রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক ‘প্রতিহত’ করতে আজ সকাল ৬টা থেকে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। গতকাল রাঙামাটি শহরের এক রেণ্টুরেণ্টে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। এতে হরতালের ঘোষণা দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, বিতর্কিত ভূমি কমিশনের বৈঠক প্রতিহত করতে ও ৭ দফা দাবিতে বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা আগামীকাল ও পরশু দুপুর ২টায় পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল পালন করবে। এ সময়ে জেলা শহরে আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন হবে। হরতাল চলাচলে কোন যানবাহন চলবে না, দোকানপাট খুলবে না।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সব জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে; জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন-২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে; কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির ৬ পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পার্বত্য অঞ্চল

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক ‘প্রতিহত’ করতে আজ সকাল ৬টা থেকে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। গতকাল রাঙামাটি শহরের এক রেণ্টুরেণ্টে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। এতে হরতালের ঘোষণা দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, বিতর্কিত ভূমি কমিশনের বৈঠক প্রতিহত করতে ও ৭ দফা দাবিতে বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা আগামীকাল ও পরশু দুপুর ২টায় পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল পালন করবে। এ সময়ে জেলা শহরে আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন হবে। হরতাল চলাচলে কোন যানবাহন চলবে না, দোকানপাট খুলবে না।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সব জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে; জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন-২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে; কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির ৬ পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে; বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।