যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা লিজ ট্রাস। প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন ৪৭ বছরের ট্রাস। নির্বচানে ট্রাস পেয়েছে ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট। ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯টি।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত দলীয় নেতাদের অভিনন্দন জানান লিজ ট্রাস। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জনসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করেছেন, জনগণকে করোনার টিকা দিয়েছেন এবং বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে পর্যদুস্ত করেছেন।

প্রথা অনুযায়ী বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়। তবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বর্তমানে স্কটল্যান্ডে তার গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জনসমক্ষে উপস্থিতিও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে লন্ডনে ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই রানীর। এ কারণেই ক্ষমতা হস্তান্তরের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে এবার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। যার কারণে আজ সকালে উত্তরসূরিকে নিয়ে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে রানীর সঙ্গে দেখা করবেন বরিস জনসন। সেখানে ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেবেন রানী। এরপর বিকেলে ডাউনিং স্ট্রিটে বক্তৃতা দেবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ঘোষণা করবেন মন্ত্রিসভা।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, তীব্র মন্দার আভাস, শ্রম অসন্তোষ, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম এবং সম্ভাব্য জ্বালানির ঘাটতি এসব মোকাবিলা করতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি দামের ধাক্কা থেকে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে নতুন সরকারকে।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির মুখে গত জুলাই মাসে বিরোধিতার মুখে পড়ে দলীয় নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তারপরই কনজারভেটিভ দলে শুরু হয় নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। সেই থেকেই যুক্তরাজ্য নতুন প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষায় আছে।

প্রথমদিকের ভোটে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককেই এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল। এতে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা জোরদার হচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে দৃশ্যপট। ভোটাররা বরিসের মন্ত্রিসভায় সুনাকের কার্যকারিতাও বিশ্লেষণ করে দেখেছে বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সময় সুনাক চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার হিসেবে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

এমনকী সম্প্রতি লিজ ট্রাসের সঙ্গে মুখোমুখি টিভি বিতর্কে তার কর-হ্রাসের নীতির তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন সুনাক। কেউ কেউ বলছেন, এসব কারণে ভোটারদের নিজের দিকে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন সুনাক। তাই ভোটের ফল নিয়ে এখন দোলাচলে সুনাক। জয়ী হতে পারলে যুক্তরাজ্যে তার রাজনৈতিক লড়াই আলদা তাৎপর্য পাবে। আর তা না হলে লিজের মন্ত্রিসভায় সুনাক থাকবেন না বলেই আভাস দিয়েছেন।

এদিকে, ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হয়েছে অদ্ভুত উপায়ে। বরিস জনসনকে যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে যেতে হবে, তখন তার জায়গায় যিনি আসবেন তাকে নির্বাচনের জন্য কোন সাধারণ ভোট হবে না। এর পরিবর্তে তার নিজের রাজনৈতিক দলের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য তার উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, গত সাধারণ নির্বাচনে যেখানে ৪০ লাখ ৭০ হাজার ভোটার নিবন্ধিত ছিলেন, সেখানে এত কমসংখ্যক লোক কীভাবে দেশের একজন নেতা নির্বাচন করতে পারেন?

এর জবাব লুকিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অনন্য এক রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে। যার অর্থ, এবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে শুধুমাত্র তারাই ভোট দেবেন যারা কনজারভেটিভ পার্টির চাঁদা দানকারী সদস্য। কিন্তু ব্যাপারটি এবারই প্রথমবার নয়। কখনো কখনো এর চেয়েও কম লোক নতুন নেতা বেছে নিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পুরো নাম মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। ১৯৭৫ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। অক্সফোর্ডের মেরটন কলেজে পড়াশোনা করেছেন ট্রাস। সে সময় লিবারেল ডেমোক্রেটদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন তিনি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি লিবারেল ডেমোক্রেটসের প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেল ডেমোক্রেট যুব ও ছাত্রদের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন লিজ ট্রাস। তবে ১৯৯৬ সালে স্নাতক হওয়ার পর যোগ দেন কনজারভেটিভ পার্টিতে।

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রিফর্মের ডেপুটি ডিরেক্টর হওয়ার আগে তিনি শেল অ্যান্ড ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যারলেসে কাজ করেছেন। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। নির্বাচিত হয়েই শিশু যতœ, গণিত শিক্ষা এবং অর্থনীতিসহ দেশের বেশ কয়েকটি নীতির ক্ষেত্রে সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় আসেন।

এরপর ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। ডেভিড ক্যামেরন, থেরেসা মে এবং বরিস জনসনের অধীনে তিনি মন্ত্রিসভার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। লিজ ট্রাস অর্থনৈতিকভাবে নব্য উদারনৈতিক এবং সামাজিকভাবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত।

