নরেন্দ্র মু-া হত্যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি

সাতক্ষীরায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও হামলায় নৃগোষ্ঠীর একজনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় এখনও মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে মু-া সম্প্রদায়। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মূল আসামি গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আসক এক বিবৃতিতে বলেছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মু-া সম্প্রদায়ের ৩০ বিঘা জমি দখলে নিতে গত ১৯ আগস্ট সকালে হামলা চালায় শ্রীফলাকাটি গ্রামের রাশেদুল ইসলাম ও ইবাদুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এতে মারাত্মকভাবে আহত নরেন্দ্রনাথ মু-া, সুলতা মু-া, বিলাসী মু-া এবং রীনা মু-াকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নরেন্দ্রনাথ মু-া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। ওই হামলার ১৫ দিন পার হলেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আসক বলছে, এ ঘটনায় ২০ আগস্ট ফণীন্দ্র মু-া বাদী হয়ে ৩০ জন এজাহার নামীয় ও ১৬০-১৭০ জন অজ্ঞাত আসামি করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মু-াদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে নেতৃত্ব প্রদানকারী রাশিদুল ও এবাদুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৪ জনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ মূল আসামি দুজনসহ অধিকাংশ ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। এতে চরম উদ্ধেগ তৈরি হয়েছে।

আসক জানিয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন এর নেতৃত্বে একটি দল ধুমঘাট মু-া পাড়া পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শনকালে জানা যায়, ধুমঘাট মুন্ডা পল্লীতে ২২টি মু-া পরিবার বসবাস করে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার সকালে রাশিদুল ও এবাদুলের নেতৃত্বে দুই থেকে আড়াইশ সন্ত্রাসী ধুমঘাট মু-াপল্লী ঘিরে ফেলে। এ সময় হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা প্রতিটি পরিবারকে অস্ত্রের মুখে বসতঘরে অবরুদ্ধ করে রেখে তাদের ভোগ দখলে থাকা আট বিঘা জমিতে কলের লাঙল নামিয়ে

ে পৃষ্ঠা : ২ ক : ৩

নরেন্দ্র মুন্ডা

(১২ পৃষ্ঠার পর)

চাষ শুরু করে এবং বেড়ে ওঠা চারাধান সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়।

এ সময় চাষের জমিতে কাজ করা নরেন্দ্রনাথ মু-া এবং তার তিন পুত্রবধূ সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে জমির মধ্যেই পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করা হয়। আহতাবস্থায় তাদের ফেলে রেখেই জমিতে চাষ সম্পন্ন করে সন্ত্রাসীরা। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় হামলার সঙ্গে জড়িতরা। মু-ারা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় ফসল তোলার সময় হলে সন্ত্রাসীরা এসে ফসল কেটে নিয়ে যেত। এবারও ৪-৫ দিন আগে থেকেই জানা যাচ্ছিল তারা জোর করে হলেও জমিতে চাষ দিবে। গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল এবং এখনও আতঙ্ক রয়েছে। হামলাকারীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান বলে স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিত।

মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২২ ভাদ্র ১৪২৯ ৯ সফর ১৪৪৪

নরেন্দ্র মু-া হত্যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সাতক্ষীরায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও হামলায় নৃগোষ্ঠীর একজনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় এখনও মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে মু-া সম্প্রদায়। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মূল আসামি গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আসক এক বিবৃতিতে বলেছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মু-া সম্প্রদায়ের ৩০ বিঘা জমি দখলে নিতে গত ১৯ আগস্ট সকালে হামলা চালায় শ্রীফলাকাটি গ্রামের রাশেদুল ইসলাম ও ইবাদুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এতে মারাত্মকভাবে আহত নরেন্দ্রনাথ মু-া, সুলতা মু-া, বিলাসী মু-া এবং রীনা মু-াকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নরেন্দ্রনাথ মু-া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। ওই হামলার ১৫ দিন পার হলেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আসক বলছে, এ ঘটনায় ২০ আগস্ট ফণীন্দ্র মু-া বাদী হয়ে ৩০ জন এজাহার নামীয় ও ১৬০-১৭০ জন অজ্ঞাত আসামি করে শ্যামনগর থানায় মামলা করেন। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মু-াদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে নেতৃত্ব প্রদানকারী রাশিদুল ও এবাদুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৪ জনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ মূল আসামি দুজনসহ অধিকাংশ ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। এতে চরম উদ্ধেগ তৈরি হয়েছে।

আসক জানিয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন এর নেতৃত্বে একটি দল ধুমঘাট মু-া পাড়া পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শনকালে জানা যায়, ধুমঘাট মুন্ডা পল্লীতে ২২টি মু-া পরিবার বসবাস করে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার সকালে রাশিদুল ও এবাদুলের নেতৃত্বে দুই থেকে আড়াইশ সন্ত্রাসী ধুমঘাট মু-াপল্লী ঘিরে ফেলে। এ সময় হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা প্রতিটি পরিবারকে অস্ত্রের মুখে বসতঘরে অবরুদ্ধ করে রেখে তাদের ভোগ দখলে থাকা আট বিঘা জমিতে কলের লাঙল নামিয়ে

ে পৃষ্ঠা : ২ ক : ৩

নরেন্দ্র মুন্ডা

(১২ পৃষ্ঠার পর)

চাষ শুরু করে এবং বেড়ে ওঠা চারাধান সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়।

এ সময় চাষের জমিতে কাজ করা নরেন্দ্রনাথ মু-া এবং তার তিন পুত্রবধূ সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে জমির মধ্যেই পিটিয়ে ও কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করা হয়। আহতাবস্থায় তাদের ফেলে রেখেই জমিতে চাষ সম্পন্ন করে সন্ত্রাসীরা। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায় হামলার সঙ্গে জড়িতরা। মু-ারা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় ফসল তোলার সময় হলে সন্ত্রাসীরা এসে ফসল কেটে নিয়ে যেত। এবারও ৪-৫ দিন আগে থেকেই জানা যাচ্ছিল তারা জোর করে হলেও জমিতে চাষ দিবে। গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল এবং এখনও আতঙ্ক রয়েছে। হামলাকারীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান বলে স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিত।