নকলনবিশ সাইফুলের কেরামতি : গায়েব রেকর্ড বইয়ের পাতা, পরিবর্তন হচ্ছে জমির দাগ নম্বর

যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রেকর্ডের ভলিউম বই থেকে পাতা ছেঁড়া চক্রটি। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভলিউমের পাতা গায়েব করছে তারা। দলিলের দাগ নম্বরও পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে নানা ধরনের জটিলতায় পড়ছেন জমির মালিকরা। এ চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম।

সাইফুলকে একই ধরনের অপরাধে আগে দুইবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ‘বিশেষ রফায়’ ফের কাজে ফিরে আরও বেপরোয়া উঠেছেন। ভলিউম বইয়ে জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করার অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট সাইফুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় সাসপেন্ড করা হয়েছে।

যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ সাইফুল ইসলামের জালিয়াতি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তাদের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জেলা রেজিস্ট্রার শাহজাহান সরদার এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিতে ঝিকরগাছা সাব-রেজিস্ট্রার নারায়ন ম-লকে সদস্য সচিব এবং কেশবপুর সাব-রেজিস্ট্রার অমায়িক বাবু ও চৌগাছা সাব-রেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নকলনবিশ সাইফুল ইসলাম শার্শা উপজেলার ১৯৯০ সালের ৫১০২ নম্বর দলিলের দাগ নম্বর পরিবর্তন করে। দলিলে এসএ দাগ ছিল ২২২৭, সেটি ঘষে করা হয় ১৮০১। হাল দাগ ছিল ৩৬৭৩ সেটি হয়ে গেছে ৪১৭৮। এই দলিলটি ৬৮ নম্বর ভলিউম বইতে ছিল।

সাইফুল নকল তোলার জন্য রেকর্ড রুম থেকে ভলিউম বইটি সংগ্রহ করেন। জমির বিক্রেতা ছিলেন খোদেজা খাতুন আর ক্রেতা আবদুল হাই। সাইফুল সাব-রেজিস্ট্রার ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর নিজেই দিয়ে নকল তোলার জন্য জমা দেন। আইনত কোন নকলনবিশ আবেদন করতে পারেন না।

সাইফুল ইসলামকে ২০১৭ সালের ২০ মে একই ধরনের অপরাধের জন্য একবার সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সূত্র জানিয়েছেন সেবার ‘বিশেষ রফার’মাধ্যমে সাইফুল ফের নকলনবিশ পদে ফিরে আসেন। এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। তার নেতৃত্বে যশোর রেজিস্ট্রি অফিসে একটি শক্তিশালী চক্র গডে উঠেছে। যাদের কাজ হলো ভলিউম বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গায়েব করে সেখানে অন্য পাতা সেঁটে দেয়া।

দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে যাতায়াত সাইফুল চক্রের। এ চক্র অর্থের বিনিময়ে সরকারি অফিসের রেকর্ডপত্র বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। বছরের পর বছর ধরে এই অপকর্ম চলে আসছে। যারা এটি দেখবেন তারাই নাকি অর্থের কাছে ‘অন্ধ’ হয়ে গেছেন। খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

অনুসন্ধানে বের হয়েছে, নকলনবিশ সাইফুল ইসলাম ৫৮৬৮ নম্বর দলিলের পাতা ভলিউম থেকে ছিঁড়ে নিয়েছেন। ১৯৯৩ সালে কেশবপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এই দলিল সম্পাদন হয়। জমির মালিক নকল তুলতে গিয়ে জানতে পারেন ভলিউমে এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র নেই। যশোর সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১৯৭৬ সালের দলিল নম্বর ১৬২৮৬।

আরেকটি জমির মালিক মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালি গ্রামের নুরুল হুদা মিয়ার ছেলে দুলু মিয়া। রেকর্ডে ভলিউম নম্বর ২০৩, এবং পাতা নম্বর ১১৫, ১১৬ ও ১১৭। কিন্তু ভলিউম থেকে ১১৫, ১১৬ ও ১১৭ নম্বর পাতা গায়েব হয়ে গেছে। আর তার জায়গায় সেঁটে দেয়া হয়েছে ঢাকার একব্যক্তির জমির কাগজপত্র।

দুলু মিয়া এক বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দলিলের নকল তোলার জন্য। কিন্তু পারছেন না। এমনকি ভলিউম দেখতে চাইলেও তা দেখানো হচ্ছে না। জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না দুলু মিয়া ।