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

সংবাদ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা লিজ ট্রাস। প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন ৪৭ বছরের ট্রাস। নির্বচানে ট্রাস পেয়েছে ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট। ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯টি।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত দলীয় নেতাদের অভিনন্দন জানান লিজ ট্রাস। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জনসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করেছেন, জনগণকে করোনার টিকা দিয়েছেন এবং বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে পর্যদুস্ত করেছেন।

প্রথা অনুযায়ী বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়। তবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বর্তমানে স্কটল্যান্ডে তার গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাচ্ছেন। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জনসমক্ষে উপস্থিতিও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই এই মুহূর্তে লন্ডনে ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই রানীর। এ কারণেই ক্ষমতা হস্তান্তরের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যে এবার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। যার কারণে আজ সকালে উত্তরসূরিকে নিয়ে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে রানীর সঙ্গে দেখা করবেন বরিস জনসন। সেখানে ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেবেন রানী। এরপর বিকেলে ডাউনিং স্ট্রিটে বক্তৃতা দেবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ঘোষণা করবেন মন্ত্রিসভা।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, তীব্র মন্দার আভাস, শ্রম অসন্তোষ, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম এবং সম্ভাব্য জ্বালানির ঘাটতি এসব মোকাবিলা করতে হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি দামের ধাক্কা থেকে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে নতুন সরকারকে।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির মুখে গত জুলাই মাসে বিরোধিতার মুখে পড়ে দলীয় নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তারপরই কনজারভেটিভ দলে শুরু হয় নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। সেই থেকেই যুক্তরাজ্য নতুন প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষায় আছে।

প্রথমদিকের ভোটে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককেই এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল। এতে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা জোরদার হচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে দৃশ্যপট। ভোটাররা বরিসের মন্ত্রিসভায় সুনাকের কার্যকারিতাও বিশ্লেষণ করে দেখেছে বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সময় সুনাক চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার হিসেবে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

এমনকী সম্প্রতি লিজ ট্রাসের সঙ্গে মুখোমুখি টিভি বিতর্কে তার কর-হ্রাসের নীতির তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন সুনাক। কেউ কেউ বলছেন, এসব কারণে ভোটারদের নিজের দিকে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন সুনাক। তাই ভোটের ফল নিয়ে এখন দোলাচলে সুনাক। জয়ী হতে পারলে যুক্তরাজ্যে তার রাজনৈতিক লড়াই আলদা তাৎপর্য পাবে। আর তা না হলে লিজের মন্ত্রিসভায় সুনাক থাকবেন না বলেই আভাস দিয়েছেন।

এদিকে, ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ হয়েছে অদ্ভুত উপায়ে। বরিস জনসনকে যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে যেতে হবে, তখন তার জায়গায় যিনি আসবেন তাকে নির্বাচনের জন্য কোন সাধারণ ভোট হবে না। এর পরিবর্তে তার নিজের রাজনৈতিক দলের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য তার উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, গত সাধারণ নির্বাচনে যেখানে ৪০ লাখ ৭০ হাজার ভোটার নিবন্ধিত ছিলেন, সেখানে এত কমসংখ্যক লোক কীভাবে দেশের একজন নেতা নির্বাচন করতে পারেন?

এর জবাব লুকিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অনন্য এক রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে। যার অর্থ, এবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে শুধুমাত্র তারাই ভোট দেবেন যারা কনজারভেটিভ পার্টির চাঁদা দানকারী সদস্য। কিন্তু ব্যাপারটি এবারই প্রথমবার নয়। কখনো কখনো এর চেয়েও কম লোক নতুন নেতা বেছে নিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পুরো নাম মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। ১৯৭৫ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। অক্সফোর্ডের মেরটন কলেজে পড়াশোনা করেছেন ট্রাস। সে সময় লিবারেল ডেমোক্রেটদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন তিনি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি লিবারেল ডেমোক্রেটসের প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেল ডেমোক্রেট যুব ও ছাত্রদের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন লিজ ট্রাস। তবে ১৯৯৬ সালে স্নাতক হওয়ার পর যোগ দেন কনজারভেটিভ পার্টিতে।

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রিফর্মের ডেপুটি ডিরেক্টর হওয়ার আগে তিনি শেল অ্যান্ড ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যারলেসে কাজ করেছেন। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। নির্বাচিত হয়েই শিশু যতœ, গণিত শিক্ষা এবং অর্থনীতিসহ দেশের বেশ কয়েকটি নীতির ক্ষেত্রে সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় আসেন।

এরপর ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। ডেভিড ক্যামেরন, থেরেসা মে এবং বরিস জনসনের অধীনে তিনি মন্ত্রিসভার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। লিজ ট্রাস অর্থনৈতিকভাবে নব্য উদারনৈতিক এবং সামাজিকভাবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত।