শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে

স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গীতিকবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার পর বেলা ১১টার দিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বসাধারণের জন্য শ্রদ্ধা জানাতে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

সরকার দলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশবরেণ্য শিল্পী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন শহীদ মিনারে।

শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গাজী ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। তার লেখা হাজার হাজার গানের মধ্যে ৬-৭ হাজার গান আমি নিজেই গেয়েছি। আমাদের মধ্যে একটা টিম ওয়ার্কিং ছিল। আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গা কামনা করি।’

গাজী মাজহারুল আনোয়ারে মেয়ে দিঠী আনোয়ার বলেন, ‘যারা আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাদের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। এ সময় তার বাবাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।’

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই বিদায় অনুষ্ঠানের শেষটা হয় সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের বক্তব্য ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে। বিদায়ী বক্তব্যে জোটের সভাপতি বলেন, ‘এই সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই, দৈহিকভাবে চলে গেলেও একজন শিল্পীর মৃত্যু হয় না। তার যে দেশপ্রেম সেটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯৭১ সালে তিনি ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ লিখেছেন। যা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে। চলচ্চিত্রে যেখানে বাণিজ্যিক, সেখানে তিনি কাব্যময়তা এনেছেন। আমাদের গানকে সমৃদ্ধ করেছেন।’

এরপর বেলা ১২টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নেয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা।

এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা। গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে।

গত রোববার সকাল ৭টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাঊদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননাসহ শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনায়ও তার নাম উজ্জ্বল।

১৯৬৪ সালে ২১ বছর বয়সে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে। ওই চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘আয়না ও অবশিষ্ট’।

১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখায়ও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তিনি মোট ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।

অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। ২০ হাজারেরও বেশি গানের রচয়িতা তিনি। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ ও ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’ তার লেখা তুমুল জনপ্রিয় দুটি গান। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘অবুঝ মন’, ‘চাষির মেয়ে’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘মহানগর’, ‘নতুন বউ’, ‘নাজমা’, ‘অভিযান’, ‘মা ও ছেলে’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘ছুটির ফাঁদে’, ‘বাবার আদেশ’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান লিখেছেন।

২০০২ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ২০২১ সালে তিনি সংস্কৃতিতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য গাজী মাজহারুলকে স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। এছাড়া গাজী মাজহারুল আনোয়ার পাঁচবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’, একাধিকবার ‘বাচসাস পুরস্কার’, ‘বিজেএমই অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।

image

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কফিনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন

আরও খবর
আঞ্চলিক যোগাযোগে অগ্রাধিকার ঢাকার
নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা অভ্যর্থনা
খালি মাঠে গোল না, আ’লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন : কাদের
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে কথা বলতে চাই না : ফখরুল
রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক
নরেন্দ্র মু-া হত্যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি
রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমডিএর দুইজন বরখাস্ত
মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবির বহিষ্কৃত ৭ সদস্য, ২০ সেপ্টেম্বর রায়
মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন যুবক
১৬ বছর পর এলাকায় ফিরে হামলার শিকার বরগুনার সাবেক এমপি

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষ বিদায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

image

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কফিনে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন

স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গীতিকবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার পর বেলা ১১টার দিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বসাধারণের জন্য শ্রদ্ধা জানাতে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

সরকার দলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশবরেণ্য শিল্পী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন শহীদ মিনারে।

শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘গাজী ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। তার লেখা হাজার হাজার গানের মধ্যে ৬-৭ হাজার গান আমি নিজেই গেয়েছি। আমাদের মধ্যে একটা টিম ওয়ার্কিং ছিল। আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গা কামনা করি।’

গাজী মাজহারুল আনোয়ারে মেয়ে দিঠী আনোয়ার বলেন, ‘যারা আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাদের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। এ সময় তার বাবাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।’

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই বিদায় অনুষ্ঠানের শেষটা হয় সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের বক্তব্য ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে। বিদায়ী বক্তব্যে জোটের সভাপতি বলেন, ‘এই সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই, দৈহিকভাবে চলে গেলেও একজন শিল্পীর মৃত্যু হয় না। তার যে দেশপ্রেম সেটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯৭১ সালে তিনি ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ লিখেছেন। যা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে। চলচ্চিত্রে যেখানে বাণিজ্যিক, সেখানে তিনি কাব্যময়তা এনেছেন। আমাদের গানকে সমৃদ্ধ করেছেন।’

এরপর বেলা ১২টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ নেয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা।

এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা। গুলশানের আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে।

গত রোববার সকাল ৭টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাঊদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননাসহ শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনায়ও তার নাম উজ্জ্বল।

১৯৬৪ সালে ২১ বছর বয়সে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে। ওই চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘আয়না ও অবশিষ্ট’।

১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখায়ও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তিনি মোট ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।

অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। ২০ হাজারেরও বেশি গানের রচয়িতা তিনি। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ ও ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’ তার লেখা তুমুল জনপ্রিয় দুটি গান। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘অবুঝ মন’, ‘চাষির মেয়ে’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘মহানগর’, ‘নতুন বউ’, ‘নাজমা’, ‘অভিযান’, ‘মা ও ছেলে’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘ছুটির ফাঁদে’, ‘বাবার আদেশ’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান লিখেছেন।

২০০২ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ২০২১ সালে তিনি সংস্কৃতিতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য গাজী মাজহারুলকে স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। এছাড়া গাজী মাজহারুল আনোয়ার পাঁচবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’, একাধিকবার ‘বাচসাস পুরস্কার’, ‘বিজেএমই অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।