১৯৮০ সালে রেজিস্ট্রি হয় ৫৮৫ নম্বর দলিল। যার ভলিউম নম্বর ৪। পাতা নম্বর ২২৭, ২২৮, ২২৯ ও ২৩০। এই ভলিউম থেকে উল্লিখিত চারটি পাতা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। রেকর্ড রুম থেকে বলা হচ্ছে ৪ নম্বর ভলিউম বইটি দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভলিউম থেকে পাতা গায়েব হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে জমির মালিকরা বিপাকে পড়ছেন। অনেক জায়গায় দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। যা কখনো কখনো সহিংস রূপও নিচ্ছে।

ভলিউমের পাতা ছেঁড়া এই চক্রের বিরুদ্ধে আগে একবার তদন্ত হয়েছে। সেখানে তাদের এই অপকর্ম প্রমাণিত হয়। কিন্তু ‘অর্থের জোরে’ পার পেয়ে গেছে। এই চক্রের হোতাদের একটিই বক্তব্য, ‘টাকা থাকলে সবকিছুই ম্যানেজ করা সম্ভব।’

সূত্র বলছে, রেকর্ড রুম অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এখানকার সবকিছুর দায়ভার রেকর্ডকিপারের। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও তার সম্মতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। অথচ রেকর্ডকিপার বর্তমানে সাইফুল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ভলিউমের পাতা চুরির অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নকলনবিশ সাইফুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেন তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার। এর প্রায় এক বছর পর চুরি হওয়া পাতাটি ভলিউমের মধ্যে পাওয়া যায়। নকলনবিশদের একটি গ্রুপ সাইফুলের অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহারের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যা মন চায় লিখে দেন। আমরা মাসচুক্তিতে আইজিআর, ডিআর, সাব-রেজিস্ট্রার, ডিএসবি, দুদক, এনএসআই ও সাংবাদিকদের নিয়মিত টাকা দিয়ে থাকি। বহু-তো লিখলেন, কিছু হয়েছে কি? লিখলে আমাদের ঘুষের রেট বেড়ে যায়। লিখে আর রেট বাড়াবেন না।’

আর রেকর্ডকিপার বলেন, ‘আমি অসহায় শুধু দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। তারা শক্তিশালী, হাত অনেক লম্বা।’

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

যশোর রেজিস্ট্রি অফিস

নকলনবিশ সাইফুলের কেরামতি : গায়েব রেকর্ড বইয়ের পাতা, পরিবর্তন হচ্ছে জমির দাগ নম্বর

যশোর অফিস

যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রেকর্ডের ভলিউম বই থেকে পাতা ছেঁড়া চক্রটি। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভলিউমের পাতা গায়েব করছে তারা। দলিলের দাগ নম্বরও পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে নানা ধরনের জটিলতায় পড়ছেন জমির মালিকরা। এ চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম।

সাইফুলকে একই ধরনের অপরাধে আগে দুইবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ‘বিশেষ রফায়’ ফের কাজে ফিরে আরও বেপরোয়া উঠেছেন। ভলিউম বইয়ে জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করার অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট সাইফুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় সাসপেন্ড করা হয়েছে।

যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ সাইফুল ইসলামের জালিয়াতি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তাদের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জেলা রেজিস্ট্রার শাহজাহান সরদার এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিতে ঝিকরগাছা সাব-রেজিস্ট্রার নারায়ন ম-লকে সদস্য সচিব এবং কেশবপুর সাব-রেজিস্ট্রার অমায়িক বাবু ও চৌগাছা সাব-রেজিস্ট্রার মোস্তাক হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নকলনবিশ সাইফুল ইসলাম শার্শা উপজেলার ১৯৯০ সালের ৫১০২ নম্বর দলিলের দাগ নম্বর পরিবর্তন করে। দলিলে এসএ দাগ ছিল ২২২৭, সেটি ঘষে করা হয় ১৮০১। হাল দাগ ছিল ৩৬৭৩ সেটি হয়ে গেছে ৪১৭৮। এই দলিলটি ৬৮ নম্বর ভলিউম বইতে ছিল।

সাইফুল নকল তোলার জন্য রেকর্ড রুম থেকে ভলিউম বইটি সংগ্রহ করেন। জমির বিক্রেতা ছিলেন খোদেজা খাতুন আর ক্রেতা আবদুল হাই। সাইফুল সাব-রেজিস্ট্রার ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর নিজেই দিয়ে নকল তোলার জন্য জমা দেন। আইনত কোন নকলনবিশ আবেদন করতে পারেন না।

