কোন দলকে ‘ধরে-বেঁধে’ ভোটে আনবে না কমিশন : সিইসি

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইসির প্রত্যাশা হলেও ইসি কোন দলকে ‘ধরে-বেঁধে’ নির্বাচনে আনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সব দলের প্রতি আহ্বান থাকবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের। বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিএনপি অন্যতম প্রধান দল। তারা যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন বিএনপির যে রাজনৈতিক কৌশল, আমরা কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের কৌশলের ওপর হস্তক্ষেপ করবো না, করতে পারি না, সে এখতিয়ার আমাদের নেই। এখন বিএনপি যেটা চাচ্ছে, সে ব্যাপারে আমাদের কোন রকম বাধা নেই। কিন্তু আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্বের পথে আমরা এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, আজকে দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ হলো। এই অর্থে সংলাপ শেষ হলো। সিদ্ধান্ত গ্রহণে যাতে সহায়ক হয় সেজন্যই সংলাপ করেছি। সংলাপ করে আমরা লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি তাদের।

ইভিএম নিয়েও বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়েও একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। আমরা আমাদের নিজস্ব বিবেচনায় দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে... যৌক্তিকভাবে ব্যালট পেপারে ১৫০ আসন ও দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অনেকের সন্দেহ-অবিশ্বাস থাকতে পারে। তবে ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন কমফোর্টেবল (চিন্তামুক্ত)। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটি সম্ভব হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইভিএম সংগ্রহের ওপর। কারণ, এই মেশিনের যন্ত্রাংশ আসবে বিদেশ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু দলকে নয়, সরকারকেও সংলাপ থেকে আসা মতামত জানিয়েছি। কেননা, দলগুলো কী বলছে তা সরকারেরও জানা উচিত। সরকার কিন্তু কোন দলের নয়। সেই বিভাজনটাকে মাথায় রেখে আমরা সরকারকে জানিয়েছি।’

সিইসি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নেয়ার ক্ষেত্রে একটা অসুবিধা কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন, যে একজন লোক বুথে যদি দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি যদি ভোটারকে বলেনÑ আপনি যান, ভোটটা আমি দিয়ে দেব। সেই সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। এজন্য আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা দেব।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নতুন প্রকল্পে ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। এটা আমাদের প্ল্যান। প্রকল্প যদি অনুমোদন হয়, বাস্তবায়ন যদি করতে না পারি তবে ব্যালটে নির্বাচন করবো।’

দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ইসি একা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ইসির ওপর ছেড়ে দিলে একারপক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে, যদিও আমরা চেষ্টা করবো।’

ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্রসহ চার মন্ত্রণালয় নেয়ার বিষয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওপর ইসির কর্তৃত্ব আছে। এতদিন হয়তো প্রয়োগ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করার বিষয়টি এটা ইসির অধীনে হতে পারে না। এটা সংবিধানে বলা আছে। কাজেই কেউ যদি চায় আমরা মন্ত্রী হবো; এটা সংবিধান অ্যালাউ করবে না।’ যে ক্ষমতা আছে সেটাই প্রয়োগ করলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করা সম্ভব বলে জানান সিইসি।

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

কোন দলকে ‘ধরে-বেঁধে’ ভোটে আনবে না কমিশন : সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইসির প্রত্যাশা হলেও ইসি কোন দলকে ‘ধরে-বেঁধে’ নির্বাচনে আনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সব দলের প্রতি আহ্বান থাকবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের। বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিএনপি অন্যতম প্রধান দল। তারা যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন বিএনপির যে রাজনৈতিক কৌশল, আমরা কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের কৌশলের ওপর হস্তক্ষেপ করবো না, করতে পারি না, সে এখতিয়ার আমাদের নেই। এখন বিএনপি যেটা চাচ্ছে, সে ব্যাপারে আমাদের কোন রকম বাধা নেই। কিন্তু আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্বের পথে আমরা এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, আজকে দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ হলো। এই অর্থে সংলাপ শেষ হলো। সিদ্ধান্ত গ্রহণে যাতে সহায়ক হয় সেজন্যই সংলাপ করেছি। সংলাপ করে আমরা লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি তাদের।

ইভিএম নিয়েও বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়েও একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। আমরা আমাদের নিজস্ব বিবেচনায় দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে... যৌক্তিকভাবে ব্যালট পেপারে ১৫০ আসন ও দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

অনেকের সন্দেহ-অবিশ্বাস থাকতে পারে। তবে ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন কমফোর্টেবল (চিন্তামুক্ত)। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটি সম্ভব হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইভিএম সংগ্রহের ওপর। কারণ, এই মেশিনের যন্ত্রাংশ আসবে বিদেশ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু দলকে নয়, সরকারকেও সংলাপ থেকে আসা মতামত জানিয়েছি। কেননা, দলগুলো কী বলছে তা সরকারেরও জানা উচিত। সরকার কিন্তু কোন দলের নয়। সেই বিভাজনটাকে মাথায় রেখে আমরা সরকারকে জানিয়েছি।’

সিইসি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নেয়ার ক্ষেত্রে একটা অসুবিধা কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন, যে একজন লোক বুথে যদি দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি যদি ভোটারকে বলেনÑ আপনি যান, ভোটটা আমি দিয়ে দেব। সেই সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। এজন্য আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা দেব।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নতুন প্রকল্পে ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। এটা আমাদের প্ল্যান। প্রকল্প যদি অনুমোদন হয়, বাস্তবায়ন যদি করতে না পারি তবে ব্যালটে নির্বাচন করবো।’

দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ইসি একা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ইসির ওপর ছেড়ে দিলে একারপক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে, যদিও আমরা চেষ্টা করবো।’

ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্রসহ চার মন্ত্রণালয় নেয়ার বিষয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওপর ইসির কর্তৃত্ব আছে। এতদিন হয়তো প্রয়োগ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করার বিষয়টি এটা ইসির অধীনে হতে পারে না। এটা সংবিধানে বলা আছে। কাজেই কেউ যদি চায় আমরা মন্ত্রী হবো; এটা সংবিধান অ্যালাউ করবে না।’ যে ক্ষমতা আছে সেটাই প্রয়োগ করলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করা সম্ভব বলে জানান সিইসি।