টিএমজিবি সদস্যদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) এর সদস্যদের জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআইবি) এর আয়োজনে মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী (২-৪ সেপ্টেম্বর) প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে ব্যক্তিগত আড্ডার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চা স্টলের দায়বদ্ধতাহীন আলোচনার মতোই সোস্যাল মিডিয়ায় যার যা খুশি তাই লিখে। রেজিস্ট্রিকৃত নিউজ পোর্টাল বা সংবাদ পত্রের দায়বদ্ধতা আছে। সেখানে সম্পাদক আছেন, নিউজ এডিটর, চীফ রিপোর্টার আছেন। তারা সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ দেখে থাকেন। দায়িত্বশীল গণমাধ্যম ও তার সাংবাদিকদের নিয়ে আমার উদ্বেগ নেই-কিন্তু নাম-ঠিকানা গোত্রহীন গণমাধ্যমের নামের প্রকাশনাগুলো আমাদের আতঙ্ক। তিনি সাংবাদিকদের ডিজিটাল গণ মাধ্যম ও ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ফলে আগামীদিনের সাংবাদিকতা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাগজে ছাপা পত্রিকা প্রযুক্তির পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সময়ের প্রশ্ন। রেডিও টিভিরও একই যাত্রাপথ। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনের দুনিয়ায় কম্পিউটারে কী বোর্ডের প্রয়োজন নাও হতে পারে। কথা বললে সেটা শুদ্ধভাবে টাইপ হবে, বাংলা থেকে ইংরেজী, ইংরেজী থেকে বাংলায় শুদ্ধ অনুবাদ হবে ডিজিটাল যন্ত্রে। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রযুক্তিগত ও বিবর্তণের ইতিহাস রচনার আহ্বান জানান। বিবর্তনের ফলে যা কিছুই ঘটুক সাংবাদিকতায় অতীতের ধারাবাহিকতা বাদ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অতীতকে বাদ দিয়ে আধুনিক সাংবাদিকতা করা যায় না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাাধ্যমে অশ্লিলতা ও গুজব প্রতিরোধে গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমরা ২৬ হাজার পর্ন সাইট এবং ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই এসব কাজ করতে হচ্ছে। গুজব প্রতিরোধেও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন এবং টিএমজিবি’র ট্রাস্টি আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ বক্তৃতা করেন।

জাফর ওয়াজেদ সাংবাদিকতার দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্বাধীনতার পর সাংবাদিকতার বিকাশ হয়েছে, মিডিয়া বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি আমরা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে পিআইবি অধ্যাদেশ জারি করে দেশে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।

পরে মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

টিএমজিবি সদস্যদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

image

প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) এর সদস্যদের জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআইবি) এর আয়োজনে মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী (২-৪ সেপ্টেম্বর) প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে ব্যক্তিগত আড্ডার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চা স্টলের দায়বদ্ধতাহীন আলোচনার মতোই সোস্যাল মিডিয়ায় যার যা খুশি তাই লিখে। রেজিস্ট্রিকৃত নিউজ পোর্টাল বা সংবাদ পত্রের দায়বদ্ধতা আছে। সেখানে সম্পাদক আছেন, নিউজ এডিটর, চীফ রিপোর্টার আছেন। তারা সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ববোধ দেখে থাকেন। দায়িত্বশীল গণমাধ্যম ও তার সাংবাদিকদের নিয়ে আমার উদ্বেগ নেই-কিন্তু নাম-ঠিকানা গোত্রহীন গণমাধ্যমের নামের প্রকাশনাগুলো আমাদের আতঙ্ক। তিনি সাংবাদিকদের ডিজিটাল গণ মাধ্যম ও ডিজিটাল প্রযুক্তিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ফলে আগামীদিনের সাংবাদিকতা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাগজে ছাপা পত্রিকা প্রযুক্তির পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সময়ের প্রশ্ন। রেডিও টিভিরও একই যাত্রাপথ। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনের দুনিয়ায় কম্পিউটারে কী বোর্ডের প্রয়োজন নাও হতে পারে। কথা বললে সেটা শুদ্ধভাবে টাইপ হবে, বাংলা থেকে ইংরেজী, ইংরেজী থেকে বাংলায় শুদ্ধ অনুবাদ হবে ডিজিটাল যন্ত্রে। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রযুক্তিগত ও বিবর্তণের ইতিহাস রচনার আহ্বান জানান। বিবর্তনের ফলে যা কিছুই ঘটুক সাংবাদিকতায় অতীতের ধারাবাহিকতা বাদ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অতীতকে বাদ দিয়ে আধুনিক সাংবাদিকতা করা যায় না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাাধ্যমে অশ্লিলতা ও গুজব প্রতিরোধে গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমরা ২৬ হাজার পর্ন সাইট এবং ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই এসব কাজ করতে হচ্ছে। গুজব প্রতিরোধেও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন এবং টিএমজিবি’র ট্রাস্টি আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ বক্তৃতা করেন।

জাফর ওয়াজেদ সাংবাদিকতার দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্বাধীনতার পর সাংবাদিকতার বিকাশ হয়েছে, মিডিয়া বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি আমরা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে পিআইবি অধ্যাদেশ জারি করে দেশে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।

পরে মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।