সাইফুল ইসলামকে ২০১৭ সালের ২০ মে একই ধরনের অপরাধের জন্য একবার সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সূত্র জানিয়েছেন সেবার ‘বিশেষ রফার’মাধ্যমে সাইফুল ফের নকলনবিশ পদে ফিরে আসেন। এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। তার নেতৃত্বে যশোর রেজিস্ট্রি অফিসে একটি শক্তিশালী চক্র গডে উঠেছে। যাদের কাজ হলো ভলিউম বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গায়েব করে সেখানে অন্য পাতা সেঁটে দেয়া।

দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে যাতায়াত সাইফুল চক্রের। এ চক্র অর্থের বিনিময়ে সরকারি অফিসের রেকর্ডপত্র বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। বছরের পর বছর ধরে এই অপকর্ম চলে আসছে। যারা এটি দেখবেন তারাই নাকি অর্থের কাছে ‘অন্ধ’ হয়ে গেছেন। খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

অনুসন্ধানে বের হয়েছে, নকলনবিশ সাইফুল ইসলাম ৫৮৬৮ নম্বর দলিলের পাতা ভলিউম থেকে ছিঁড়ে নিয়েছেন। ১৯৯৩ সালে কেশবপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এই দলিল সম্পাদন হয়। জমির মালিক নকল তুলতে গিয়ে জানতে পারেন ভলিউমে এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র নেই। যশোর সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১৯৭৬ সালের দলিল নম্বর ১৬২৮৬।

আরেকটি জমির মালিক মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালি গ্রামের নুরুল হুদা মিয়ার ছেলে দুলু মিয়া। রেকর্ডে ভলিউম নম্বর ২০৩, এবং পাতা নম্বর ১১৫, ১১৬ ও ১১৭। কিন্তু ভলিউম থেকে ১১৫, ১১৬ ও ১১৭ নম্বর পাতা গায়েব হয়ে গেছে। আর তার জায়গায় সেঁটে দেয়া হয়েছে ঢাকার একব্যক্তির জমির কাগজপত্র।

দুলু মিয়া এক বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দলিলের নকল তোলার জন্য। কিন্তু পারছেন না। এমনকি ভলিউম দেখতে চাইলেও তা দেখানো হচ্ছে না। জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না দুলু মিয়া ।

১৯৮০ সালে রেজিস্ট্রি হয় ৫৮৫ নম্বর দলিল। যার ভলিউম নম্বর ৪। পাতা নম্বর ২২৭, ২২৮, ২২৯ ও ২৩০। এই ভলিউম থেকে উল্লিখিত চারটি পাতা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। রেকর্ড রুম থেকে বলা হচ্ছে ৪ নম্বর ভলিউম বইটি দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভলিউম থেকে পাতা গায়েব হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে জমির মালিকরা বিপাকে পড়ছেন। অনেক জায়গায় দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। যা কখনো কখনো সহিংস রূপও নিচ্ছে।

ভলিউমের পাতা ছেঁড়া এই চক্রের বিরুদ্ধে আগে একবার তদন্ত হয়েছে। সেখানে তাদের এই অপকর্ম প্রমাণিত হয়। কিন্তু ‘অর্থের জোরে’ পার পেয়ে গেছে। এই চক্রের হোতাদের একটিই বক্তব্য, ‘টাকা থাকলে সবকিছুই ম্যানেজ করা সম্ভব।’

সূত্র বলছে, রেকর্ড রুম অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এখানকার সবকিছুর দায়ভার রেকর্ডকিপারের। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও তার সম্মতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। অথচ রেকর্ডকিপার বর্তমানে সাইফুল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ভলিউমের পাতা চুরির অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নকলনবিশ সাইফুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেন তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার। এর প্রায় এক বছর পর চুরি হওয়া পাতাটি ভলিউমের মধ্যে পাওয়া যায়। নকলনবিশদের একটি গ্রুপ সাইফুলের অব্যাহতি আদেশ প্রত্যাহারের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যা মন চায় লিখে দেন। আমরা মাসচুক্তিতে আইজিআর, ডিআর, সাব-রেজিস্ট্রার, ডিএসবি, দুদক, এনএসআই ও সাংবাদিকদের নিয়মিত টাকা দিয়ে থাকি। বহু-তো লিখলেন, কিছু হয়েছে কি? লিখলে আমাদের ঘুষের রেট বেড়ে যায়। লিখে আর রেট বাড়াবেন না।’

আর রেকর্ডকিপার বলেন, ‘আমি অসহায় শুধু দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। তারা শক্তিশালী, হাত অনেক লম্বা।’