ উপড়ে ফেলা, মাথা ও মুখম-লে ছুরিকাঘাতসহ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায় লাশ।
সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২ , ২৪ শ্রাবণ ১৪২৯ ৯ মহররম ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
প্রেমে সাড়া না দেয়ায় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আখিনুর আক্তারের (১৫) চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করেছে বখাটেরা। সে জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের শাহে আলম হাওলাদারের মেয়ে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ফোনে ডেকে নিয়ে বখাটেরা চোখ তুলে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশটি উদ্ধারের পর নিহতের বাবা লাশ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে থানা পুলিশ আখিনুরের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার সাব্বির হোসেন ও ফয়সালসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আখিনুরের ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৩ আগস্ট সকালে খালাতো বোন হালিমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় আখিনুর। পরের দিন খালাতো বোনকে ফোন করে জানতে পারেন আখিনুর ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে খালাতো বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। কিন্তু সে বাড়িতে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তারা হতাশ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। তার দুই চোখ উপড়ে ফেলা, মাথা ও মুখম-লে ছুরিকাঘাতসহ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায় লাশ।